Ticker

100/recent/ticker-posts

Translate

write a short note on Bloom taxonomy of education objectives

   ১) write a short note on Bloom taxonomy of education objectives

                 


ব্লুম, প্রথমেই শিক্ষার লক্ষ্য গুলি কি তিনটি প্রধান বর্গে বিভক্ত করেছেন। যথা—১) প্রজ্ঞামূলক (Cognitive Domain), ২) অনুভবমূলক Affective Domain. ৩) মনোসঞ্চালনমূলক Psychometric Domain ) এই তিনটি বর্গের অধীনে লক্ষ্য গুলির প্রত্যেকটির একটি ক্রমিক ঊর্ধ্বমুখী স্তর আছে। সর্বনিম্ন স্তর থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ স্তরের তাৎপর্য এই যে সর্বনিম্ন স্তর থেকে ধাপে ধাপে সর্বোচ্চ স্তর প্রাপ্ত শিখন ও শিখনের অভিমুখে পরিচালিত হয়। বর্ণনা করার সময় সর্বনিম্ন স্তর থেকে শুরু করে পরপর পরবর্তী ক্রমিক স্তরের লক্ষ্যগুলিকে উল্লেখ করা হয়।

*শিক্ষার লক্ষ্য:- প্রজ্ঞামূলক বর্গ এডুকেশনাল Objectives Cognitive Domain) এই বর্গের প্রধান বিষয় জ্ঞান ও তার ক্রমিক সংগঠন।

১. অবগমন knowledge:- knowledge কথাটির জ্ঞান অর্থে সাধারণত ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এখানে সর্বনিম্ন লক্ষ্য হিসেবে অবগমন কথাটি অধিকতর অর্থপূর্ণ। প্রথমে কোন তথ্য স্মৃতিতে ধারণ করা এবং তাকে স্মৃতি থেকে পুনরুদ্ধার করা এটি সর্বনিম্ন লক্ষ্য। ঈশ্বরগত জ্ঞান লক্ষ্য হলো নির্দিষ্ট বিষয়ের জ্ঞান, নাম অথবা সংজ্ঞা নির্দিষ্ট ঘটনার বা তথ্য পদ্ধতি প্রথা কোনো কিছুর গতিপ্রকৃতি প্রভৃতি সমালোচনা প্রাথমিকভাবে জানার প্রক্রিয়ায় হল শিক্ষার প্রথম ধাপ। এখানে জানা এই কথাটির অর্থ কে বলা হয়েছে যে স্মৃতি ভান্ডারেরসঞ্চয় ও তাকে পুনরুদ্রেক কার্য করার প্রক্রিয়া। এছাড়াও অবগমনের আরো একটু উচ্চতর পর্যায়ে আছে শ্রেণীবিভাগ সম্বন্ধে লক্ষণ সম্বোধন পদ্ধতিগত সর্বজনীনতা, নীতি ও সামান্যইকরণ এবং তত্ত্ব ও গঠন সম্পর্কিত জ্ঞান।

২. সংশোধন Comprehension:- কোন কিছু প্রাথমিকভাবে জানা থাকলে পরবর্তী কাজ হল তার অর্থ ও তাৎপর্যবোধ, অজ্ঞাত বিষয়ের তাৎপর্য বোঝা সম্ভব নয়। সেজন্য অবগমনের পর তার একটি উচ্চতর লক্ষ্য সংশোধন। অর্থাৎ বিভিন্ন প্রকার বিভিন্ন তথ্যের প্রতিটি বিষয়ের তাৎপর্য অনুধাবন করা। তাৎপর্য বোধের কয়েকটি স্তর আছে। যেমন- রূপান্তরিতকরণ Tranformstion সংব্যাখ্যা Interpretation তাৎপর্য আরোপ Extrapolation ইত্যাদি।

৩. প্রয়োগ Application:- শিক্ষার্থী যখন কোন তথ্য মনে রাখে এবং তার তাৎপর্য বুঝতে পারে তখন তার উপযুক্ত ক্ষেত্র প্রয়োগ করা সম্ভব হয়। বীজগণিতের সূত্র, ব্যাকরণের নিয়ম, কিংবা কোন বিশেষ, কার্যপ্রণালী যাইহোক প্রথমে স্মৃতি থেকে তার অর্থবোধ হওয়া প্রয়োজন। তখনই শিক্ষার্থী ওই সূত্র, নিয়ম ব কার্যপ্রণালীর যথাযথ, প্রয়োগ করতে পারে। নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য অবগত জ্ঞানের প্রয়োগ একটি আবশ্যিক শর্ত।

৪. সংগঠন Organization:- প্রতিদিনের পাঠের বিষয়বস্তুর প্রতি যে গুরুত্ব আরোপ করা হয় এবং তার ফলে যে নিষ্ঠা জন্মায় সেগুলি ক্রমশ সংঘটিত হতে থাকে, এবং বিষয়টি ক্রমশ সামগ্রিকভাবে যে গুরুত্বপূর্ণ এই বোধ শিক্ষার্থীদের মধ্যে গড়ে ওঠে।

৫. চরিত্রায়ন Characterzation:- বিষয়বস্তুর গুরুত্ব নিষ্ঠা এবং সে সম্বন্ধে ব্যাক্তিগত ধারণা সংঘটিত হয় যা শেষ পর্যন্ত ব্যক্তির চর িত্রদের বিচার-বিশ্লেষণ এ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এমন একটি বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকট হয়ে ওঠে যাতে বোঝা যায় কোন একটি বিষয়ের মৌলিক বৈশিষ্ট্য গুলি তার চরিত্রের অনুভূতি হয়ে গেছে। এটি অনুভব বর্গের চূড়ান্ত লক্ষ্য।

*শিক্ষার লক্ষ্য:- মনসঞ্চালনমূলক বর্গ :- মনসঞ্চন মূলক বরকেল লক্ষণগুলির শ্রেণীবিন্যাস প্রথম প্রকাশ করেন। Eizabeth simpson (১৯৭২)। সঞ্চালনমূলক ও সামঞ্জস্যসন্ধান ব্যবহারের মাধ্যমে কোন কাজ সম্পাদন করতে শেখা। শিক্ষার একটি বড় অংশ মনু সঞ্চালন মূলক শিখন এবং সেই কারণে পাঠ্যক্রম রচনার ক্ষেত্রে এই বর্গের স্বাধীন লক্ষ্য গুলির যথেষ্ট গুরুত্ব আছে।এই বর্গের প্রথম লক্ষণ প্রত্যক্ষন।

১. প্রত্যক্ষণ:- কোন সঞ্চালনমূলক ক্রিয়া আয়ত্ব করার জন্য প্রথম প্রয়োজন ইন্দ্রিয়গুলিকে সজাগ ও সক্রিয় করে অন্যের সঞ্চালন ক্রিয়াপ্রতক্ষন। উদ্দীপনা গ্রহণ ইঙ্গিত নির্বাচন এবং মনে মনে তার একটি প্রতিরূপ তৈরি করে। এই হল প্রত্যক্ষনের তাৎপর্য।

২. প্রস্তুতি:- পরবর্তী পর্যায়ে শিক্ষক প্রদর্শিত কাজটি যা প্রত্যক্ষ গোচরে হয়েছে তা নিজ সম্পাদন করার জন্য মানসিক ও দৈহিকভাবে প্রস্তুত হওয়া সঞ্চালনমূলক শিখন এর পরবর্তী ধাপ । সেই সঙ্গে আগ্রহ ও আনন্দের মনোভাব ও প্রস্তুতির অভীক্ষার উপাদান।

৩. কৌশল:- এই কথার অর্থ অনুকরণ করতে শিক্ষার্থী মোটামুটি কাজটি নিজে করার কৌশল আয়ত্ত করে।

৪. জটিল ও প্রত্যক্ষ প্রতিক্রিয়া:- মানসিকভাবে কৌশলটি আয়ত্ত করে বা পর শিক্ষার্থীর সাছন্দভাবে কাজের জটিল মানসিক প্রতিরূপটিকে প্রত্যক্ষ প্রতিক্রিয়ায় রূপান্তরিত করতে পারে।

৫. অভিযোজন:- যে কাজটি সম্পূর্ণ করতে হবে সেটি স্বাচ্ছন্দে সম্পন্ন করার পর শিক্ষার্থী তার পদ্ধতি ও কাজ দুটির মধ্যেই সামঞ্জস্যপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে যা কাজটির মধ্যে তার সক্রিয়তা প্রকাশ করে।

৬. সৃজন:- সঞ্চালন মূলক লক্ষ্যের চূড়ান্ত পর্যায়ে শিক্ষার্থী ইচ্ছামত পরিবর্তন ঘটিয়ে নতুন কৌশল নতুন গ্রুপ দান করে অভিনব কিছু সৃষ্টি করতে পারে।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ

Thank you