Write a short note on knowledge based curriculum
ভূমিকা:- জ্ঞান মূলক পাঠ্যক্রমে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে বিষয়বস্তু নির্বাচন করা হয়। সাধারণত যে পাঠ্যক্রম ছাত্রদের ব্যক্তিজীবন ও পরিপার্শ্বিক জীবনে অভিজ্ঞতা অর্জনের সাহায্য করে তাকেই বলে জ্ঞানমূলক পাঠ্যক্রম। এই পাঠ্যক্রমের মূল লক্ষ্য ব্যক্তির শারীরিক, মানসিক, সামাজিক অর্থনৈতিক ইত্যাদি বিভিন্ন অভিজ্ঞতার অর্জনের সাহায্য করা হয়। শিক্ষার মূল লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এখানে ব্যক্তির শারীরিক মানসিক সামাজিক উন্নয়ন উৎকর্ষতা বৃদ্ধি ও অভিজ্ঞতা অর্জনের সাহায্য করার উপর জোর দেওয়া হয়। তাই জ্ঞানমূল ক পাঠ্যক্রমের উপাদান হবে এমন যা শিক্ষার্থীকে তার ভবিষ্যৎ জীবনে আরো নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনের সাহায্য করবে এবং তা বাস্তব জীবনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
জ্ঞানমূলক পাঠ্যক্রমের বৈশিষ্ট্য:- জ্ঞানমূলক পাঠ্যক্রমের যেসব বৈশিষ্ট গুলি পরিলক্ষিত হয় সেসব বৈশিষ্ট্য গুলি হল
১. অভিজ্ঞতার সমন্বয় সাধন:- এই উপাদান শিক্ষার্থীর প্রত্যাশিত অভিজ্ঞতার বিন্যাস ও কার্যকরী সমন্বয় সাধন ঘটায়। এটি একটি জ্ঞানমূলক পাঠ্যক্রমের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
২. জ্ঞানসঞ্চালনমূলক দক্ষতার বিকাশ:- এই অভিজ্ঞতা গুলি বিচ্ছিন্ন নয়। শিশুর বুদ্ধির প্রক্ষভীক ও কর্ম সম্পাদন বা জ্ঞান সঞ্চালন মূলক দক্ষতা বিকাশের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ।
৩. বিষয়বস্তু সজ্জিত:- পাঠ্যক্রমের বিষয়গুলিকে সহজ থেকে জটিল ভাবে সজ্জিত করে রাখা হয়।
৪. শিক্ষণ সংগতি:- এরকম পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর শিক্ষণ সংগতি হয় প্রয়োজনের তাগিদে।
৫. স্তর বিন্যাস অনুযায়ী বিষয়বস্তু নির্বাচন :- স্তর বিন্যাস অনুযায়ী পাঠ্যক্রমের বিষয়বস্তু গুলিকে নির্বাচন করা হয়।
সুবিধা :- জ্ঞান মূলক পাঠ্যক্রমের সুবিধা
১. বিষয়কেন্দ্রিক ও কর্মকেন্দ্রিক অভিজ্ঞতা লাভ:- জ্ঞানমূলক পাঠ্যক্রমের শিক্ষার্থীরা বিষয়কেন্দ্রিক ও কর্মকেন্দ্রিক অভিজ্ঞতা সহজে লাভ করে থাকে।
২. জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা সুসজ্জিত রাখা:- এই পাঠ্যক্রমের প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা গুলিকে সুসজ্জিত আকারে স্থাপন করে রাখা হয়।
৩. স্বল্প সময়ে অধিক জ্ঞান অর্জন:- এই পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা স্বল্প সময় অনেক বেশি জ্ঞান অর্জন ও তথ্য পরিবেশন করতে পারে।
৪ . ব্যক্তি স্বতন্ত্রের প্রতি গুরুত্ব না দেওয়া:- এই পাঠ্যক্রমে ব্যাক্তি স্বতন্ত্রের কথা তেমনভাবে গুরুত্ব পায় না বা উল্লেখ করা থাকে না।
অসুবিধা :- জ্ঞানমূলক জ্ঞানমূলক পাঠ্যক্রমের অসুবিধা-
১. জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন:- জ্ঞানমূলক পাঠ্যক্রম জীবনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়। এই পাঠ্যক্রমটি শিক্ষার্থীর জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক হীন হওয়ায় তাদের শিক্ষার কার্যক্রমটি ব্যাহত হয়।
২. অমনোবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি:- শিশু মনের ওপর গুরুত্ব না দিয়ে অমনোবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বিষয়গুলি নির্বাচন করা হয় ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
৩. তাত্ত্বিক বিষয়ের গুরুত্ব প্রদান :- শিক্ষার ব্যবহারিক অপেক্ষা তাত্ত্বিক দিকের ওপর এই পাঠ্যক্রম বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।
৪. ব্যক্তি স্বতন্ত্রের উপর গুরুত্ব না দেওয়া:- ব্যক্তি স্বতন্ত্রের নীতির প্রতি এই পাঠ্যক্রম কোন গুরুত্ব দেওয়া হয় না
৫. বিছিন্ন বিষয় নিয়ে পাঠ্যক্রম গঠিত:- এই পাঠক্রম কতগুলি বিচ্ছিন্ন বিষয় নিয়ে গঠিত হয়, বলে শিক্ষার্থীদের ফলে শিক্ষার কার্যক্রমটি ব্যাহত হয়।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you