Write a short note on culture 🧫 based curriculum
ভূমিকা:- শিক্ষার উল্লেখযোগ্য বাহন হল পাঠ্যক্রম । জ্ঞান, অনুভূতি, কর্ম অভিজ্ঞতা এবং বিদ্যার্থী ও সমাজের চাহিদা কে ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে পাঠ্যক্রম। পাঠক্রম রচনাকারীকে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন পাঠ্যক্রমটি সমাজের চাহিদা ও শিশুর চাহিদা পূরণ করতে পারে । এক্ষেত্রে আমরা সাংস্কৃতিক ভিত্তিক পাঠ্যক্রমের কথা বলতে পারি।
Culture Based Curriculum:- সাংস্কৃতিক পাঠ্যক্রমের বিষয়বস্তু নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ সমাজের সদস্যগন শিক্ষা দীক্ষা আচার-আচরণ রীতিনীতি ইত্যাদির মাধ্যমেই তারা সমাজের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হয়। আবার সংস্কৃতির দ্বারাই ব্যক্তি জীবন প্রভাবিত হয়। এই সংস্কৃতি মানুষের মনে মূল্যবোধ জাগ্রত করে। সমাজের সদস্যদের ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ করে রাখে। সামাজিক আচার-আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে ইত্যাদি ।
*** কোঠারি কমিশনের মতে সাংস্কৃতিককে বিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। কমিশন মনে করেন এই জাতীয় পাঠ্যক্রম সমাজের আদর্শ নেতা তৈরি করে। তাছাড়া এই জাতীয় পাঠ্যক্রমই পারে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের দক্ষতা সঞ্চার করতে । আধুনিক শিক্ষাবিদরা সাংস্কৃতিক প্রাকৃতিক পাঠ্যক্রমে যে সমস্ত বিষয়বস্তু অন্তর্ভুক্ত করতে বলেছেন তা হল
১. জাতী সংক্রান্ত তথ্য :- যাদের চিন্তাধারা রীতি-নীতির দ্বারা সংস্কৃতিক বহিঃপ্রকাশ ঘটে থাকে যা শিক্ষকের নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।। তাই পাঠ্যক্রমের দেশের বিভিন্ন জাতি উপজাতি সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য যারা শিক্ষকদের সংস্কৃতি বহন করতে বলেছে সে সংক্রান্ত বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
২. ভৌগোলিক পরিবেশ:- দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ধরনের ভৌগোলিক পরিবেশ কোথাও নদী কোথাও সমতল কোথাও পাহাড় কোথাও মরুভূমি ইত্যাদি অবস্থানগত কারণে সাংস্কৃতিক ভিন্নতা পরিলক্ষিত করা যায় । পাঠ্যক্রম এই সংস্কৃতি ভিন্নতার স্থান রাখা হয়।
৩. ভাষা:- দেশে বিভিন্ন ধরনের ভাষার লোক বসবাস করেন এবং ভাষার সঙ্গে সাংস্কৃতিক প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে সাংস্কৃতির অন্যতম নির্ধারণ হল ভাষা। তাই পাঠ্যক্রমের ভাষার স্থান মর্যাদা সম্পন্ন ভাবে রাখা উচিত।
৪. অর্থনৈতিক পরিবর্তন:- যে কোন কাজে অর্থনৈতিক পরিবর্তন সাংস্কৃতিক পরিবর্তন ঘটিয়ে থাকে । অর্থনৈতিক পরিবর্তন সংস্কৃতির একটি নির্ধারক। তাই অর্থনৈতিক নীতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিভিন্ন পরিবর্তনও বিষয়গুলি পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরী।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you