Ticker

100/recent/ticker-posts

Translate

Demonstration Method , Advantage and Disadvantage, Important of Demonstration Method?

 Demonstration Method , Advantage and Disadvantage, Important of Demonstration Method?


প্রদর্শন পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য, সুবিধা অসুবিধা এবং গুরুত্ব আলোচনা করো!

ভূমিকা:- প্রাচীনতম পদ্ধতি হিসেবে প্রদর্শন পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়, তবে এরা রয়েছে সুবিধা অসুবিধা যা প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী শিক্ষক জানতে হয় ও নির্ধারণ করতে হয়। পরিকল্পনা মত প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বা উপকরণ ব্যবহার করে হাতে-কলমে পরীক্ষা নীরিক্ষার মাধ্যমে বা ব্যবহারিকভাবে কোন ঘটনা অথবা বিষয়বস্তু শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করার  পদ্ধতি এটি। প্রদর্শন পদ্ধতি এমন একটি প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট যেখানে কোন কিছু প্রদর্শন, বর্ণনামূলক এবং অনু


শীলনের সুযোগ বিদ্যমান।

যে পদ্ধতির মাধ্যমে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শিক্ষক মহাশয় তাত্বিক জ্ঞানগুলোকে ব্যবহারিক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করেন তাকে উপপাদন বা প্রদর্শন পদ্ধতি বলা হয়।

              এই পদ্ধতিতে শিক্ষক মহাশয় বিভিন্ন শিক্ষণ উপকরণ ব্যবহার করেন, প্রয়োজনীয় চিত্র অঙ্কন করেন, বিভিন্ন রকম উদাহরণ ও ব্যাখ্যা দিয়ে কোন একটি বিষয়কে ছাত্রছাত্রীদের সামনে আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করেন।

প্রদর্শন পদ্ধতি:- প্রদর্শন পদ্ধতির মূল কথা বিষয়বস্তু সম্পর্কিত উপস্থাপন ও প্রদর্শন মাধ্যমিক শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের বিষয়বস্তু সম্বন্ধে সঠিক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা।

প্রদর্শন পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য:- প্রদর্শন পদ্ধতির যেসব বৈশিষ্ট্য গুলি রয়েছে সেগুলি হল নিম্নরূপ--

১. উপকরণ সংগ্রহ:- প্রদর্শন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহ বা যন্ত্রপাতি সঞ্চিত করে সহজ ভাবে পাঠদানের বিষয়টি হাতে-কলমে দেখানো এবং পরীক্ষার সময় বৈশিষ্ট্যপূর্ণ অংশগ্রহণ শিক্ষার্থীর নিকটর ব্যাখ্যা করা, ইত্যাদি এই পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য।

২. শিক্ষার্থীর হৃদয় মম:- প্রদর্শন পদ্ধতি যদিও শিক্ষক কেন্দ্রিক তথা প্রাচীনতম পদ্ধতি পাঠদান পদ্ধতির অন্তর্গত একটি পদ্ধতি হিসেবে গণ্য হয়ে এসেছে,  তবু এই পদ্ধতিতে শিক্ষকই উপস্থাপকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে, বিষয়বস্তু শিক্ষার্থীর কাছে হৃদয় মম হয়।

৩. শিক্ষার্থী শ্রোতা ও দর্শক:- প্রদর্শন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা সাধারণত নিষ্ক্রিয় শ্রোতা ও দর্শক ( বক্তৃতা পদ্ধতির মতোই)  হিসেবে শ্রেণীকক্ষে উপস্থাপিত থাকলেও পাঠ্যবিষয় অনুধাবন করতে অপেক্ষাকৃত বেশি তৎপর হয়।

৪. বাস্তব জ্ঞান আহরণ:- এই পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যে জ্ঞান আহরণ করে তা বাস্তব।

প্রদর্শন পদ্ধতির গুরুত্ব:- প্রদর্শন পদ্ধতির যেসব গুরুত্ব রয়েছে সেগুলিকে আলোচনা করা হলো

১. সকল শিক্ষার্থীকে শিক্ষা দান:- এই প্রদর্শন পদ্ধতির মাধ্যমে সকল শিক্ষার্থীকে শিক্ষাদান দেওয়া সম্ভব। এই পদ্ধতি সকল শিক্ষার্থীকে শিক্ষাদান দিতে সাহায্য করে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

২. শিক্ষার্থীর সক্রিয়তা বৃদ্ধি :- এই প্রদর্শন পদ্ধতি শিক্ষার্থীর সক্রিয়তা বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৩. বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন:- এ পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করে থাকে। বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের শিক্ষার্থীদের বিশেষভাবে প্রদান করে থাকে এই পদ্ধতি।

৪. শিক্ষার্থী শ্রোতা:- এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী শ্রোতা ও দর্শকের মত ভূমিকা পালন করে।

৫. অল্প সময় অধিক জ্ঞান অর্জন:- এই ডেমোস্ট্রেশন বা প্রদর্শন পদ্ধতি মাধ্যমে বা উপপাদন পদ্ধতি দ্বারা অল্প সময়ে শিক্ষার্থীরা অধিক জ্ঞান অর্জন করে থাকে।

প্রদর্শন পদ্ধতির সুবিধা/উপযোগিতা:- প্রদর্শন ও উপপাদন পদ্ধতির যেসব সুবিধা গুলি রয়েছে সেগুলি হল-

১. বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন:- এই পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে। এটি একটি প্রাচীনতম পদ্ধতি।

২. অল্প সংখ্যক যন্ত্রপাত:- যেসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কম ,যন্ত্রপাতি ও উপকরণের অভাব সেখানেই এই প্রদর্শন পদ্ধতিতে স্বল্প সংখ্যক যন্ত্রপাতি ও শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার করে বেশি সংখ্যা শিক্ষার্থীকে শিক্ষা দেওয়া হয়।

৩. একসঙ্গে অনেক শিক্ষার্থীকে শিক্ষাদান:- এ পদ্ধতির অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলো একসঙ্গে অনেক শিক্ষার্থীকে শিক্ষা দেওয়া। এই পদ্ধতির মাধ্যমে একসঙ্গে অনেক অংক শিক্ষার্থীকে শিক্ষা দেওয়া যায়।

৪. কার্যকর পদ্ধতি:- সাধারণ শিক্ষার্থীরদের জন্য এই পদ্ধতি বিশেষ বা বেশি কার্যকর একটি পদ্ধতি।

৫. সকল শিক্ষার্থীর সুযোগ:-এই পদ্ধতিতে সাভার অংশগ্রহণ ও অনুশীলনের সুযোগ থাকে।

৬. স্থায়ী আসন প্রতিষ্ঠিত:- প্রদর্শন পদ্ধতির একটি সবচেয়ে ভালো দিক হলো, শিক্ষার্থীর মনে এর দ্বারা শিক্ষার বিষয়বস্তুর একটি স্থায়ী আসন প্রতিষ্ঠিত হয়।

৭. সকল শিক্ষার্থীর পক্ষে কার্যকরী :- এই প্রদর্শন পদ্ধতির সকল শিক্ষার্থীর পক্ষে কার্যকরী হয়।

৮. সক্রিয়তা বৃদ্ধি করা:- এ পদ্ধতি সকল শিক্ষার্থীদের সক্রিয়তা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

৯. বিষয়বস্তুর উপস্থাপন:- এই পদ্ধতির মাধ্যমে যে কোন বিষয়বস্তুকে সহজভাবে উপস্থাপন করা যায়।

১০.  মনোবিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতি:- এ পদ্ধতি হল একটি মনোবিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতি।

প্রদর্শন পদ্ধতির অসুবিধা/সীমাবদ্ধতা/ত্রুটি/সমস্যা:- এই প্রদর্শন পদ্ধতির যেসব অসুবিধা গুলি রয়েছে সেগুলিকে আলোচনা করা হলো -

১. হাতে কলমের শিক্ষার অভাব:-এই প্রদর্শন পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শিক্ষা দানের অভাব রয়ে যায়।

২. ব্যক্তিগত পার্থক্যের উপর গুরুত্ব না দেওয়া:- প্রদর্শন পদ্ধতি হলে এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে ব্যক্তিগত পার্থক্যের ওপর গুরুত্ব  দেওয়া হয় না।

৩. উপকরণ অপ্রতুল:-যদি শিক্ষা উপকরণ অপ্রতুল হয় তবে, এই পদ্ধতি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত করা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অসম্ভব হয় না।

৪. শিক্ষক অপ্রস্তুত:- প্রাচীনতম পদ্ধতি বাস শিক্ষক কেন্দ্রিক পদ্ধতির ত্রুটি এখানে থেকেই যায়, কেননা এখানে শিক্ষকের সক্রিয়তা প্রস্তুত থাকে।

৫. শ্রেণী বৃব্শৃঙ্খলা:- উন্নয়নশীল দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিকভাবে প্রত্যেক শ্রেণীতে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী থাকে বলে প্রদর্শন পদ্ধতি পাঠ দানে সমস্যা হয়ে ওঠে। শিক্ষকের একধারে মৌখিক বিবৃতি, উপকরণ ব্যবহার এবং শ্রেণি-শৃংখলার প্রতি সজাগ দৃষ্টি।

৬. হাতি কলমে শিক্ষা না দেওয়া:- শিক্ষার্থীর নিজের হাতে কাজ করার সুযোগ এখানে নেই, তাই প্রদর্শন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা তেমন ব্যবহারিক দক্ষতা অর্জন করতে পারে না।

৭. দক্ষতা ও প্রস্তুতির প্রয়োজন:-এখানে শিক্ষকের যথেষ্ট দক্ষতা ও প্রস্তুতির প্রয়োজন, যার সুযোগ সব সময় তার থাকেনা।

প্রদর্শন বা উপপাদন পদ্ধতির স্তর:- 

১) পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি পর্ব :- প্রদর্শন পদ্ধতি পাঠ করার আগে বা কোন ক্লিনিক পক্ষে আলোচনা করার আগে একটি পরিকল্পনা বা প্রস্তুতি তৈরি করবে এই স্তরে।

২) পাঠ সূচনা পর্ব:-  এই স্তরে পাঠ সূচনা করবে। শিক্ষার্থীদের পাঠ্য সূচনা করে বিষয়বস্তু উপস্থাপন করবে।

৩) উপস্থাপন পর্ব:-  এই স্তরের পদ্ধতির পরিকল্পনা ও পার্টস ঘোষণা করার পর যেকোনো বিষয় নিয়ে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করবে।

৪. ব্ল্যাক বোর্ডের ব্যবহার:- বিষয়বস্তুকে উপস্থাপন করার জন্য ব্ল্যাকবোর্ড এর ব্যবহার করবেন। আর  স্তরে ব্লাক বোর্ডের ব্যবহারে কথা বলা হয়েছে।





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ