Ticker

100/recent/ticker-posts

Translate

আধুনিক পাঠ্যক্রম কাকে বলে ? আধুনিক পাঠ্যক্রমের বৈশিষ্ট্য ও প্রকৃতি আলোচনা কর !

  আধুনিক পাঠ্যক্রম কাকে বলে ? আধুনিক পাঠ্যক্রমের বৈশিষ্ট্য ও প্রকৃতি আলোচনা কর !



ভূমিকা:- বর্তমান শিক্ষা হল একটি জীবনব্যাপী, উদ্দেশ্য মুখি , পরিবর্তনশীল,  জটিল প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া কে ফলপ্রসূ করতে গিয়ে এসব খন্ড খন্ড উপাদান নিয়ে  গড়ে উঠেছে তার মধ্যে একটি অন্যতম উপাদান হলো পাঠ্যক্রম। পাঠ্যক্রম হল শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। পাঠ্যক্রমের মধ্য দিয়ে বাস্তব জীবনের প্রতিফলন ঘটে। তাইতো বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ 

কিলপেট্রিক বলেছেন যে -" Curriculum Menifests Of Live In Reality".

আধুনিক পাঠ্যক্রম:- পাঠ্যক্রমের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো ' Curriculum ' এই শব্দটি একটি ল্যাটিন শব্দ ' Curriere ' থেকে এসেছে। যার অর্থ হলো নির্দিষ্টের লক্ষ্যে পৌঁছানোর দৌড় বা পথ ( A Race For Reaching A Goal) এখানে শিক্ষাকে দৌড়ের সঙ্গে তুলনা তুলনা করা হয়েছে। তোর প্রতিযোগিতায় যেমন অংশগ্রহণকারী তার সামর্থ্য অনুযায়ী নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে কার্যসম্পাদন করে, ঠিক তেমনি শিক্ষার্থী সামর্থ্য অনুযায়ী পাঠ্যক্রমেকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছায়।

       * পাঠ্যক্রম  প্রসঙ্গে বলেছেন- পাঠক্রম হলো এমনই উপাদান যার মধ্য দিয়ে বাস্তব জীবনের প্রতিফলন ঘটে।

,      * পাঠক্রম প্রসঙ্গে হার্নিব বলেছেন যে- শিক্ষার্থীর যা কিছু শিখে তাই হলো পাঠ্যক্রম।➣➢পরিশেষে বলা যায় যে, শিক্ষার উদ্দেশ্য, বিষয়বস্তু, শিক্ষণ পদ্ধতি, ও মূল্যায়ন এই চারটি উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত পূর্ণাঙ্গ রূপ বা তন্ত্রটি হল পাঠক্রম।


আআধুনিক পাঠ্যক্রমের বৈশিষ্ট্য ও প্রকৃতি:- আধুনিক পাঠ্যক্রমের যেসব বৈশিষ্ট্যগুলি রয়েছে সেসব বৈশিষ্ট্য গুলিকে নিম্নরূপভাবে আলোচনা করা হলো-

১. পূর্ব নির্ধারিত:- যেকোনো শ্রেণীর পাঠ্যক্রম অভিজ্ঞ ব্যক্তি দ্বারা নির্ধারিত করা থাকে।

২. পরিবর্তনশীলতা:- আধুনিক পাঠ্যক্রমের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল পরিবর্তনশীলতা। আধুনিক পাঠ্যক্রম শিক্ষার্থীর চাহিদা তথা আমাদের চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে সব সময় পরিবর্তনশীল হয়ে থাকে।

৩. পরিবর্তনযোগ্য:- আধুনিক পাঠ্যক্রমের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল পরিবর্তনশীলতা। আধুনিক পাঠ্যক্রম শিক্ষার্থীর চাহিদা তথা আমাদের চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে সব সময় পরিবর্তনশীল হয়ে থাকে।

৪. মনোবিজ্ঞান সম্মত:- আধুনিক পাঠ্যক্রমের রচনার সময় মনোবিজ্ঞান এর নীতি ও তত্ত্বগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে পাঠ্যক্রম রচনা করা হয়। এ প্রসঙ্গে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ, প্রবণতা, ক্ষমতা, তথা ব্যক্তি পার্থক্যের নীতির কথা বলা যেতে পারে।

৫. লক্ষ্যের সঙ্গে সম্পর্ক:- আধুনিক পাঠ্যক্রমের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল লক্ষ নির্ভরতা। শিক্ষার যে কোন স্তরের পাঠ্যক্রম সেই স্তরের শিক্ষার লক্ষ্য সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।

৬. চাহিদা ও সামর্থ্য নির্ভর:- আধুনিক পাঠ্যক্রম রচনা সময় শিক্ষার্থীদের সামর্থ্য, চাহিদা তথা সমাজের চাহিদার প্রতি সতর্ক লক্ষ্য রেখে পাঠক্রম রচনা করা হয়।

৭. অভিজ্ঞতার সমন্বয়:- পাঠ্যক্রম কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয় না বিভিন্ন অভিজ্ঞতার সমন্বয় হলো পাঠ্যক্রম।

উপসংহার:- অবশেষে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে পাঠ্যক্রম কোন নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু ও সহজ সরল প্রক্রিয়া নয়। পাঠ্যক্রম একটি জীবনব্যাপী ও উদ্দেশ্যমুখী প্রক্রিয়া। পাঠ্যক্রম রচনা করতে শিক্ষার্থীর চাহিদা ও সামর্থ্য নির্ভর এবং অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে গড়ে তুলতে হয়।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ