Formative Evaluation? Characteristics of Formative Evaluation, Advantages, Disadvantage of Formative Evaluation ?
ভূমিকা: - কোনো কাজ চলাকালে কাজের নীতি, উৎকর্ষতা ও অগ্রগতি প্রত্যাশা অনুযায়ী হচ্ছে কিনা ইত্যাদি বিচারে যে মূল্যায়ন করা হয় তাকে Formative মূল্যায়ন বলে। শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। শিক্ষা প্রক্রিয়ায় পাঠদানের সময় শিক্ষার্থীর অগ্রগতি সম্পর্কীয় তথ্যসংগ্রহে Formative মূল্যায়ন ব্যবহার করা হয়। এই মূল্যায়নের প্রধান উদ্দেশ্য হল পাঠদান চলাকালীন শিক্ষক ও ছাত্র উভয়কেই সাফল্য ও ব্যর্থতা সম্পর্কে নিরবচ্ছিন্ন তথ্য সরবরাহ করা। একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সে কতটা সফল হয়েছে, কোথায় কোথায় ভুল হচ্ছে, কী পরিমাণে সংশোধনের প্রয়োজন সে সম্পর্কে Feedback দেয় অন্যদিকে শিক্ষার পাঠপদ্ধতির সংশোধন এবং শিক্ষার্থীদের সংশোধনমূলক পাঠদানের প্রয়োজন কিনা সে সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করে অর্থাৎ 'Feedback' দেয়।
কর্মচলাকালীন মূল্যায়নের বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Formative Evaluation): - কর্মচলাকালীন মূল্যায়নের বৈশিষ্ট্যগুলি হল নিম্নরূপ—
১. ধারাবাহিক প্রক্রিয়া:- যতদিন কার্যক্রম চলে অর্থাৎ শিক্ষাক্ষেত্রে কোনো একটি বিশেষ কোর্সে যতদিন পাঠদান প্রক্রিয়া চলে ততদিন এই মূল্যায়ন প্রক্রিয়া চলতে থাকে অর্থাৎ এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।
২. অংশভিত্তিক মূল্যায়ন:- শিক্ষাক্ষেত্রে কোনো বিশেষ ধরনের বিষয়সূচিকে ক্ষুদ্রতর অংশে ভাগ করে নিয়ে প্রতিটি ক্ষুদ্রতর অংশের মূল্যায়ন করা হয়।
৩. নিয়মিত পাঠগ্রহণ উপযোগী :- যে সব শিক্ষার্থী নিয়মিত পাঠগ্রহণ করে তাদের ক্ষেত্রে এই মূল্যায়ন অত্যন্ত উপযোগী।
৪.মনোবিজ্ঞান সম্মত:- এই মূল্যায়ন প্রক্রিয়াটি অনুসন্ধানমূলক, নমনীয়, বিজ্ঞান ও মনোবিজ্ঞান সম্মত।
৫.ত্রুটিমুক্তপাঠক্রম রচনা :- এই মূল্যায়নের উদ্দেশ্য হল ত্রুটিমুক্ত পাঠক্রম রচনা করা।
৬. সময় সাপেক্ষ :- সময় অপেক্ষাকৃত অনেক কম লাগে এবং বিশেষ কোনো আয়োজনের প্রয়োজন নেই, শিক্ষক নিজেই ব্যবস্থা করে নিতে পারেন।
কর্মচলাকালীন মূল্যায়নের সুবিধা-
১. শিক্ষার্থীর দুর্বলতা চিহ্নিত করা:- শিক্ষার্থীদের বিষয়গত দুর্বলতা সহজেই জানা সম্ভব হয় এবং সেই অনুযায়ী শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সংশোধনী পাঠের ব্যবস্থা করতে পারেন।
২. শিক্ষার্থীর উদ্দেশ্য ও প্রত্যাশা যাচাই করণ:- শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কী ধরনের প্রত্যাশা করা হচ্ছে অর্থাৎ এর উদ্দেশ্য কী সেই সম্পর্কে যাচাই করা হয়।
৩. সংশোধন মূলক প্রক্রিয়া:- এই মূল্যায়ন হলো একটি সংশোধক মূলক প্রক্রিয়া। যার ফলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এই মূল্যায়নের ফলে যে ফিডব্যাক পাওয়া যায় তা থেকে শিক্ষক নিজেকে সংশোধন করার সুযোগ পান।
৪. ব্যক্তিগত বৈষম্য অনুযায়ী নজর দেওয়া:- শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত বৈষম্য অনুযায়ী শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নজর রাখতে পারেন।
৫. শিক্ষক শিক্ষার্থীর সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ন:-- শিক্ষক শিক্ষার্থী সম্পর্ক অতি নিবিড় হয় এই মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের সঠিক পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করতে পারেন।
৬. অল্প সময় ও শ্রম সাশ্রয়:- যেহেতু বিষয়কে ছোটো ছোটো অংশে ভাগ করে নিয়ে মূল্যায়ন করা হয় তাই এই মূল্যায়নে সময়, ব্যায়, পরিশ্রম অনেক কম হয়।
৭. অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া:- এই মূল্যায়ন অভ্যন্তরীণ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে অযথা ভীতির সৃষ্টি করে না।
কর্মচলাকালীন মূল্যায়নের অসুবিধা (Disadvantages of Formative Evaluation) : -
১. পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের জন্য উপযোগী নয়:- এই মূল্যায়ন কি ছোট ছোট অংশে ভাগ করে নেওয়া হয়। ফলে এ মূল্যায়ন পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের জন্য উপযোগী হয়ে ওঠে না।
২. নির্ভরযোগ্যতা ও যথার্থতা কম:- এই মূল্যায়নের যথার্থতা ও নির্ভরযোগ্যতা কম।
৩. অধিক তথ্য সংগ্রহ:- এই মূল্যায়নের জন্য শিক্ষার্থীদের অনেক তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থী অনেক সময় দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ফলে তারা শিক্ষার জনে ব্যাহত হয়।
৪. বিজ্ঞানসম্মত নয়:- এই মূল্যায়ন হলো অমানবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। এই মূল্যায়ন কোন বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতি নয়।
৫. ধারাবাহিক প্রক্রিয়া:- এই মূল্যায়ন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।
৬. ব্যক্তি কেন্দ্রিক:- এই মূল্যায়নের মাধ্যমে ব্যক্তি কেন্দ্রিক ক্ষমতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
৭. কাজের গুরুত্ব কম:- এই মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা দলগতভাবে কাজ করার সুযোগ কম পায়। দলগত কাজের ওপর গুরুত্ব কম দেওয়া হয়।
৮. শিক্ষক কেন্দ্রিক:- এই মূল্যায়ন শুধুমাত্র শিক্ষক নির্মিত। মূল্যায়ন শিক্ষক কেন্দ্রিকতার উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you