Evaluation of Curriculum of the School Stage বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম মূল্যায়নের স্তর ।
ভুমিকা:- বিদ্যালয় এর পাঠ্যক্রম মূল্যায়নের চারটি স্তর রয়েছে সেই চারটি স্তর হল ১. প্রাক প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যক্রম ২. প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যক্রম ৩. মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যক্রম।
১. প্রাক প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যক্রম :- প্রাক-প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক-শিক্ষার পাঠক্রমে কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর গুরুত্ব না দিয়ে একাধিক বিষয়কে বেছে নেওয়া হয়। এগুলি হল-
(1) ভারতীয় সমাজব্যবস্থা।
(2) শিশু মনস্তত্ত্ব—প্রকৃতি, পরিধি, বিভিন্ন পরিকল্পনা ও কর্মসূচি।
(3) বিকাশমূলক মনোবিদ্যা-শারীরিক বিকাশ, মানসিক বিকাশ, নৈতিক বিকাশ, প্রাক্ষোভিক বিকাশ, সামাজিক বিকাশ, নান্দনিক বিকাশ প্রভৃতি।
(4) মানসিক স্বাস্থ্যবিদ্যা - স্বাভাবিক ও অস্বাভাবিকতার কারণ এবং তার মাপকাঠি, অস্বাভাবিক আচরণের বৈশিষ্ট্য ও প্রতিকারের উপায়।
(5) অভ্যাস, স্মৃতি, প্রেষণা ও শিখন সম্পর্কে জানা।
(6) ব্যবহারিক পাঠ্যসূচিতে অঙ্কন, সঙ্গীত, নৃত্য, নাটক, খেলাধুলা ইত্যাদি।
২. প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যক্রম:- প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক-শিক্ষার পাঠক্রমের বিষয়গুলি হল নিম্নরূপ—
(1) ভারতের প্রাথমিক শিক্ষার ইতিহাস।
(2) শিক্ষণ ও শিখনের মনস্তত্ত্ব।
(3) মূল্যায়ন ও রাশিবিজ্ঞান সম্পর্কে ধারণা।
(4) মানসিক স্বাস্থ্য ও অস্বাভাবিক মনোবিদ্যা।
(5) স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা।
(6) বিদ্যালয় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা।
(7) নির্দেশনা ও পরামর্শদান।
(8) বিশেষ শিশুদের শিক্ষা।
(9) ব্যবহারিক অংশ হিসাবে কর্মশিক্ষা, বিদ্যালয় সমাজের কর্মসূচি, প্রাথমিক স্তরের কোনো বিষয়ের বিশ্লেষণ প্রভৃতি।
৩. মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যক্রম:- (1) শৈশবকালীন বৃদ্ধি।
(2) সমকালীন ভারত ও শিক্ষা।
(3) ভাষা অভিমুখী পাঠক্রম ।
(4) পঠন এবং পাঠের প্রভাব।
(5) শিখন এবং শিক্ষণ।
(6) বিদ্যালয় বিষয়সমূহের পেডাগজি।
(7) প্রজ্ঞা ও পাঠক্রম।
(৪) শিখনের মূল্যায়ন ।
(9) শিক্ষায় নাটক ও কলা।
(10) স্কুল ইন্টার্নশিপ।
(11) লিঙ্গ প্রসঙ্গে বিদ্যালয় ও সমাজ।
(12) অন্তর্ভুক্তিমূলক বিদ্যালয় সংগঠন।
(13) ঐচ্ছিক বিষয়- কর্মশিক্ষা/বৃত্তিশিক্ষা, স্বাস্থ্য শিক্ষা, শান্তি শিক্ষা, নির্দেশনা ও পরামর্শদান, পরিবেশ ও জনসংখ্যা শিক্ষা, যোগ শিক্ষা ইত্যাদি।
(14) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি।


0 মন্তব্যসমূহ
Thank you