Ticker

100/recent/ticker-posts

Translate

methods of organization of syllabus in formulating curriculum operations.

 methods of organization of syllabus in formulating curriculum operations.

ভূমিকা:-আধুনিক শিশু কেন্দ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থায় যেসব খন্ড খন্ড উপাদান নিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে তার মধ্যে একটি অন্যতম উপাদান হলো পাঠক্রম। পাঠক্রমের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীর বাস্তব জীবনের প্রতিফলন ঘটে। পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচির ব্যবস্থাপনা। শিক্ষার বাস্তবায়িত করার জন্য পাঠ্যক্রম সংগঠন ও পাঠ্যশীল ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিতে হবে।

পাঠ্যক্রম সংগঠন:- পাঠ্যক্রম সংগঠনের ক্ষেত্রে যেসব নীতিগুলি দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে সেগুলি হল

১. বিষয় ও সময়সীমা স্থির কারণ:- সময় সীমা অনুযায়ী পাঠ্যক্রমের আকার কি হবে এবং কি কি বিষয় থাকবে তা স্থির করা হয়।

২. নীতির ভিত্তি নির্বাচন:- পাঠ্যক্রমের বিষয়গুলি কোন কোন নীতির ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে, তা এই স্তরে পাঠ্যক্রম সংগঠনের কথা বলা হয়েছে।

৩. বিষয়বস্তুর নীতি নির্ধারণ:- নির্বাচিত বিষয়গুলি কিভাবে বিনষ্ট হবে। একক মডেল ধারণা অভিজ্ঞতা ইত্যাদি সম্বন্ধে নীতি নির্ধারণ করা হয় এই স্তরের মাধ্যমে।

৪. শিক্ষণ পঠন পাঠন:- পঠন পাঠন এর মাধ্যমে ও সম্ভাব্য পদ্ধতি এবং সংশ্লিষ্ট শিখন ও পাঠক উপযোগী সরঞ্জামসমূহ এই সংগঠনের মাধ্যমে নির্ধারণ করা থাকে।

৫. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসককে নির্দেশ:- শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসক প্রমুখের জন্য বিশেষভাবে নির্দেশ দান করে থাকে এই পাঠ্যক্রম সংগঠন।

পাঠ্যক্রমের প্রয়োজনীয়তা:- শিক্ষা ব্যবস্থায় পাঠ্যক্রম প্রয়োজনীয় কেন তা নীচের পদক্ষেপগুলিকে অনুসরণ করলে বোঝা যাবে।

১. জ্ঞান অর্জন বিকাশ ঘটানো:- অন্যান্য প্রাণী যা পারে না মানুষ তা পারে। তাহলে জ্ঞান অর্জন করতে একটি সুনির্দেশ সুনির্দিষ্ট পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে হয়ে থাকে।

২.  সর্বাঙ্গীণ বিকাশের জন্য:- পাঠ্যক্রম সমস্ত শিক্ষার্থীর বুদ্ধি মানসিক, ব্যক্তিগত, সামাজিক, এবং শারীরিক বিকাশ, ঘটাতে পারে তাই পাঠক্রম সর্বাঙ্গ বিকাশের জন্য প্রয়োজন।

৩. শিক্ষার্থীর লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা:- শিক্ষার্থীর চাহিদা ও সমর্থকে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার্থীকে তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে এই পাঠ্যক্রম।

৪. প্রত্যশা ও আকাঙ্ক্ষার বৃদ্ধি ঘটানো:- পাঠ্যক্রম সফল শিক্ষার্থীর আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশার বৃদ্ধি ঘটায়।

৫. মূল্যবোধের বিকাশ:- পাঠ্যক্রম সকল শিক্ষার্থীর মূল্যবোধ জাগ্রত করে তাদের মূল্যবোধের বিকাশ ঘটে। সমাজের সার্থকভাবে মানে চলতে সাহায্য করে।

৬. সাফল্যকে চিহ্নিতকরণ:- পাঠ্যক্রম শিক্ষার্থীর দক্ষতা, প্রবণতা ,জ্ঞান ,ক্ষমতা, কে গুরুত্ব দিয়ে তার সাফল্যকে চিহ্নিত করে থাকে।

৭. ভিতরে ও বাইরে জ্ঞানের বিকাশ:- শিক্ষার্থীর নিজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিদ্যালয়ের ভিতর ও বিদ্যালয়ের বাইরে জ্ঞানের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে। তাই পাঠক্রম শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজন।

৮. আত্ম উপলব্ধির বিকাশ:- আত্ম উপলব্ধির  মাধ্যমে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে।

৯. ভবিষ্যৎ জীবনে প্রস্তুতকরণ:- ভবিষ্যৎ জীবন সঠিক জীবিকা নির্বাহের জন্য পাঠ্যক্রম শিক্ষার্থীকে সক্ষম করে তোলে। যাতে করে চিৎকার দিয়ে ভবিষ্যৎ জীবনে উন্নতি ঘটাতে পারে।

১০. সমাজ পরিবর্তনের সাহায্য:- পাঠক্রম সমাজ পরিবর্তণ এবং সমাজ নিয়ন্ত্রণের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। সমাজের পরিবর্তন ঘটাতে সাহায্য করে এই পাঠ্যক্রম। সমাজ ও শিক্ষার্থীর দের জন্য বিশেষভাবে পাঠ্যক্রম প্রয়োজন।

পাঠ্যসূচির ব্যবস্থাপনা:- পাঠ্যসূচি বলতে সাধারণত কোন পাঠ্য বিষয়ের অন্তর্গত কে বোঝায়। শিক্ষা বিকাশে আবশ্যক পাঠ্যক্রমের একটি অংশ হিসেবে বা উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই অংশটির উদ্দেশ্য মুখি অর্থাৎ পাঠ্যসূচির মাধ্যমে শিক্ষার লক্ষ্যে পৌঁছানো অসম্ভব না হলেও আংশিকভাবে সেই লক্ষ্যের দিকে পৌঁছানো যায়। পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে যে অংশটি আংশিকভাবে শিক্ষার লক্ষ্যের পথে একান্তভাবে সাহায্য করে তাকে পাঠ্যসূচি বলে এই ধরনের কতগুলি অংশে সমাজের পাঠ্যক্রম এর গড়ে উঠে।

পাঠ্যক্রমের প্রয়োগগত দিক:- যেকোনো ধরনের পাঠ্যক্রম রচনার ক্ষেত্রে প্রয়োগগত দিক থেকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়। কেননা যে পাঠ্যক্রম যত বেশি প্রয়োগ কত দিক থেকে সহজ সরল হয় সেই পাঠ্যক্রমের কার্যকারী খুব বেশি বৃদ্ধি পায় তার জন্য পাঠ্যক্রম রচনা করার কোন পাঠ্যসূচির চেয়ে টুকরো টুকরো অংশগুলোর ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয় সেগুলি হল।

A. কর্মকেন্দ্রিকতা নীতি।

B.. পরিবর্তনশীলতার নীতি।

C. বৈচিত্রতার নীতি।

A. কর্মকেন্দ্রিকতা নীতি:- আধুনিক শিক্ষা ক্ষেত্রে পাঠ্যক্রমের পাঠ্য বিষয়বস্তু নির্ণয় করা বিষয় অর্থাৎ পাঠ্যক্রমের উপাদান গুলিকে এমনভাবে নির্বাচন করা হয় যেন বিষয়ক বিমূর্ত জ্ঞান শিক্ষার্থীদের সহজেই গ্রহণ করতে পারে।

B. পরিবর্তনশীলতার নীতি:- "চলত চিন্তন চলত  জীবন যৌবন" । জগৎ জীবনের যেমন সব সময় পরিবর্তনশীল এই পরিবর্তনশীলতার সাথে সাথে বিস্তার তথা সমাজের চাহিদা অরুচি আগ্রহ অনুযায়ী পাঠ্যক্রম প্রস্তুত করতে হবে।

C. বৈচিত্রতার নীতি:- পাঠ্যক্রম যাতে শিক্ষার্থীদের কাছে একঘেয়েমি না হয়ে পড়ে বা  শিক্ষার্থীরা কোন পাঠ্যক্রমকে অনুসরণ করতে গিয়ে নিরীক্ষা প্রকাশ করে । সেই দিক লক্ষ রেখে পাঠ্যসূচী নির্ধারণের যেন অবশ্যই বৈচিত্রতা  আনতে হবে।

উপসংহার :-শীতকালে পাঠ্যক্রম রচনা করার যেন যে সংখ্যা দিকগুলির ওপর বিশেষভাবে জোর দেওয়া হয়। তাহলে পাঠ্যক্রমের একক গুলিকে যথাযথভাবে নির্বাচন করে পরিপূর্ণ ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটানোর এবং শিক্ষার লক্ষ্যের প্রতি এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তাই Crow and Crow বলেছেন যে শিক্ষার্থীর সর্বাঙ্গীণ বিকাশ ঘটাতে শিখলের অন্তর্গত করা হয়। অভিজ্ঞতা গুলিকে অর্থাৎ পাঠ্যসূচি ও পাঠ্য বিষয়বস্তুকে নির্দেশ করতে হবে।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ