Ticker

100/recent/ticker-posts

Translate

Testing অভিক্ষা

 

 What is Test? Type of Test, Characterstics of Test, Importance of Test


ভূমিকা:- অভীক্ষা বলতে সাধারণত কোন কিছু পরিমাপ করার কৌশল কে বোঝায়। অভীক্ষা কে অনেকে আবার পরীক্ষার সঙ্গে তুলনা করে থাকে। অভীক্ষা হলে এমন একটি যন্ত্র বা হাতিয়ার যার সাহায্যে ব্যক্তির জ্ঞান, ক্ষমতা, প্রবণতা ,বুদ্ধিমত্তা, পরিমাপ করা যায়। 

 অভীক্ষা:- অভীক্ষা হল পরিমাপের যন্ত্র বা কৌশল যা মূল্যায়নের সাহায্য করে। অভিক্ষা হল কতগুলি কার্যাবলী যা কোন নির্দিষ্ট সময় ব্যক্তির বিশেষ কোনো আচরণ পরিমাপে ব্যবহৃত হয়।

           * যে সকল উপকরণ বা হাতিয়ার বা কৌশলের সাহায্যে শিক্ষার্থীদের অর্জিত জ্ঞান কৃতিত্ব বা পারদর্শিতা যাচাই করে তাদের পরস্পর শিক্ষাগত পার্থক্য নিরূপণ করা হয়, তাকে অভীক্ষা বলে।

অভীক্ষার ধরন :- শিক্ষার বিভিন্ন উদ্দেশ্যে পরিমাপের জন্য বিভিন্ন ধরনের অভীক্ষা ব্যবহৃত হয়। এইসব অভীক্ষা গুলিকে নিম্নোক্তভাবে আলোচনা করা হলো।


১. Achivement Test পারদর্শিতার অভীক্ষা:- এই অভীক্ষার সাহায্যে শিক্ষার্থীদের বিষয় ও শ্রেণীভিত্তিক পারদর্শিতা পরিমাপ করা হয়। এই অভীক্ষার দ্বারা শিক্ষার্থীদের কোন বিষয়ে এ কতটুকু জ্ঞান অর্জন করেছে তা পরিমাপ করা হয় বা জানা যায়।

        * যেসব অভীক্ষার দ্বারা শিক্ষার্থীদের অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা পরিমাপ করা হয় তাদের বলা হয় পারদর্শিতার অভীক্ষা।

২. Psychometric Test:- সাইটোম্যাট্রিক অভিক্ষা হল এমন একটি কার্যকলাপ বা মূল্যায়ন যা একজন প্রার্থীর কর্মদক্ষতা মূল্যায়ন করার জন্য ব্যবহৃত হয়। মাধ্যমে ব্যক্তির দক্ষতা, জ্ঞান , বুদ্ধিমত্তা,  ক্ষমতা , ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য,  মনোভাব, এবং চাকরি/ শিক্ষাগত সম্ভাবনা গুলি পরিমাপ করা হয়।

Example:- Personality, Aptitude, Intelligence ect.

৩. Sociometric Test সমাজমিতি অভীক্ষা:-  সমাজের চোখে ব্যাক্তির অবস্থান বোঝাতে যে কৈশল এর দ্বারা পরিমাপ করা হয়, সেই কৌশল কে বলা হয় Sociometric Test। এই পদ্ধতির প্রবর্তক হলেন বিশিষ্ট সমাজ বিজ্ঞানী J.L Moreno( ১৯৩২) জ্যাকবো লেভি মোরেনো।

৪. Standardization Test আদর্শয়ীত অভিক্ষা:-আদর্শায়ীত অভীক্ষা বলতে সেই অভীক্ষা কে বোঝানো হয় যার অভীক্ষা পদগুলি কাঠিন্যের মান অনুসারে সাজানো থাকে, যার যথার্থতা ও নির্ভরযোগ্যতা অনেক বেশি এবং যেসব অভীক্ষার আদর্শ ম্যানুয়াল থাকে তাকে আদর্শিত অভীক্ষা বলা হয়।

৫. Teacher Made Test শিক্ষকনির্মীত বা অ-আদর্শায়ীত অভীক্ষা:-  পারদর্শিতার অভীক্ষার মধ্যে একটি অন্যতম অভীক্ষা হল শিক্ষককৃত অভীক্ষা। এই অভীক্ষা পদগুলি কাঠিন্যর মান অনুসারে সাজানো থাকে না, এবং এর নির্ভরযোগ্যতা ও যথার্থতা অনেক মান কম যার আদর্শ ম্যানুয়াল থাকেনা তাকেই শিক্ষক কৃত অভীক্ষা বলে।

অভীক্ষার বৈশিষ্ট্য:- অভীক্ষার যেসব বৈশিষ্ট্য গুলি রয়েছে সেগুলি হল

১. তুলনা করা:- অভীক্ষার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর অন্য শিক্ষার্থীর সঙ্গে তুলনা করা হয় প্রাপ্ত ফল দ্বারা। অভীক্ষা হল একটি তুলনামূলক প্রক্রিয়া।

২. দক্ষতা ও জ্ঞান পরিমাপ করা:- অভীক্ষা এমন একটি কৌশল যার দ্বারা একজন শিক্ষার্থীর দক্ষতা ও জ্ঞান পরিমাপ করা হয়।

৩. প্রাপ্ত ফলাফল প্রকাশ:- অভীক্ষার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত ফল প্রকাশ করা যায়। যেমন একজন দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর পরীক্ষার ফল প্রকাশ।

৪. নির্ভরযোগ্যতা ও যথার্থতা:- একটি অভীক্ষা নির্ভরযোগ্যতা ও যথার্থতা মান থাকা আবশ্যক। এটি হলো অভীক্ষার অন্যতম বা গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।

৫. গ্রেড প্রদান:- একজন শিক্ষক শিক্ষার্থীর অভীক্ষা পরিমাপ করে। সেই অভীক্ষা পরিমাপ করার পর মূল্যায়ন করে গ্রেড প্রদান করে থাকে। 

অভীক্ষার গুরুত্ব:- অভিক্ষার যেসব গুরুত্বগুলি রয়েছে সেসব গুরুত্ব গুলি হল নিম্নরূপ --

১. শিক্ষার্থীর দুর্বলতা চিহ্নিতকরণ:- অপেক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দুর্বলতা বিষয়গুলিকে চিহ্নিত করা হয়, এবং সে অনুযায়ী তার প্রতিকারের ব্যবস্থা করা যায়।

২. শিক্ষার্থীদের শিখনে আগ্রহী করে তোলা:- অভীক্ষার বাস্তব প্রয়োগের ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের শিখনে আরও আগ্রহী হয়ে ওঠে। অভীক্ষা শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে তুলতে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে।

৩. উচ্চতর শ্রেণীতে পৌঁছানো:- অভীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের উচ্চতর শ্রেণীতে পৌঁছানো যায়। এই অভীক্ষার শিক্ষার্থীদের উচ্চতর শ্রেণীতে পৌঁছানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৪. শিক্ষার্থীর ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য নির্ণয়:- অভীক্ষার প্রাপ্ত ফলাফলের ওপর গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার্থীদের ব্যাক্তি স্বাতন্ত্র নির্ণয় করা হয়। এর মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে অন্য শিক্ষার্থীর পার্থক্য তুলনা করা হয়।

৫. নির্দেশনা প্রদান:- শিক্ষা ক্ষেত্রে অভীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে পথ নির্দেশ দেওয়া যায়। অপেক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক তার শিক্ষণ পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন সাধন করতে পারেন। তাই শিক্ষাক্ষেত্রে নির্দেশনা প্রদানের ক্ষেত্রে অভীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে।

Achivement Test :-

ভূমিকা:- শিক্ষাগত অভিক্ষার মধ্যে পারদর্শিতার অভীক্ষা অন্যতম। সুস্পষ্ট উদ্দেশ্যর প্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর নির্দিষ্ট সময় ব্যাপী প্রশিক্ষণের পর শিক্ষার্থী বা শিক্ষার্থীর মধ্যে সে উদ্দেশ্য  বাস্তবায়িত হওয়াকে বলা হয়, পারদর্শিতা।আর পারদর্শিতা এই  পরিমাপের কৌশল কে বলা হয় পারদর্শিতার অভীক্ষা।  

      **পারদর্শিতার অভীক্ষার দুই ধরনের একটি হলো আদর্শিত অভীক্ষা আর এবং অপরটি হল শিক্ষককৃত অভীক্ষা।**

Achivement Test পারদর্শিতার অভীক্ষা:- এই অভীক্ষার সাহায্যে শিক্ষার্থীদের বিষয় ও শ্রেণীভিত্তিক পারদর্শিতা পরিমাপ করা হয়। এই অভীক্ষার দ্বারা শিক্ষার্থীদের কোন বিষয়ে এ কতটুকু জ্ঞান অর্জন করেছে তা পরিমাপ করা হয় বা জানা যায়।

        * যেসব অভীক্ষার দ্বারা শিক্ষার্থীদের অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা পরিমাপ করা হয় তাদের বলা হয় পারদর্শিতার অভীক্ষা।

পারদর্শিতার অভীক্ষার বৈশিষ্ট্য ও উদ্দেশ্য:- 

১. দক্ষতা অর্জনের সক্ষমতা:- শিক্ষার্থীরা পরিকল্পিত শিক্ষাদানের উদ্দেশ্য অর্জনের সক্ষম হয়েছে কিনা তা জানতে বিশেষভাবে সহায়তা করে এই পারদর্শিতার অভীক্ষা।

২. বিষয় অধ্যয়নের সাফল্য লাভ:-কোন বিষয় অধ্যায়নের সাফল্য লাভ করার জন্য প্রাথমিক দক্ষতা গুলি শিক্ষার্থীর আছে কিনা সে সম্পর্কে অভিহিত হতে হবে, এ বিষয়ে সাহায্য করে। 

৩. ফিডব্যাক সরবরাহ :- শিক্ষার্থীর শিখন তত্ত্বাবধান এবং শিক্ষা শিক্ষণ প্রক্রিয়ার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর ফিডব্যাক সরবরাহ করা, এই অভীক্ষার একটি অন্যতম উদ্দেশ্য।

৪. সমস্যা নির্ণয়:- শিক্ষার্থীদের শিক্ষণ অসুবিধা গুলি নির্দিষ্টকরণ এবং ওইগুলির সমসাময়িক না স্থায়িত্ব বিচার করনে সহায়তা করা।

৫. গ্রেড নির্ধারণ:- এই অভীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করার পর শিক্ষার্থীদের গ্রেড নির্ধারণ করে থাকে।

৬. তথ্য সরবরাহ:- নির্দেশনা দিয়ে শিক্ষার্থীর তথ্য সরবরাহ করা এই অভীক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য।

পারদর্শিতার অভীক্ষার বৈশিষ্ট্য:-

১. দক্ষতা পরিমাপ প্রয়োজনীয়তা:- কোন বিশেষ শিক্ষণ কোর্সে সফলতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা আছে কিনা বা পরিকল্পিতভাবে শিক্ষাদানের উদ্দেশ্য কি পরিমাণে শিক্ষার্থীর দ্বারা অর্জিত হয়েছে।

২. ফিডব্যাক সরবরাহ:- শিক্ষার্থীর শিখন পর্যালোচনা না করা এবং  শিক্ষা শিখন প্রক্রিয়ার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর উভয়কে ফিডব্যাক সরবরাহ করা এই অভীক্ষার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

৩. সমস্যা নির্ণয় করা:- শিক্ষার্থীর শিখন পারদর্শিতার অসুবিধা গুলি নির্দিষ্ট করা, পারদর্শিতার অভিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ  বৈশিষ্ট্য।

৪. গ্রেড প্রদান করা:-পারদর্শিতা অভীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের গ্রেড প্রদান করা হয়।

What is Standardization Test? Characteristics of Standardization Test?

ভূমিকা :-আধুনিক শিক্ষাক্ষেত্রে অভীক্ষা কথাটি অনেক ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত কোন কিছু পরিমাপ করার কৌশল কে বলা হয় অভীক্ষা। কিন্তু মনোবিজ্ঞান বা শিক্ষাক্ষেত্রে তা হল এমন এক ধরনের পদ্ধতি যেখানে শিক্ষার্থীদের আচরণগত বৈশিষ্ট্য গুলিকে সঠিকভাবে পরিমান করে থাকে। সুতরাং এ অর্থে অভীক্ষা হল এক বা একাধিক আচরণের বস্তুনিষ্ঠা ও তুলনামূলক মান নির্ধারণের পদ্ধতি।

আদর্শায়ীত অভীক্ষা:- আদর্শায়ীত অভীক্ষা বলতে সেই অভীক্ষা কে বোঝানো হয় যার অভীক্ষা কাঠিন্যের মান অনুসারে সাজানো থাকে, যার যথার্থতা ও নির্ভরযোগ্যতা অনেক বেশি এবং যেসব অভীক্ষার আদর্শ ম্যানুয়াল থাকে তাকে আদর্শিক অভীক্ষা বলা হয় ।

আদর্শ অভীক্ষার বৈশিষ্ট্য :-  আদর্শায়ীত অভীক্ষার বৈশিষ্ট্য গুলি হল

১. যথার্থতা:- আদর্শয়িত অভীক্ষার একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল অভীক্ষার যথার্থতা। অর্থাৎ অভীক্ষাটিকে যে কাজের জন্য তৈরি করা হয়েছে, যদি অভিক্ষাটি সেই কাজটিকে যথাযথ ভাবে করতে পারে তাহলে জানবো অভীক্ষা ঠিক যথাযথভাবে হয়েছে।

২. নির্ভরযোগ্যতা :- আদর্শায়িত অভিক্ষার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য গুলির মধ্যে নির্ভরযোগ্যতা একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। একই অভীক্ষা একই অভীক্ষার্থীর ওপর বারবার প্রয়োগ করে যদি একই ফল বা সংগতিপূর্ণ ফল পাওয়া যায়,তাহলে অভীক্ষাটি কে নির্ভরযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

৩.নৌবাক্তিকতা :- এটিও  ভালো অভিক্ষার বিশেষ বৈশিষ্ট্য নৌবাক্তিকতা বলতে বোঝায়, ব্যক্তিগত প্রভাব শূন্যতাকে। অনেক সময় দেখা যায় যে অভীক্ষার ব্যক্তিগত রুচি, পছন্দ , অপছন্দ, মেজাজ, খেয়াল খুশি মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে থাকে। তাই আদর্শিত অভীক্ষা হবে সেটি যেখানে ব্যক্তিগত প্রভাব থাকবে না।

৪. প্রয়োগশীলতা :- প্রয়োগশীলতা বলতে, কোন অভীক্ষাকে কত সহজ ও স্বল্প প্রয়াসে শিক্ষার্থীর ওপর প্রযোগ করা যায় তাকেই বোঝানো হয়। পর্যায়ে অভীক্ষার নির্দেশনা, সহজ সরল, স্পষ্ট ও খুব দরকার।

 ৫. তুলনীয়তা:- ভালো অভীক্ষার আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল তুলনামূলক বিচার করনের ক্ষমতা। এই বৈশিষ্টর দাঁড়াও অভীক্ষা প্রযোগের মাধ্যমে প্রয়োগের মাধ্যমে তুলনা করার ক্ষমতাকে বোঝানো হয়ে থাকে। উদ্দেশ্য একটি অভীক্ষার প্রয়োগের ফলে প্রাপ্ত স্কোর গুলির একটি আদর্শমান বের করা হয়। এরপর এই আদর্শ মানের ভিত্তিতে কোন শিক্ষার্থী প্রাপ্ত নম্বর এর তুলনামূলক বিচার ও পর্যালোচনা করা হয়।

৬. পরিমিততা:- পরিমিততা হল আদর্শিত অভীক্ষার কোন একটি আদর্শিত  অভিক্ষা ব্যবহারিক গুন। পরীক্ষার এই বৈশিষ্ট্যটি সাধারণত সময়, অর্থ ও শ্রমের সাশ্রয় গত দিকের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।

৭. উপযোগিতা: - একটি ভালো অভিক্ষার বিশেষ গুণ। অভিক্ষাটি যে উদ্দেশ্যে রচিত হয়েছে, সেই উদ্দেশ্যটি যদি সম্পূর্ণ করতে পারে তাহলে অভিক্ষাটি উপযোগী হিসেবে বিবেচনা করা

৮. নম্বর প্রদানের ক্ষমতা :- আদর্শিত অভিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলেও নম্বর প্রদানের ক্ষমতা। 

উপসংহার:- কোন অভীক্ষাকে  আদর্শিত অভীক্ষা তখনই বলা যাবে যখন অভিক্ষা টির মধ্যে উপ সমস্ত বৈশিষ্ট্য গুলি পরিলক্ষিত হবে।

আদর্শায়িত অভীক্ষার গুরুত্ব:- 

ভূমিকা:-  শিক্ষণ শিখন প্রক্রিয়ায় আদর্শায়িত  অভীক্ষা বা সু অভীক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল। আদর্শায়িত  অভীক্ষা বলতে যার নির্দিষ্ট কাঠিন্যের মান রয়েছে ,পদ রয়েছে,  যে পদের দ্বারা বিশ্লেষিত করে থাকে এবং শিক্ষার্থীরা আচরণ বৈশিষ্ট্যের পরিমাপ করে থাকে তাকে আদর্শিত অভীক্ষা বলে।

   আদর্শায়িত  অভীক্ষার গুরুত্ব গুলি হল নিম্নরূপ:-

১. শিক্ষা পরিকল্পনা:- আদর্শিত অভিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম যোগ্যতা সম্পর্কে ধারণা অর্জন করা সম্ভব এই ধারণার  মধ্য দিয়ে। পরবর্তী পর্যায়ে শিক্ষা পরিকল্পনা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়।

২. শিক্ষার্থী নির্বাচন:- বিভিন্ন বিদ্যালয়ে বিভিন্ন ধরনের পাঠ্যক্রমের জন্য কোন ধরনের শিক্ষার্থীরা উপযুক্ত তা জানতে আদর্শিত অভীক্ষা বিশেষভাবে কার্যকরী।

৩. শ্রেণী বিভাজন :-আদর্শায়িত অভিক্ষার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শ্রেণী বিভাজন। কোন শ্রেণীতে প্রয়োজনের তুলনায় অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি হয়ে গেলে তা বিভাজন করে থাকে।

৪. শিক্ষার্থীর দুর্বলতা চিহ্নিতকরণ:- আদর্শায়িত অভীক্ষা বা সু অভীক্ষার দ্বারা শিক্ষার্থীর দুর্বলতা গুলিকে সহজে চিহ্নিত করা যায়।

৫. যথার্থতা:- আদর্শায়িত অভীক্ষা অন্যান্য শিক্ষামূলক অভিক্ষা গুলির তুলনায় অনেক বেশি যথার্থতা । আদর্শায়িত অভীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর সামগ্রিক মূল্যায়ণ সম্ভব।

৬. শ্রম  সময় ও অর্থের সাশ্রয়:- আদর্শায়িত অবীক্ষার মাধ্যমে খুব অল্প সময়ে অল্প অর্থের বিনিময়ে প্রচুর সংখ্যক শিক্ষার্থীর মূল্যায়ন সম্ভব হয়। ফলে দরিদ্র ও উন্নয়নশীল সম্পর্কে আদর্শায়িত অভীক্ষা বিশেষভাবে গ্রহণযোগ্য।

মন্তব্য:- অন্যান্য শিক্ষামূলক ও মনোজ্ঞানিক অভীক্ষা গুলির মধ্যে আদর্শিত অভিক্ষা অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। যেমন অভীক্ষা পদ গঠন, নম্বর প্রদান, ব্যক্তি প্রভাব মুক্ত, শিক্ষা নির্দেশনা, মূল্যায়ন ইত্যাদি। সর্বক্ষেত্রে আদর্শিত অভীক্ষা বিশেষভাবে উপযোগী। সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আদর শাহিদ অভীক্ষা পরিচালনা করা হয়।

Teacher Made Test:- পারদর্শিতার অভীক্ষার মধ্যে একটি অন্যতম অভীক্ষা হল শিক্ষককৃত তার অভীক্ষা। এই অভীক্ষা শুধুমাত্র শিক্ষকগণের জন্যই। পারদর্শিতার অভীক্ষার মধ্যে একটি অন্যতম অভীক্ষা হল শিক্ষককৃত অভীক্ষা। এই অভীক্ষা পদগুলি কাঠিন্যর মান অনুসারে সাজানো থাকে না, এবং এর নির্ভরযোগ্যতা ও যথার্থতা অনেক মান কম যার আদর্শ ম্যানুয়াল থাকেনা তাকেই শিক্ষক কৃত অভীক্ষা বলে।

শিক্ষককৃত আভিক্ষার বৈশিষ্ট্য :- 

১. বিদ্যালয়ের পাঠদানের অভীক্ষা:- বিদ্যালয়ে যে পাঠদান হয়েছে তাকে ভিত্তি করে এই অভীক্ষা প্রস্তুত হয়। বিভিন্ন বিদ্যালয়ে পাঠদানের পরিধি ও গভীরতা বিভিন্ন হওয়ায় অভিক্ষার মাধ্যমেও এর প্রতিফলন ঘটে।

২. শিক্ষকের দক্ষতা পরিমাপ:- এই অভীক্ষার মাধ্যমে  শিক্ষকদের দক্ষতা পরিমাপ করা হয় এটি হল শিক্ষক নির্মিত অভিক্ষার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

৩. শিক্ষকের বৈশিষ্ট্য পরিমাপ:- একজন শিক্ষকের কি কি বৈশিষ্ট্য ও গুনাগুন বা গুণাবলী থাকা প্রয়োজন সেগুলি পরিমাপ করা হয় এ অভীক্ষার মাধ্যমে।

৪. অন্যান্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তুলনা না করা:- এই অভীক্ষায় নর্ম থাকেনা প্রাপ্ত ফলের ভিত্তিতে একই বিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে তুলনা করা যায় । বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে তুলনা  করা যায় না।

সুবিধা :- সমাজে সব মানুষের কিছু ভালো দিক থাকে ঠিক তেমনি আদর্শিত অভিক্ষার মতো শিক্ষক কৃত অভীক্ষারও কতগুলি সুবিধা দেখা যায় এগুলিই হলো

১. উৎকর্ষতা বৃদ্ধি:- শিক্ষণ শিখন প্রক্রিয়ায় উৎকর্ষতা বৃদ্ধিতে অভিক্ষা বিশেষভাবে কার্যকরী।

২. পাঠদানে সার্থকতা বিচার :- শিক্ষার্থীদের জানতে এবং শিক্ষকদের পাঠদানে সার্থকতা বিচারে এই অভিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৩. প্রেষণা সঞ্চার:- শিক্ষনে শিক্ষার্থীর প্রেষণা সঞ্চার এ এবং শিক্ষকদের স্ব -মূল্যায়ন এই অভীক্ষা তাৎপর্যপূর্ণ।

৪. শিক্ষার্থীদের অবস্থান বুঝতে সাহায্য করা:- শ্রেণীতে এই অভিক্ষা শিক্ষার্থীদের অবস্থান বুঝতে সাহায্য করে।

অসুবিধা :- শিক্ষকৃত আদর্শিত অভিক্ষার যেসব অসুবিধা গুলি রয়েছে সেগুলি হল নিম্নরূপ

১. সার্বজনীন মান না থাকা:- কোন সার্বজনীন মান না থাকায় বিভিন্ন বিদ্যালয় ছাত্রদের মধ্যে তুলনা করা সম্ভব হয় না।

২. নৈব্যক্তিকতার অভাব:- অপেক্ষার প্রয়োগ ও নম্বর দান পদ্ধতির নৈব্যক্তিকতার অভাব থাকতে পারে।

৩. পরীক্ষামূলক তথ্যের অভাব:- অভীক্ষার প্রয়োগ ও নম্বর দান পদ্ধতির নৈব্যক্তিকতার অভাব থাকতে পারে এবং পরীক্ষামূলক তথ্যের অভাব থাকতে পারে।

৪. অভিক্ষার প্রয়োগ সীমাবদ্ধ:- বিভিন্ন কারণে এই ধরনের অভীক্ষার প্রয়োগ সীমাবদ্ধ থাকে। 

আদর্শায়িত অভীক্ষা ও শিক্ষক কৃত অভিক্ষার মধ্যে পার্থক্য:- আদর্শায়িত পরীক্ষা ও শিক্ষককৃত অভীক্ষা হলো পারদর্শিতার অভীক্ষার মধ্যে অন্যতম ব্যাখ্যা। এই দুটি অভীক্ষা বিদ্যালয়ের পাঠদান পরিমাপ করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হলেও এদের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে সেই সব পার্থক্যগুলিকে নিম্নে আলোচনা করা হলো।

১. শিখনের ফল ও বিষয় সংক্রান্ত:- শিক্ষককৃত পারদর্শিতার অভীক্ষায় শ্রেণিকক্ষে বা পাঠদানে হয় তা পরিমাপ করে। 

      কিন্তু আদর্শায়িত পারদর্শিতার বিদ্যালয়ে কি পাঠদান হয়েছে তা বিচার করা হয় না নির্দিষ্ট বিষয়ে অর্জিত জ্ঞান।

২. অভীক্ষা পদের গুণগত মান:- শিক্ষক কৃত পারদর্শিতা পদ সমূহের গুণগত মান অজ্ঞাত, এবং সাধারণত আদর্শিত অভীক্ষার পদে তুলনায় কম।

       কিন্তু আদর্শিত সাধারণত পথগুলির গুণগত মান উচ্চ হয়। এগুলি  পূর্ব পরীক্ষিত এবং কাঠিত মান পার্থক্য নির্ণয়ের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচিত।

৩. নির্ভরযোগ্যতা ও যথার্থতা:- শিক্ষককৃত অভীক্ষা নির্ভরযোগ্যতা ও যথার্থতা অজ্ঞাত। গুলিসুনির্বাচিত হলে নির্ভরযোগ্যতা ও যথার্থতা বৃদ্ধি করা যায় না

       কিন্তু আদর্শায়িত পারদর্শিতার উচ্চ নির্ভরযোগ্য ও যথার্থতা বৃদ্ধি করা যায় ।

৪. নর্ম ও ম্যানুয়াল:- শিক্ষককৃত অভিক্ষায় নর্ম ম্যানুয়াল থাকেনা। 

           কিন্তু আদর্শিত অভিক্ষায় নর্ম ও ম্যানুয়াল  অপরিহার্য।

৫. প্রয়োগ ও নম্বর দান:- শিক্ষকৃত পারদর্শিতায় প্রয়োগ পদ্ধতি ও নম্বর পদ্ধতি সমতা আনা সম্ভব সাধারণভাবে এক্ষেত্রে নমনীয়তা দেখা যায়।

      কিন্তু আদর্শিত অভিক্ষায়  প্রয়োগ ও নম্বর দান পদ্ধতি নির্দিষ্ট এবং সুলিখিত। ফলে এর নমনীয়তা কম।

৬. স্কোরের  তাৎপর্য বিচারকরণ:- স্কোর কেবলমাত্র স্থানীয় বিদ্যালয় সমূহের মধ্যে বিচার করা যেতে পারে। 

        কিন্তু আদর্শিত সর্বজনীন মানের ভিত্তিতে স্কুল গুলি তাৎপর্য বিচার করা যায়।

৭. সময় ও আর্থিক ব্যয়:- শিক্ষককৃত অভীক্ষা পারদর্শিতায় অল্প সময়ে এবং সামান্য ব্যয় প্রস্তুত সম্ভব।

        কিন্তু আদর্শিত পারদর্শিতা যথেষ্ট সময়ও অর্থের প্রয়োজন।

৮. পুনঃ ব্যবহার যোগ্যতা:- শিক্ষক কৃত পারদর্শিতা পুনঃ ব্যবহার যোগ্য নয়।

      কিন্তু আদর্শতে পারদর্শিতার অভীক্ষা পুনঃ ব্যবহারযোগ্য। 

Sociometric Test:-

ভূমিকা:- মানুষ সামাজিক জীব। মানুষ সমাজ জীবনে বসবাসকালে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে চলাফেরার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হয়ে একে অপরের আচরণ গুনাগুন বিচার করার ক্ষমতা অর্জন করে।  সমাজে পছন্দ ও অপছন্দ ব্যক্তিকে কে কাকে কতটা পছন্দ করে সেটা নির্ধারণ করে  এই অভীক্ষা। সমাজমীতি অভীক্ষা হল ব্যক্তির অবস্থান বোঝার পরিমাপ করার অভীক্ষা।

Sociometric Test সমাজমিতি অভীক্ষা:- সমাজের চোখে ব্যাক্তির অবস্থান বোঝাতে যে কৈশল এর দ্বারা পরিমাপ করা হয়, সেই কৌশল কে বলা হয় Sociometric Test। এই পদ্ধতির প্রবর্তক হলেন বিশিষ্ট সমাজ বিজ্ঞানী J.L Moreno( ১৯৩২) জ্যাকবো লেভি মোরেনো।

সমাজমিতি অভীক্ষার বৈশিষ্ট্য:- 

১.প্রত্যাখ্যাত ব্যক্তিদের সনাক্ত করুন :- সমাজমিতির অন্যতম উদ্দেশ্য হল সেই ব্যক্তিদের সনাক্ত করা এবং শ্রেণীবদ্ধ করা যারা গোষ্ঠীর অন্যান্য উপাদানগুলির দ্বারা অধিকতর প্রত্যাখ্যানের শিকার হয়।

২. বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিদের সনাক্ত করুন :- সমাজমিতির আরেকটি উদ্দেশ্য হল এমন লোকদের সনাক্ত করা যারা নিজেদেরকে গ্রুপ থেকে বিচ্ছিন্ন বা বিচ্ছিন্ন মনে করে।

৩. ব্যক্তিত্ব সমাজ গঠনের সহায়তা:- এই আভিক্ষার মাধ্যমে একজন ব্যক্তির সমাজ গঠনে সহায়তা বিশেষভাবে করে এটি হলো সমাজনীতির একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

৪. ব্যক্তির অবস্থান নির্ধারণ:- একজন ব্যক্তি সমাজের মধ্যে কে কাকে পছন্দ করে এবং অপছন্দ করে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে একজন ব্যক্তির অবস্থান নির্ধারণ করে থাকে।

৫. ব্যক্তির আচরণ পরিমাপ:- সমাজের মধ্যে একজন ব্যক্তির অন্য ব্যক্তির সঙ্গে কিভাবে আচরণ করে এবং তার ব্যবহার তার মানসিকতা কিরূপ তা পরিমাপ করতে সাহায্য করে এই আভিক্ষা।

৬. অন্যান্য ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক নির্ধারণ:- সমাজে অন্যান্য ব্যক্তির সাথে একজন ব্যক্তির কিরূপ সম্পর্ক রয়েছে তা নির্ধারণ করে থাকে এই অভীক্ষা।

৭.ব্যক্তির গুনাগুন বিচার:-  সমাজমিতি অভীক্ষা দ্বারা ব্যক্তির গুনাগুন বিচার করা সম্ভব হয়। ব্যক্তির গুনাগুন বিচার করনে এই অভীক্ষা বিশেষভাবে কার্যকরী।

Psychometric Test :- সাইটোম্যাট্রিক অভিক্ষা হল এমন একটি কার্যকলাপ বা মূল্যায়ন যা একজন প্রার্থীর কর্মদক্ষতা মূল্যায়ন করার জন্য ব্যবহৃত হয়। মাধ্যমে ব্যক্তির দক্ষতা, জ্ঞান , বুদ্ধিমত্তা, ক্ষমতা , ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য, মনোভাব, এবং চাকরি/ শিক্ষাগত সম্ভাবনা গুলি পরিমাপ করা হয়।

Psychometric অভিক্ষার বৈশিষ্ট্য:-

১. কর্মদক্ষতা মূল্যায়ন করা:- এই অভীক্ষার মাধ্যমে একজন বিদ্যার্থীর কর্মদক্ষতা মূল্যায়ন করা হয়।

২. জ্ঞান ও দক্ষতার পরিমাপ:- শিক্ষার্থীর জ্ঞান ও দক্ষতা পরিমাপ করার জন্য বিভিন্ন রকম পদ্ধতি অবলম্বন করে তার মধ্যে অন্যতম psychometric a test। এই অভিক্ষা শিক্ষার্থীর জ্ঞান ও দক্ষতা পরিমাপ করে থাকে।

৩.বুদ্ধিমত্তা পরিমাপ:- একজন চাকরিরত ব্যক্তির বুদ্ধিমত্তা পরিমাপ করার ক্ষেত্রে এই সাইকোমেট্রিক অভীক্ষা বিশেষভাবে কার্যকরী।

৪. ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ:- ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাইকোমেট্রিক অভীক্ষাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৫. শিক্ষাগত মনোভাব সম্ভাবনা:- একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাগত মনোভাব সম্ভাবনার বৃদ্ধি ঘটাতে এই অভীক্ষা বিশেষভাবে কার্যকরী।

৬.চাকরির প্রার্থী নির্ণয়:- চাকরিপ্রার্থী নির্ধারণ বা নির্বাচন করার ক্ষেত্রে এই সাইকমেট্রিক অভীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চাকরিপ্রার্থী নির্ণয় করার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে কার্যকরী এই অভীক্ষা।

Type of Psychometric Test:- 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ