Ticker

100/recent/ticker-posts

Translate

দশম শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীর জন্য বাংলা ব্যাকারনের বাক্য নির্মাণ।

***দশম শ্রেণীর ছাত্র-ছত্রীদের জন্য বাংলা ব্যাকরণ এর বাক্য গঠনের আলোচনা***

*** বাক্য গঠন করতে গেলে আমাদের প্রথমে জানা দরকার বাক্য জিনিসটা কি এবং বাক্য কিভাবে ব্যবহার করতে হয়, তো চলুন  জেনে নিই বাক্য কিভাবে ব্যাবহার করতে হয়। ***

বাক্য গঠন এর আলোচনা
ভাষায়  বৃহওম  একক হল বাক্য। বাক্যের সাহায্যে আমরা আমাদের মনের ভাব সম্পূর্ণ রূপে প্রকাশ করি। বাক্য গঠিত হয় এক বা একাধিক পদ বা পদ সমষ্টির দ্বারা ।যেমন :- আমি দশম শ্রেণী তে পড়ি।
এখানে  - আমি, দশম, শ্রেণীতে, ও পড়ি - এই গুলি এক একটি পদ একসঙ্গে যুুুক্ত হয়ে।
বাক্য গঠিত হয়েছে যে- আমি দশম শ্রেণীতে পড়ি এটি একটি বাাক্য ।
এতে -আমি, দশম, শ্রেণীতে, ও পড়ি এই চারটে পদ আছে । কিন্তু এই চারটে পদ কে নিয়ে আমরা যদি লিখি -- শ্রেণীতে দশম পড়ি আমি।
তাহলে এর দ্বারা আমরা আমাদের মনের ভাব সম্পূর্ণ রূপে বোঝাতে পারছি না,তাই এটি কে আমরা বাক্য বলতে পারিনা। কারণ বাক্য হতে গেলে  পদগুলিকে কয়েকটি শর্ত মেনে চলতে হয়। ভাষাবিদরা এরকম তিনটি শর্তের কথা বলেছেন-১) যোগ্যতা, ২)আকাঙ্ক্ষা, এবং ৩)আসত্তি।
তাই বলা যায়, শুদ্ধ, পূর্ণাঙ্গ ,ও অর্থপূর্ণ বাক্যের যে কোনগুলি থাকা প্রয়োজন তা হলো যোগ্যতা আকাঙ্ক্ষা আসত্তি।
** এবার আমরা জানবো -যোগ্যতা আকাঙ্খা আসত্তি এই তিনটি শর্তের ব্যাবহার ** ।
যোগ্যতা:-  বাক্যের মধ্যে থাকা পদ পদ সমষ্টির সংগত অর্থ ও ভাব প্রকাশ করাকে বলা হয় বাক্যের যোগ্যতা। অর্থাৎ বাক্যের অন্তর্গত পদ সমূহের পারস্পরিক অর্থগত ও ভাবগত সংগতিকেই বলা হয় যোগ্যতা। যেমন -ভারতের দক্ষিণে দাঁড়িয়ে আছে হিমালয়। 
এই পদ সমষ্টি কর্তা-কর্ম-ক্রিয়াপদের বিন্যাস ও গঠনের দিক থেকে একটা বাক্য হয়ে উঠতে পারে। তবু এঁকে বাক্য বলা যাবেনা। লক্ষ করে দেখো, এই পদ সমষ্টির দ্বারা যে অর্থ প্রকাশ পাচ্ছে, তা আমাদের মনে একটা অসংগতি জাগিয়ে তুলছে। কারণ, আমরা জানি 'হিমালয়' ভারতের উত্তর দিকে অবস্থিত। তাই উদাহরনে দেওয়া পদ সমষ্টি একটা অযোগ্য বা সংগতিহীন ধারণার জন্ম দিচ্ছে এবং সেটি সার্থক বাক্য হবার যোগ্যতা হারাচ্ছে। তাই এটিকে আমরা বাক্য বলতে পারিনা।
আকাঙ্ক্ষা 
আমি বাড়ি গিয়ে-এভাবে যদি একটা পদসমষ্টির বিন্যাস করি, তবে তা উচ্চারণের পরে প্রশ্ন উঠবে, যে 'তুমি বাড়ি গিয়ে কি করবে' অর্থাৎ জানবার একটা আকাঙ্ক্ষা তৈরি হচ্ছে উদাহরণটি পদবিন্যাস দ্বারা। কিংবা বলা চলে, একটা অসম্পূর্ণতা রয়ে যাচ্ছে এই পদ বিন্যাসে। এটা দিয়ে বক্তার মনের ভাব প্রকাশের এবং শ্রতার সেই ভাব গ্রহণের আকাঙ্ক্ষা সম্পূর্ণা ইচ্ছা মিটছে না। জানবার ইচ্ছে থেকেই যায়।
বাক্যের মধ্য দিয়ে মনের ভাব সম্পূর্ণ রূপে প্রকাশ করতে চাওয়া হয়। যেক্ষেত্রে বক্তা ও শ্রোতার মধ্যে যথাক্রমে কিছু জানবার ও কিছু জানাবার ইচ্ছা বাকি থেকে যায়, সেই পদবিন্যাসটি একটি সার্থক বাক্য হয়ে উঠতে পারে না। বাক্য তৈরীর একটি অন্যতম শর্তও হলো বক্তা ও শ্রোতার যথাক্রমে জানাবার ও জানবার আকাঙ্ক্ষা টি পরিপূর্ণ করা।
যেমন - ভাত খাবো - এই দুটি পদ উপরের পদবিন্যাসের সঙ্গে যুক্ত করলেই পদবিন্যাসটি সম্পূর্ণ ও সার্থক বাক্য হয়ে উঠত। যে আমি বাড়ি গিয়ে ভাত খাবো। 
সম্পূর্ণ ভাব প্রকাশের জন্য শ্রোতা ও বক্তার মধ্যকার এই চাহিদাটায় হলো বাক্যের আকাঙ্ক্ষা। এর ব্যাকরণগত সংজ্ঞা হলো পরিপূর্ণ অর্থ গ্রহণের জন্য বাক্যের একপদের পর অপর পদ শোনার যে আগ্রহ জন্মায়, বা মনের মধ্যে ইচ্ছা জাগে তাকেই  বাক্যের আকাঙ্ক্ষা বলে।
আসত্তি
 আশত্তি কথাটির অর্থ হলো নৈকট্য।
'আসত্তি' কথাটির সাধারণ অর্থ হলো নিকটে বা  কাছাকাছি থাকার ভাব। বাক্যের মধ্যে পরস্পর সমন্ধযুক্ত পদগুলি একে অপরের পাশাপাশি থাকার নাম আসত্তি । একটা বাক্যের যেসব পদ অর্থগত বা ব্যাকরণগত দিক থেকে পরস্পরের সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত সেই পদগুলি ভাষায় সাধারণ নিয়ম অনুসারে যথাসম্ভব কাছাকাছি বা পাশাপাশি না বসালে অর্থ পরিস্ফুট হয় না বা অর্থ গ্রহণে জটিলতার সৃষ্টি হয়। যেমন-- যোগ্যতা ও আকাঙ্ক্ষা শর্ত মানা হয়েছে এমন একটি বাক্যের পদবিন্যাস আমরা যদি এভাবে করি-- গিয়ে ভাত খাবো বাড়ি আমি ।
তাহলে এর থেকে কোনো অর্থ পরিস্ফুট হয়না। কারণ বাক্যের মনোভাব বোঝার জন্য যে পদের পাশে যে পদ থাকার কথা, তা এখানে নেই। তাই এটি বাক্য নয়। অথচ, আমি বাড়ি গিয়ে ভাত খাবো। বললে আমরা এর সম্পূর্ণ অর্থ প্রভাব অনুধাবন করতে পারি।এটি এমন একটি বাক্য যা একই সঙ্গে যোগ্যতা আকাঙ্ক্ষা এবং আসত্তি--এই তিনটি শর্ত কে মেনেছে।
আসত্তির ব্যাকরণগত সংজ্ঞাটি হল---  বাক্যে ব্যাবহৃত পরস্পর সমন্ধবিশিষ্ট বা পদ গুলিকে যথাস্থানে ক্রম অনুযায়ী সাজানো কে বলা হয় আসত্তি।
এবার আমরা জানবো বাক্যের অংশ কয়টি ও কি কি
বাক্যের অংশ
বাক্যের অংশ দুটি যথা ১) উদ্দেশ্য ও 2) বিধেয়।
উদ্দেশ্য
বাক্যের যে-অংশ সম্বন্ধে কিছু বলা হয় বা বাক্যের যে অংশ কারও সম্বন্ধে কিছু বলা হয়, তাকেই বলা হয় উদ্দেশ্য।
যেমন -- রহিম ভালো ফুটবল খেলে।
এই বাক্যে রহিম হল উদ্দেশ্য।কারণ তার সমন্ধেই এখানে কিছু বলা হচ্ছে।
বিধেয়
 বাক্যের যে-অংশে উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছু বলা হয়, তাকেই বিধেয় বলে।
যেমন - রহিম ভালো ফুটবল খেলে। এই বাক্যের উদ্দ্যেশ্য রহিম সম্পর্কে যা কিছু বলা হয়েছে তা হল ভালো ফুটবল খেলে -- এটিই বিধেয়।



    ****আজকে এই পর্যন্তই আলোচনা টি কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আরো পরবর্তী বাংলা ব্যাকরণ গুলি জানার জন্য কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ সকল কে।*****
আর কোন সমস্যা হলে নিচে দেওয়া no 
     WhatsApp করুন- 8597385128



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

12 মন্তব্যসমূহ

  1. অসাধারণ খুব সুন্দর

    উত্তরমুছুন
  2. আপনাদের কোচিং আছে নাকি

    উত্তরমুছুন

Thank you