Ticker

100/recent/ticker-posts

Translate

Testing অভিক্ষা

 


1.What is good Test ? Discuss the characteristics of good Achievement Test

ভূমিকা:- শিক্ষাগত অভিক্ষার মধ্যে পারদর্শিতার অভীক্ষা অন্যতম। সুস্পষ্ট উদ্দেশ্যের প্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর নির্দিষ্ট সময়ব্যাপী প্রশিক্ষণের পর শিক্ষার্থী বা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হওয়াকে বলা হয় পারদর্শিতা। আর এই পরিমাপের কৌশল কেই বলে পারদর্শিতার অভীক্ষা।

সু – অভীক্ষা :- সুখ অভীক্ষা বলতে বোঝায় ত্রুটিমুক্ত অভীক্ষা। ত্রুটিগুলি কি এর উৎস কোথায় এবং কিভাবে এর থেকে মুক্ত হওয়া যায় সে সম্পর্কে জানা থাকলে এই সু-অভিক্ষা ধারণাটি স্পষ্ট হয়।

অভীক্ষা:- অভীক্ষার সংজ্ঞায় Gronlund বলেছেন যে:- শিক্ষাগত নির্দেশনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর শিখন পরিমাপের সুসংবদ্ধ প্রক্রিয়ায় হল পারদর্শিতার অভীক্ষা।

মনোবিদ J C Nunnely বলেছেন যে – “ The purpose of achievement test into measure progress in school upto a particular point in time “ অর্থাৎ- শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ের জীবনে কোন বিশেষ সময়ই কাল পর্যন্ত তার শিক্ষাগত অগ্রগতির পরিমাপের কৌশলী হল পারদর্শিতার অভীক্ষা।

  👉 নির্দিষ্ট সময়ব্যাপী সু-নিয়ন্ত্রিত প্রশিক্ষণের প্রভাবে শিক্ষার্থীরা বিশেষ কোনো কর্মসম্পাদনের যে দক্ষতা অর্জন করে তা পরিমাপ করার কৌশলই হল পারদর্শিতার অভীক্ষা।

উত্তম পারদর্শিতার অভীক্ষার বৈশিষ্ট্য:- একটি উত্তম পারদর্শিতার অভীক্ষার যেসব বৈশিষ্ট্য গুলি রয়েছে সেসব বৈশিষ্ট্য গুলি নিম্নে আলোচনা করা হলো –

(i) কাঠিন্যমাত্রা ও পার্থক্য নির্ণায়ক :- অভীক্ষাটি কাঠিন্যমাত্রা ও পার্থক্য নির্ণায়ক মাত্রার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে এবং প্রয়োগ করা হবে।

(ii)পরিমাপযোগ্য আচরণ:- পরিমাপযোগ্য আচরণের একটি বিবরণ থাকবে।

(iii)পর্যাপ্ত পরিমাণ অভীক্ষা :- প্রতিটি পরিমাপযোগ্য আচরণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ অভীক্ষাপদ থাকবে।

(iv) সুস্পষ্ট নির্দেশনা :- অভীক্ষা প্রয়োগ ও স্কোরদানের জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকবে।

(v)অভীক্ষার পৃথক নর্ম :- বিভিন্ন শিক্ষাস্তর ও বয়সের জন্য অভীক্ষার পৃথক পৃথক নর্ম (norm) থাকবে।

(vi) সদৃশ অভীক্ষা:- সদৃশ এবং অতুলনীয় বিকল্প অভীক্ষার ব্যবস্থা থাকবে।

(vii)নমুনা উত্তরপত্র:- অভীক্ষা পরিচালনার নিয়মাবলি ও নমুনা উত্তরপত্র থাকবে।

(viii) নির্ভরযোগ্য ও যথার্থতা :- নির্ভরযোগ্য ও যথার্থ হতে হবে এবং প্রাপ্ত স্কোরগুলি তুলনাযোগ্য হতে হবে।

 পারদর্শিতার অভীক্ষার উদ্দেশ্য (Objectives of Achievement Test) : শিক্ষার্থীর শিক্ষয় পারদর্শিতার অভীক্ষার উদ্দেশ্যগুলি হল নিম্নরূপ :-

(i) বিদ্যালয়ে শিক্ষার উদ্দেশ্যগুলি শ্রেণিকরণ করা।

(ii) শিক্ষার উদ্দেশ্যগুলি কতখানি পূরণ করা সম্ভব হয়েছে তা পরিমাপ করা।

(iii) যে ধরনের শিখন অভিজ্ঞতাগুলি এই উদ্দেশ্যপুরণে সর্বাধিক কার্যকারী সেগুলি চিহ্নিত করা।

(iv) মূল্যায়ন ও নবীকরণের দ্বারা পাঠক্রমের উন্নতিসাধন করা।

(v) পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করা এবং তাদের জন্য সংশোধনমূলক শিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

(vi) বিশেষ বিশেষ পাঠের জন্য প্রতিভাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের নির্বাচন করা।

(vii) শিক্ষার্থীদের যথাযথভাবে শ্রেণিকরণ করা।

(viii) শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন ও সামর্থ্য সম্পর্কে অবহিত হওয়া।

(ix) পুরস্কার ও মেধাবৃত্তি প্রদানের জন্য উপযুক্ত শিক্ষার্থী নির্বাচন করা।

(x) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির গুণগত মানের তুলনা করা।

(xi) শিক্ষার্থীদের সামর্থ্য ও দুর্বলতা ক্ষেত্রগুলি অভিভাবকদের নিকট তুলে ধরা, যাতে তাঁরা সন্তানদের ওপর সামর্থ্যবহির্ভূত চাহিদা পোষণ না করেন।

(xii) বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি ও ক্রমোন্নতির হার নির্ণয় করা।

2. Discuss the process to determine the objectivity of a test.

ভূমিকা :- শিক্ষক অভীক্ষা প্রস্তুত করে শিক্ষার্থীর সাফল্য পরিমাপ করেন। কিন্তু অভীক্ষার প্রয়োগের সময় শিক্ষকের ব্যক্তিগত ভালোবাসা বা ভালোলাগা বা খারাপ লাগার কারণে শিক্ষার্থীর সাফল্য পরিমাপ ত্রুটিপূর্ণ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকেই। তা সঠিক মূল্যায়নে যথেষ্ট বাধার সৃষ্টি করে এবং ফলাফলও সেই কারণে ত্রুটিপূর্ণ হয়। তাই আদর্শ অভীক্ষা নিরূপণে এই ব্যক্তিগত প্রভাবই যথেষ্ট ত্রুটির সৃষ্টি করে থাকে। একেই ব্যক্তিগত প্রভাবক (subjectivity) বলে। অভীক্ষাটিতে যথার্থতা, নির্ভরযোগ্যতা নির্ণয়োর সময় যেমন সতর্কতা নেওয়া হয় তেমনই অভীক্ষার নৈর্ব্যক্তিকতা বৈশিষ্ট্যপূর্ণ হওয়ার ব্যাপারে নজর দেওয়া একান্তই জরুরি।

সংজ্ঞা : - যে বৈশিষ্ট্যের জন্য কোনো অভীক্ষা বাক্তি নিরপেক্ষ বা নৈর্ব্যক্তিক হয়ে ওঠে সেই বৈশিষ্ট্যকে নৈর্ব্যক্তিকতা বলা হয়।

 নৈর্ব্যক্তিকতার বৈশিষ্ট্য (Characteristics of objectives)

নৈর্ব্যক্তিকতার বৈশিষ্ট্যগুলি হল-

 i) প্রতিটি উপাদান নৈর্ব্যক্তিক হলেই অভীক্ষাটি নৈর্ব্যক্তিক হবে।

(ii) প্রতিটি উপাদান বা প্রশ্ন প্রস্তুত করার সময় সঠিক উদ্দেশ্য নির্বাচন করতে হবে।

(iii) নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষার উপাদানগুলিকে বিভিন্ন মানসিক প্রক্রিয়ার ভিত্তিতে প্রস্তুত করা উচিত। যেমন— স্মৃতি, প্রকাশ করার ক্ষমতা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা, যুক্তি প্রদান ক্ষমতা ইত্যাদি।

(iv) প্রতিটি উপাদানের জন্য নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষায় স্পষ্ট নির্দেশনা রাখতে হবে।

(v), উদ্দেশ্যভিত্তিক উপাদান বা প্রশ্ন নির্বাচন করতে হবে।

Vi ) প্রতিটি উপাদানের মান নির্দিষ্ট হবে এবং পূর্ণমান বা শূন্য দ্বারা নির্ধারিত হবে। যদি উত্তর সঠিক বা ভুল হয় কোনো আংশিক মান প্রদান করা যাবে না।

(vii) নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষা পুনঃপ্রয়োগ করা সম্ভব হবে। (viii) উত্তরপত্র মূল্যায়নে নির্দেশিকা স্পষ্ট হতে হবে যাতে সকল পরীক্ষকই সকল উত্তরপত্রের ক্ষেত্রে একই বিচারমান রাখতে পারেন।

(ix) নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার উপাদানগুলিকে যথেষ্ট পরিকল্পনা ও পরিমার্জনের দ্বারা নির্বাচন করতে হবে যাতে স্থান, কাল ও পাত্রের প্রভাব মুক্ত হয়।

(x) নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষার উপাদান নির্বাচনের কোনো সূচক না থাকায় কিছু গঠনগত নিয়ম অনুসরণ করে তা করতে হবে।

নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষা গঠনের নীতি (Principles of construction of objective test) :-

(i) নৈর্বান্তিক অভীক্ষায় উদ্দেশ্যগুলি খুবই সুস্পষ্টভাবে নির্বাচন করতে হবে যাতে কোনো উদ্দেশ্য অন্য উদ্দেশ্যের সঙ্গে মিশে না যায়।

(ii) সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য অনুযায়ী অভীক্ষা উপাদানের প্রতিটির ক্ষেত্রে পৃথক তালিকা বা Question Bank তৈরি করা দরকার।

(iii) বানান ভুল, ভাষার ধরন বা বাক্যগঠন ইত্যাদি বিষয়ধর্মী কোনো প্রকার প্রভাব না রাখার চেষ্টা করতেই হবে।

(iv) একটি উপাদানের বা পদের অনুরূপ একাধিক প্রশ্ন রাখা যাবে না।

(v) সমধর্মী প্রশ্নগুলি একই জায়গায় রাখা উচিত।

(vi) বিষয় বিবৃতি যতদূর সম্ভব সংক্ষিপ্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে।

(vii) অনুমান করে উত্তর সন্ধানের চেষ্টার সুযোগ পরিহার করতে হবে।

(viii) অভীক্ষা উপাদানের গঠনের সময় উত্তর সংকেত থাকবে না।

(ix) অভীক্ষা উপাদানের ভাষা পরীক্ষার্থীর বোধগম্য হওয়া উচিত।

নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষার সুবিধা (Advantages of Objective Tests) :

(১) নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষা নির্ভরযোগ্য:- নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষা হল একটি নির্ভরযোগ্য। নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষায় যেসব প্রশ্ন থাকে তার নির্দিষ্ট এবং একটি মাত্র উত্তর থাকে। ফলে নম্বরদান ব্যক্তিগত প্রভাবমুক্ত হয়। পরীক্ষকের ব্যক্তিগত খেয়াল, ভালো-লাগা, মন্দ-লাগা, মেজাজ প্রভৃতি নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে না।।

(২) নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষা যথার্থতা :- বিভিন্নভাবে যথার্থতা নির্ণয়ের পরই এই অভীক্ষা ব্যবহার করা হয়। সুন্দর হস্তাক্ষর, ভাষা জ্ঞান, রচনাশৈলী প্রভৃতি এই অভীক্ষায় বিবেচিত হয় না। অভীক্ষার প্রশ্ন সমগ্র পাঠ্যসূচি ভিত্তি করে প্রস্তুত হয় বলে এই পরীক্ষার যথার্থতা অপেক্ষাকৃত বেশি।

(৩) ব্যক্তিগত পার্থক্য পরিমাণ :- নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষা নিখুঁতভাবে ব্যক্তিগত পার্থক্য পরিমাণে সক্ষম। নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষায় সর্বজনীন মান, বিচ্যুতি ইত্যাদি থাকার ফলে দলের মধ্যে পরীক্ষার্থীর স্থান খুব সহজেই নির্ণয় করা যায়।

(৪) ব্যক্তিগত প্রভাবমুক্ত :- নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষা ব্যক্তিগত প্রভাবমুক্ত।

(৫)নম্বর দেওয়া খুবই সহজ :- এই পদ্ধতিতে নম্বর দেওয়া খুবই সোজা। যে কেউ নম্বর দিতে পারে এবং এতে সময়ও খুব কম লাগে। কাজেই উত্তরপত্র দেখা এবং নম্বরদানে এর পরিমিততা লক্ষণীয়।

    এই ধরনের অভীক্ষা “Note Book, Suggestion’ প্রভৃতির অভিশাপ অনেকাংশে দূর করতে সক্ষম।

নৈর্বক্তিক অভীক্ষার অসুবিধা (Disadvantages of Objective Tests)

(১)সুসংগঠিতভাবে বক্তব্য প্রকাশের সুযোগ না থাকা :- নৈর্ব্যাক্তিক অভীক্ষার প্রধান ত্রুটি হল সুসংগঠিতভাবে বক্তব্য প্রকাশের সুযোগ এখানে নেই। যুক্তি এবং কার্যকারণকে ভিত্তি করে বক্তব্য উপস্থাপনের অবকাশ থাকে না। স্বকীয় চিন্তাধারা, মৌলিক রচনা, স্বাধীনভাবে বক্তব্য প্রকাশের সুযোগ এই পরীক্ষা পদ্ধতিতে অনুপস্থিত।

 (২)প্রশ্নপত্র রচনা করা কঠিন কাজ :- নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষার প্রশ্নপত্র রচনা কঠিন কাজ। পরিশ্রমসাধ্য, ব্যয়বহুল এবং সময়সাপেক্ষ। প্রশ্নপত্র রচনার জন্য যথেষ্ট অভিজ্ঞতার প্রয়োজন।

(৩) গভীর জ্ঞান বৃদ্ধি না হওয়া:- এখানে উত্তর খুব সংক্ষিপ্ত বলে অসদুপায় অবলম্বনের যথেষ্ট সুযোগ আছে। উত্তর খুব সংক্ষিপ্ত থাকায় শিক্ষার্থীর গভীর জ্ঞান বৃদ্ধি হয় না।

(৪) প্রশ্নোত্তরে অনুমানের প্রভাব :- এখানে প্রশ্নোত্তরে অনুমানের প্রভাব (guessing effect) যথেষ্ট। সঠিক উত্তর জানা না থাকলেও শুধু আন্দাজের ওপর ভিত্তি করে উত্তর দিলে কোনো কোনো সময় তা ঠিক হয়ে যায়। তাই Prof. Sandiford বলেছেন, “The examiner cannot tell when knowledge stops and guessing begins." অর্থাৎ পরীক্ষক বলতে পারেন না জ্ঞান কোথায় শেষ হয়েছে এবং অনুমান কখন শুরু হয়েছে।

3. Different type of objective test

এই ধরনের অভীক্ষার প্রশ্নের উত্তর খুবই সংক্ষিপ্ত হয়। অনেক সময় কিছু লিখতেই হয় না। অনেকগুলি সম্ভাব্য উত্তরের মধ্যে সঠিক উত্তরটি বেছে নিতে হয় বা উত্তরগুলিকে বিশেষভাবে সজ্জিত করতে হয় বা নির্দেশিতভাবে চিহ্নিত করতে হয়। নৈর্বান্তিক অভীক্ষাপদ নানারকমের হতে পারে, যেমন –

১. সত্য - মিথ্যা বিচার (True-False Type):- এখানে প্রশ্নের উত্তর হিসেবে হ্যাঁ(সত্য) বা না(মিথ্যা) লেখা থাকে।

যেটি ঠিক তার পাশে ✓ চিহ্ন বা যেটি ভুল × তার পাশে চিহ্ন দিয়ে চিহ্নিত করতে বলা হয় যেমন- a.জলের চেয়ে বড় হালকা – সত্য / মিথ্যা ।

b.কাঁঠাল আমের চেয়ে ছোট ফল- হ্যাঁ / না।

২. সম্পূর্ণকরন (Completion Type):- এখানে প্রশ্নটিতে অসম্পূর্ণ রাখা হয়। অভিক্ষার্থীরা কে সঠিক উত্তরটি দিয়ে বাক্যটি সম্পন্ন করতে বলা হয় । যেমন- a. বাঙালির প্রিয় খাবার.......ও........।

B. তেজস্ক্রিয়তা আবিষ্কার করেন কে............ ।

C. ...........সালে সিপাহী বিদ্রোহ ঘটেছিল।

৩ . শ্রেণিবিন্যাস (Classification Type) :-

কোনো একটি বৈশিষ্ট্যের পরিপ্রেক্ষিতে একই শ্রেণিভুক্ত কতকগুলি বস্তুর সঙ্গে ওই বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী শ্রেণিভুক্ত করা যায় না এমন দু-একটি বস্তু দেওয়া থাকে। যে বস্তুটি প্রজন পরীক্ষার শ্রেণিভুক্ত নয় তার নীচে দাগ দিতে বলা হয়। যেমন—

(১) মাধ্যাকর্ষণ, শব্দ, আলো, তাপ, লোহা, বিদ্যুৎ ।

(২) তামা, লোহা, দস্তা, সোনা, গন্ধক, রুপা, সিসা।

(৩) সেন্টিমিটার, গ্রাম, ক্যালোরি, ফুট, পাউন্ড।

৪. বহুমুখী নির্বাচনমূলক প্রশ্ন (multiple choice type question) : এখানে প্রশ্নের একাধিক সম্ভাব্য উত্তর থেকে যেটি সঠিক সেটি নির্বাচন করতে হয়। যেমন –

সঠিক উত্তরটি (√) চিহ্নিত করো :

(i) বিশুদ্ধ জলের স্ফুটনাঙ্ক হল—

(a) 100°F (b) 100°C (c) 32°F, (d) 102°C।

(ii) ভারতের মোট রাজ্যের সংখ্যা হল—

(a) 25 টি (b) 26 টি (c) 27 টি (d) 29 টি।

৫. সামঞ্জস্য বিধান (Matching type) :

কতকগুলি প্রশ্নে উত্তর অবিন্যস্তভাবে থাকে, সেগুলিকে যথাযথভাবে সাজিয়ে দিয়ে বলা হয়। যেমন—বাঁদিকে কতকগুলি মৌলিক পদার্থের সাংকেতিক চিহ্ন আছে, ডান দিকে কতকগুলি যোজ্যতা দেওয়া আছে। বামদিকে মৌলিক পদার্থ অনুযায়ী যোজ্যতাগুলি সাজাও।

মৌলিক পদার্থ যোজ্যতা

Na 3

Ca 1

Fe(ic) 2

S 5

P 4

6. • স্মৃতিমন্থনমূলক (Recall type ) :

সম্পূর্ণ স্মৃতির উপর নির্ভর করে এই জাতীয় প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।

(১) অক্সিজেন আবিষ্কারক কে?

(২) স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন কবে?

(৩) বীর সাভারকার কে?

(৪) X Ray আবিষ্কারক কে?

7. উপমান জাতীয় (Analogy Type) :

এই জাতীয় প্রশ্নে দুটি বস্তুর মধ্যে বিশেষ সম্পর্ক উল্লেখ থাকে। শিক্ষার্থীর নিকট তৃতীয় একটি বস্তু দেওয়া হয় এবং একটি শূন্যস্থান থাকে। শিক্ষার্থীর কাজ হল সাদৃশ্য অনুযায়ী শূন্যস্থানে শব্দ খুঁজে বার করা। যেমন—

(১) স্বাধীনতা দিবস : ১৫ আগস্ট :: প্রজাতন্ত্র দিবস

 (২) পশ্চিমবঙ্গ : কলকাতা ::: ঝাড়খণ্ড

(৩) ব্রাজিল : পেলে :: আজেন্টিনা

8. সংক্ষিপ্ত উত্তর সম্বলিত প্রশ্ন (short answer type question) : যেটি একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দেওয়া যায়। যেমন—

(i) প্রথম কোন্ ভারতীয় নোবেল পুরস্কার পান?

(ii) এভারেস্টের উচ্চতা কত?

4. What is the Norm ? Type of Norm, Advantages and Disadvantage of Norm?

Why Norms are used in test score?

ভুমিকা:- নৰ্ম (Norm)পরিমাপের তাৎপর্য নির্ণয় সম্পর্কিত ত্রুটি দূর করার প্রক্রিয়াকেই অভীক্ষার আদর্শায়ন বলে। অভীক্ষার একটি বিশেষ গুন হল তার মানদণ্ড। কারণ কোন মানদণ্ড সাফলাঙ্ক্যকে ছাড়া তুলনা করা সম্ভব নয়। মূলত একটি প্রাসঙ্গিক মান ধরে নিয়ে তার সাথে সাফলাঙ্ক্যের তুলনা করা হয়ে থাকে। এবং এই প্রাসঙ্গিক মানকেই নর্ম (Norm) বলা হয়। যে কোন আদর্শায়িত অভীক্ষার নর্ম থাকা প্রয়োজন।

Norm Test আদর্শ অভীক্ষ:- অভীক্ষার একটি বিশেষ গুন হল তার মানদণ্ড। কারণ কোন মানদণ্ড সাফলাঙ্ক্যকে ছাড়া তুলনা করা সম্ভব নয়। মূলত একটি প্রাসঙ্গিক মান ধরে নিয়ে তার সাথে সাফলাঙ্ক্যের তুলনা করা হয়ে থাকে। এবং এই প্রাসঙ্গিক মানকেই নৰ্ম (Norm) বলা হয়।

শতাংশ নর্ম:-অভীক্ষার্থীদের মূল স্কোরগুলিকে শতাংশ সারিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এর দ্বারা বোঝা যায় দলের মধ্যে অভীক্ষার্থীর স্থান কোথায়৷

আদর্শস্কোরের নর্ম :- অভীক্ষার্থীদের মূল স্কোরগুলিকে একটি আদর্শ বণ্টনের স্কোরে নিয়ে যাওয়া হয়। এর দ্বারা বিভিন্ন অভীক্ষার্থীর ফলের তুলনা করা যায়।

• শ্রেণীগত নর্ম :-কোন শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের উপর অভীক্ষা প্ৰয়োগ করার ফলে প্রাপ্তস্কোর গুলির গড়কে বলা হয়, শ্রেণীর নর্ম। তারপর শ্রেণী ও নর্মের তালিকা প্রস্তুত করা হয়। কোন শিক্ষার্থী স্কোর যে নর্মের সহিত সমান, সেই নর্মের আনুষাঙ্গিক শ্রেণীটি হল তার উপযুক্ত শ্রেণী। ধরা যাক, সপ্তম এবং অষ্টম শ্রেণীর নর্ম যথাক্রমে 120 এবং 1401 কোন শিক্ষার্থীর নম্বর 130 হলে বলা যাবে যে, 7.5 শ্রেণীর উপযুক্ত নম্বর পেয়েছে।

বয়সভিত্তিক আদর্শমান (Age Norm) :- বয়সভিত্তিক আদর্শমান নির্দিষ্ট বয়সের প্রতিনিধিমূলক শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত স্কোরের গড়ের মাধ্যমে ব্যক্ত হয়। একটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে কোনো মানসিক বৈশিষ্ট্য বা শিক্ষামূলক অভীক্ষাকে 12 বছর বয়সের প্রতিনিধিমূলক দলের উপর প্রয়োগ করা হল। প্রাপ্ত স্কোরগুলির গড় নির্ণয় করা হল। উক্ত স্কোরই হল বয়সভিত্তিক আদর্শমান।

নর্ম-এর সুবিধা

1. তৈরি ও প্রয়োগ খুবই সুবিধাজনক।

2. এটি একটি বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি।

3. একজন শিক্ষার্থীর সাফল্যাঙ্কের ভিত্তিতে তার অবস্থান জানা যায় ।

4. এবং সেই অবস্থানের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দলে ভাগ করা সম্ভব।

নর্ম-এর অসুবিধা

1. অভীক্ষার মানদণ্ড সকল ক্ষেত্রে সমান না হওয়ায়, বিকাশের সঠিক দিক নির্দেশ সম্ভব নয়।

2. যে সকল মানদণ্ড বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে পরিবর্তন হয়ে না, তাদের ক্ষেত্রে এই মানদণ্ড প্রাসঙ্গিক নয়।

3. এই মানদণ্ড সর্বক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

অভীক্ষার স্কোরে নর্ম ব্যবহার করা হয় কেন? Why Norms are used in test score?

যে কোন সু-অভীক্ষার একটি বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সংব্যাখ্যান ও তুলনীয়তা। এর অর্থ হল যে অভীক্ষাটির ফলাফলকে ঠিকমত ব্যাখ্যা করা যাবে এবং একজন অভীক্ষার্থীর প্রাপ্ত স্কোরের সঙ্গে অপর অভীক্ষার্থীর প্রাপ্ত স্কোরের তুলনা করা সম্ভব হবে। এরজন্য অভীক্ষাটি একটি বিজ্ঞানসম্মত মান বা নর্ম থাকা প্রয়োজন।

   👉সাধারণত স্কুল-কলেজে যে সব পরীক্ষা নেওয়া হয়ে থাকে, সেগুলির এধরনের কোন বিজ্ঞানসম্মত মান নেই। ফলে এই সব পরীক্ষায় যদি কেউ 20 বা 60 বা 90 পায় তবে তার সেই স্কোরের বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা দেওয়া চলে না, এসব ক্ষেত্রে সাধারণত একটি পাশ মার্ক (যেমন- 30 বা 35) ঠিক করে দেওয়া থাকে।

   👉ধরাযাক, একটি রাজ্যে যত ছেলেমেয়ে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে তাদের থেকে কিছু জেলার কিছু বিদ্যালয় থেকে কিছু ছাত্রছাত্রীদের (অঙ্কের নম্বর নমুনা হিসাবে বেছে নিয়ে তাদের উপর একটি অভীক্ষা প্রয়োগ করে, তাদের সাফল্যের একটি মান বা নর্ম ঠিক করা হয়। এবং এটি কেই সার্বজনীন হিসাবে ধরে নেওয়া হয়। মনে করা যাক, এই নর্মটি হল 45। এবার সপ্তম শ্রেণীর কোন একজন ছাত্র অঙ্কে 60 পেয়েছে। তাহলে আমরা তৎক্ষণাৎ বলতে পারি যে, সারা রাজ্যে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এই ছাত্রের স্থান কোথায়। আবার মনে করা যাক এই নর্মটি হল 45. সেহেতু এই ছাত্রটির অঙ্কের জ্ঞান সপ্তম শ্রেণীর সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের চেয়ে কম বা বেশী এবং কতটা কম বা বেশী তাও আধুনিক পরিসংখ্যান পদ্ধতির দ্বারা নির্ণয় করা যায়।

শতাংশ আদর্শমানের সুবিধা (Merits of Percentile Norm)

শতাংশ আদর্শমানের সুবিধাগুলি হল— (ক) শতাংশ আদর্শমান নির্ণয় করা যেমন সহজ তেমনি সহজেই বোঝা যায়।

(খ) এই রূপ আদর্শমান শিশু, প্রাপ্তবয়স্ক সবক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যায় এবং শিক্ষামূলক অভীক্ষা, মনস্তাত্ত্বিক অভীক্ষা উভয় ক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য।

শতাংশ আদর্শমানের ত্রুটি (Demerits of Percentile Norm)

(ক) শতাংশ আদর্শমানের প্রধান ত্রুটি হল এর এককগুলি (Units) সমমানের নয়,

বিশেষ করে বণ্টনের উভয় প্রান্তে। যদি কাঁচা স্কোরের বন্টন স্বাভাবিক হয় (যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়), তাহলে মধ্যমমান বা বণ্টনের মাঝামাঝি পার্সেন্টাইল পরিবর্তনে অধিক দেখা যাবে এবং বণ্টনের প্রান্তীয় ক্ষেত্রে হ্রাস পাবে।

(খ) পার্সেন্টাইল স্কোরের একক কাঁচা স্কোরের এককের সঙ্গে এমনই সমদূরত্ব সম্পন্ন হয় যখন কাঁচা স্কোরের বণ্টন আয়তক্ষেত্রের ন্যায় হয় যা অদিকাংশ বৈশিষ্ট্যের ক্ষেত্রে দেখা যায় না। অধিকাংশ বৈশিষ্ট্যের ক্ষেত্রেই বণ্টনের রূপ স্বাভাবিক হয়।

(গ) পার্সেন্টাইল আদর্শমানের ব্যক্তির ব্যাঙ্ক বা আপেক্ষিক অবস্থানের সঠিক চিত্র পাওয়া যায় কেবলমাত্র স্বাভাবিক দলের ক্ষেত্রে কিন্তু সকলের স্কোরের মধ্যে পার্থক্য সঠিকভাবে বিচার করা যায় না। এই কারণেই গড় সহ-সম্পর্ক এবং অন্যান্য রাশিবিজ্ঞানের কৌশলের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার যুক্তিযুক্ত নয়।

মন্তব্য:- পরিশেষে বলা যায় ব্যক্তির অবস্থান ব্যক্ত করার ক্ষেত্রে পার্সেন্টাইল আদর্শমানের

ব্যবহার সহজ এবং বহুল ব্যবহৃত হলেও এটি অপেক্ষাকৃত স্থূল।

 আদর্শ স্কোর মানের সুবিধা ও অসুবিধা (Merits and Demerits of Standard Score Norm)

 (ক) আদর্শ স্কোর মানের প্রধান সুবিধা হল এর এককগুলি সমমানের যা অন্যান্য আদর্শমানে দেখা যায় না।

খ) এই আদর্শমানের এককগুলি সমমানের হওয়ায় সব ধরনের গাণিতিক প্রক্রিয়াগুলি সম্পাদন করা যায়।

(গ) বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শিতার স্কোরগুলিকে আদর্শ স্কোর মানে পরিবর্তিত করে সমষ্টির দ্বারা শিক্ষার্থীর সামগ্রিক পারদর্শিতা সম্পর্কে মন্তব্য করা সম্ভব। উপরোক্ত কারণে বর্তমানে নর্ম হিসেবে আদর্শ স্কোর মান সর্বোৎকৃষ্ট বলে বিবেচিত হয়।

নর্ম হিসেবে আদর্শ স্কোরের অসুবিধা হল এটি কেবলমাত্র সাধারণধর্মী অভীক্ষার ক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য। অভীক্ষার্থীর অন্যান্য বৈশিষ্ট্য, যেমন—বয়স, লিঙ্গ, শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদির প্রেক্ষিতে তাৎপর্য নির্ণয়ের ক্ষেত্রে পৃথক পৃথকভাবে আদর্শ স্কোর মান নির্ণয়ের প্রয়োজন যা সময়সাপেক্ষ এবং অতিরিক্ত পরিশ্রমের প্রয়োজন।

শ্রেণিভিত্তিক আদর্শমানের সুবিধা (Advantages of Grade Norm)

 শ্রেণিভিত্তিক আদর্শমানের সুবিধাগুলি হল-

1. এই ধরনের আদর্শমান সহজে নির্ণয় করা যায়। শিক্ষার্থীদের শ্রেণিগতমান এবং

প্রাপ্ত স্কোরগুলি জানা থাকলে এই শ্রেণির আদর্শমান নির্ণয় করা যায়।

2. শ্রেণিভিত্তিক আদর্শমানের (Grade Norm) ভিত্তিতে কোন শিক্ষার্থীর বিভিন্ন বিষয়গত পারদর্শিতা অভীক্ষায় প্রাপ্ত স্কোর জানা থাকলে বিষয়গুলির মধ্যে তুলনা করা যায়। যেমন—কোনো অষ্টম শ্রেণির

শিক্ষার্থীর যদি বিজ্ঞানের অভীক্ষায় আদর্শমান 6.0 এবং বাংলা ভাষায় আদর্শমান 9.0 হয় তাহলে বলা যায় যে ওই শিক্ষার্থী বিজ্ঞানে দুই বছর পিছিয়ে আছে এবং বাংলায় একবছর এগিয়ে আছে।

শ্রেণিভিত্তিক আদর্শমানের সীমাবদ্ধতা (Limitations of Grade Norms )

 শ্রেণিভিত্তিক আদর্শমানের প্রস্তুত এবং প্রয়োগ সংক্রান্ত কিছু সুবিধা থাকলেও সীমাবদ্ধতা দেখা যায়। এগুলি হল-

1. বিদ্যালয়ের পাঠ্য বিষয়ে শিক্ষার্থীদের উন্নতির হার সর্বদা এক থাকে না যদিও শ্রেণিভিত্তিক আদর্শমানে উন্নতির হার সমান বলে মনে করা হয়।

2. শ্রেণিভিত্তিক আদর্শমান অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষক ও অভিভাবকের বিভ্রান্তির কারণ হয়। উদাহরণ—কোনো পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর কোনো অভীক্ষায় আদর্শমান 7 হলে বোঝায় না যে উক্ত শিক্ষার্থী উক্ত বিষয়ে সপ্তম শ্রেণির উপযোগী জ্ঞান অর্জন করেছে। তবে বলা যায় যে শিক্ষার্থী উক্ত বিষয়ে অন্য শিক্ষার্থীদের তুলনায় এগিয়ে আছে।

বয়সভিত্তিক আদর্শ মানের সুবিধা (Merits of Age Norm) বয়সভিত্তিক আদর্শ মানের সুবিধাগুলি হল—

1. এর সাহায্যে ব্যক্তি বা শিক্ষার্থীর নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের বিকাশের হারকে সহজেই বোধগম্য করা যায়।

2. যে সমস্ত মানসিক বা শিক্ষাগত বৈশিষ্ট্যের বিকাশ মোটামুটি নির্দিষ্ট হারে ঘটে সেক্ষেত্রে এই ধরনের আদর্শমান ব্যবহার অধিকতর যুক্তিযুক্ত।

3. এই ধরনের আদর্শমান অর্থাৎ বয়সভিত্তিক আদর্শমানের সাহায্য ব্যক্তি বা শিক্ষার্থীদের দলভুক্ত করা যায় যার প্রয়োজনীয়তা বিভিন্ন সময়ে দেখা যায়।

4. বয়সভিত্তিক আদর্শমানের সাহায্যে মানসিক এবং শিক্ষাগত বৈশিষ্ট্যের সূচক নির্ণয় করা যায়। যেমন—বুদ্ধিরূপ মানসিক বৈশিষ্ট্যের ক্ষেত্রে বুদ্ধ্যঙ্ক (Intelligent quotient) শিক্ষাগত বৈশিষ্ট্যের ক্ষেত্রে শিক্ষাঙ্ক এবং (Educational quotient or EQ)1

বয়সভিত্তিক আদর্শমানের অসুবিধা (Demerits of Age Norm)

1. বয়সভিত্তিক আদর্শমানের প্রধান ত্রুটি হল এক্ষেত্রে যেহেতু মনে করা হয় নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য বয়স অনুযায়ী (নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত) সরলরৈখিকভাবে বৃদ্ধি পায়, কিন্তু বাস্তবে তা হয় না, ফলে ধারণাগত কিছু ত্রুটি থেকে যায়।

2.গড়ভিত্তিক আদর্শমানের ন্যায় এটি ক্রমভিত্তিক স্কেল (Ordinal Scale)-এ থাকায় সমস্ত বয়সের গণিতিক প্রক্রিয়াগুলি এক্ষেত্রে নির্ণয় করা সম্ভব নয়।

5. Discuss the Process to determine validity of a test?

ভূমিকা:- :কোনো অভীক্ষা ব্যক্তির যে মানসিক বা শিক্ষাগত বৈশিষ্ট্যকে পরিমাপের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে, অভীক্ষাটি কতটা নিখুঁত ও সার্থকভাবে তা পরিমাপে সক্ষম হচ্ছে তার মাত্রাই হল অভীক্ষাটির যথার্থতা (Validity)।

অর্থাৎ, ভৌতবিজ্ঞানের একটি পারদর্শিতার অভীক্ষা যে মাত্রায় বা যতটা নির্ভুলভাবে শিক্ষার্থীর ভৌতবিজ্ঞানের জ্ঞান পরিমাপে সক্ষম, তাকেই বলা হবে অভীক্ষাটির যথার্থতা এবং যে সূচক দ্বারা এই মাত্রা প্রকাশ করা হয় তাকে যথার্থতার সূচক (Index of Validity) বলে।

অভীক্ষাটির যথার্থতা (Validity)।:- কোনো অভীক্ষা যতটা সার্থকভাবে ও নির্ভুলভাবে অভীষ্ট গুণকে পরিমাপ করতে পারে বা সক্ষম হয় তাই হল অভীক্ষাটির যথার্থতা।

Cronbach বলেন – “ validity is the extent to which it measures, what it perparts to measure” অর্থাৎ- যথার্থতা বলতে উদ্দেশ্য পরিমাপের সেই সীমাকে বোঝায় যে সীমা পর্যন্ত অভীক্ষা বা পরিমাপকটি উদ্দেশ্য পরিমাপের সক্ষম।

Validity co-efficient :- রাশি বিজ্ঞানে সহ সম্পর্ক কৌশল এর মাধ্যমে সাধারণত অভিক্ষার যথার্থতা নির্ণয় করা হয়। সাধারণত অভিক্ষার সঙ্গে কোন নির্ণয়কের (criterion )সহসম্পর্ক নির্ণয় করা হয়ে থাকে। একে Validity co-efficient বলে।

Type of Validity যথার্থতার প্রকারভেদ):- শিক্ষাগত ও মনোজ্ঞানিক অভীক্ষার ক্ষেত্রে মূলত ৫ প্রকারের জয় নির্ণয় করা হয়ে থাকে যার নিম্ন ছকের দ্বারা প্রকাশ করা হলো

১. বিষয়বস্তুনির্ভর যথার্থতা (Content Validity):- কোন অভিক্ষার বিষয়বস্তু নির্ভর যথার্থতা বলতে বোঝায়, সেই অভিক্ষাটি কতটা ব্যাপকহারে বিষয়বস্তুর বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাঙ্খিত আচরণগত উদ্দেশ্যগুলিকে পরিমাপের জন্য অন্তর্ভুক্ত করতে পেরেছে।

২. বহিঃনির্ণায়ক নির্ভর যথার্থতা (Criterion-related Validity) : বহিঃনির্ণায়ক নির্ভর যথার্থতার একটি সংজ্ঞা इ-“Criterion-related validity refers to the extent to which test performance is related to some other valued measure of performance.” অর্থাৎ, এই যথার্থতা নির্ণয় করার জন্য কোনো একটি নির্ণায়ক বা জ্ঞাত অভীক্ষার ফলাফলের সঙ্গে বিবেচ্য অভীক্ষার ফলাফলের তুলনা করা হয়। গাণিতিক উপায়ে এই যথার্থতা নির্ণয় করা যায় ও সাংখ্যমান সূচক দ্বারা প্রকাশ করা যায়।

এই যথার্থতা দুই ধরনের হয়ে থাকে—

(A) সহ-অবস্থানমূলক যথার্থতা (Concurrent Validity) এবং (B) সম্ভাব্যতামূলক যথার্থতা (Predictive Validity) |

(A) সহ-অবস্থানমূলক যথার্থতা (Concurrent Validity) :কোনো অভীক্ষার সহ-অবস্থানমূলক যথার্থতা বলতে বোঝায়, অভীক্ষাটির পরিমাপ প্রচলিত অন্য কোনো অভীক্ষার পরিমাপের সঙ্গে কতটা সামস্যপূর্ণ।

(B) সম্ভাব্যতামূলক যথার্থতা (Predictive Validity) :- কোনো অভীক্ষা কতটা সার্থকভাবে কোনো শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ সফলতার সম্ভাব্যতা পরিমাপ করতে পারে তাকে অভিক্ষাটির সম্ভাব্যতামূলক যথার্থতা বলে।

    👉 অভীক্ষার পরিমাপ যে মাত্রায় ভবিষ্যতের পারদর্শিতার সঠিক পরিমাপ চলতে পারে তাই হলো অভিক্ষা বা পরিমাপকের সম্ভাবনামূলক যথার্থতা।

৩. সংগঠনগত যথার্থতা (Construct Validity) : কোনো অভীক্ষার সংগঠনগত যথার্থতা বলতে বোঝায় অভীক্ষাটির প্রাপ্ত ফলাফল কতটা সার্থকভাবে কোনো বিশেষ মনোবৈজ্ঞানিক সংগঠনের তাৎপর্য নির্ণয়ে সহায়ক। অর্থাৎ, Construct Validity may be defined as the extent to which test performance can be interpreted in terms of certain psychological constructs.”

   ,👉 কোনো বস্তু বা ঘটনাকে সংজ্ঞা দিতে, ব্যাখ্যা করতে বা মন্তব্য করতে ব্যক্তির মনের মধ্যে যে ভাবনা তৈরি হয় তাকেই সংগঠন (Construct) বলে।

৪. আপাত যথার্থতা (Face Validity) : শিক্ষামনোবিদগণের মতে, “Face validity is the extent that the test appears to measure what is to be measured.” কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোনো অভীক্ষার যথার্থতা নির্ণয়ে অভীক্ষাটির পুঙ্খানুপুঙ্খ সমীক্ষা করা হয় না। সেক্ষেত্রে গতানুগতিক বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে অভীক্ষাপত্রটি আপাতভাবে বা উপরিগতভাবে বিচারকরণের মাধ্যমে অভীক্ষার যথার্থতা নির্ণয় করা হয়। একেই আপাত যথার্থতা (Face Validity) বলে ।

    👉 কোনো অভীক্ষার উপর বর্ণিত যথার্থতা সম্পর্কে বিশদ বিশ্লেষণের পূর্বে অভীক্ষার যথার্থতা সম্পর্কে ধারণাকে আপাত যথার্থতা বলা হয়। অভীক্ষাকে দেখে যথার্থ বলে বোধ হচ্ছে কিনা তাকেই বলে আপাত যথার্থতা। |

৫. উপাদানমূলক যথার্থতা (Factorial Validity) : শিক্ষামনোবিদগণের মতে “Factorial Validity is the extent of correlation of the different factors with the whole test” অর্থাৎ, কোনো অভীক্ষার বিভিন্ন উপাদানগুলি নিজেদের মধ্যে ও সমগ্র অভীক্ষার সলো কতটা সম্পর্কযুক্ততার মাত্রাই হল উপাদানমূলক যথার্থতা।

6. How do we determine concurrent validity of a test

কোনো অভীক্ষার সহ-অবস্থানমূলক যথার্থতা বলতে বোঝায়, অভীক্ষাটির পরিমাপ প্রচলিত অন্য কোনো অভীক্ষার পরিমাপের সঙ্গে কতটা সামস্যপূর্ণ।

সহ-অবস্থানমূলক বা সমসাময়িক যথার্থতা নির্ণয় করার পদ্ধতি: - নিম্নলিখিত পর্যায়ে গুলি অনুসরণ করে কোন অভিক্ষার সহ অবস্থান মূলক বা সমসাময়িক যথার্থতার নির্ণয় করার হয়-

প্রথম ধাপ :- যে অভীক্ষাটির সহঅবস্থানমূলক যথার্থতা নির্ণয় করতে হবে, সেটি যাদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে তাদের একটি প্রতিনিধিমূলক নমুনাদলের ওপর প্রয়োগ করে প্রাপ্ত স্কোরের একটি বণ্টন নির্ণয় করতে হবে।

দ্বিতীয় ধাপ :- বিবেচ্য অভীক্ষার অনুরূপ একটি নির্ণায়ক অভীক্ষা সময়ের ব্যবধান না রেখে। একই নমুনা দলের ওপর পর্যায়ক্রমে প্রয়োগ করা হয় এবং প্রাপ্ত স্কোরের বণ্টন নির্ণয় করা হবে যা নির্ণায়কের কাজ করবে।

তৃতীয় ধাপ :- প্রাপ্ত স্কোর বণ্টন দুটির মধ্যে সহগতির সহগাঙ্ক নির্ণয় করতে হবে। এই সহগাঙ্কই বিবেচ্য অভীক্ষাটির সহ-অবস্থানমূলক যথার্থতার সহগাঙ্ক(Validity Coefficient) হিসেবে বিবেচিত হয়।

     সাধারণত শিক্ষাগত ও মনোবৈজ্ঞানিক উভয় ধরনের অভীক্ষার মাধ্যমে ব্যক্তির কোনো

বিশেষ বৈশিষ্ট্য পরিমাপের ক্ষেত্রে এই ধরনের যথার্থতা নির্ণয় করা হয়।

7.How do we determine Predictive validity of a test ?

কোনো অভীক্ষা কতটা সার্থকভাবে কোনো শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ সফলতার সম্ভাব্যতা পরিমাপ করতে পারে তাকে অভিক্ষাটির সম্ভাব্যতামূলক যথার্থতা বলে।

    👉 অভীক্ষার পরিমাপ যে মাত্রায় ভবিষ্যতের পারদর্শিতার সঠিক পরিমাপ চলতে পারে তাই হলো অভিক্ষা বা পরিমাপকের সম্ভাবনামূলক যথার্থতা।

সম্ভাবনামূলক যথার্থতা নির্ণয় করার পদ্ধতি:- সম্ভাবনা মূলক যথার্থতা নির্ণয় করার যে পদ্ধতিগুলি রয়েছে সেগুলি হল নিম্নরূপ

 প্রথমত:- অভীক্ষাটি যাদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে তাদের একটি প্রতিনিধিমূলক দলের (Representative sample) উপর প্রয়োগ করে নম্বরগুলি তালিকাভুক্ত করা হয়।

 দ্বিতীয়ত:- যথেষ্ট সময়ের ব্যবধানে ওই দলভুক্ত ব্যক্তিদের উপর বহির্নির্ণায়কটিকে প্রয়োগ করে সংখ্যা মান দিয়ে প্রকাশ করা হয়।

তৃতীয়ত:- প্রথম নম্বরগুলির সঙ্গে দ্বিতীয় সংখ্যামানগুলির সহ-সম্পর্ক নির্ণয় করা হয় এবং নির্ণীত সহগাঙ্ক হল অভীক্ষার সম্ভাবনামূলক যথার্থতার সহগাঙ্ক। উক্ত সহগাঙ্কের ভিত্তিতে অভীক্ষার্থী কতখানি সফল হবে তার পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব।

চতুর্থত:- দুটি স্কোর বণ্টনের মধ্যে সহগতির সহগাঙ্ক নির্ণয় করতে হবে। এই সহগাঙ্কই অভীক্ষাটির সম্ভাব্যতামূলক যথার্থতার সহগাঙ্ক হিসেবে বিবেচিত হয়।

   মন্তব্য :- সাধারণত বিদ্যালয়ে গৃহীত নির্বাচনী অভীক্ষা, প্রবেশিকা অভীক্ষা ইত্যাদি যেসমস্ত অভীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় সেই সমস্ত অভীক্ষাগুলির সম্ভাব্যতামূলক যথার্থতা নির্ণয় করা হয়।

8..How do we determine Construct validity of a test ?

কোনো বস্তু বা ঘটনাকে সংজ্ঞা দিতে, ব্যাখ্যা করতে বা মন্তব্য করতে ব্যক্তির মনের মধ্যে যে ভাবনা তৈরি হয় তাকেই সংগঠন (Construct) বলে।

সংগঠনগত যথার্থতা নির্ণয় পদ্ধতি :যুক্তিনির্ভর পদ্ধতিতে (Logical Method) কোনো অভীক্ষার সংগঠনগত যথার্থতা নির্ণয়ের জন্য নিম্নলিখিত পর্যায়ক্রমে অগ্রসর হতে হবে—

1. সংগঠনের কার্যকারী ধারণা নির্ধারণ :যে মানসিক বৈশিষ্ট্য বা সংগঠন পরিমাপ করার জন্য অভীক্ষা গঠন করা হবে সেই সংগঠনের উপযোগী কার্যকারী ধারণা গঠন করতে হবে।

2 প্রকল্প গ্রহণ :- প্রস্তাবিত অভীক্ষার ফলাফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেসব আচরণগত বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যাবে সেই সম্পর্কিত প্রবন্ধ (Hypothesis) গ্রহণ করতে হবে।

3. অভীক্ষাপত্র রচনা :- সংগঠনের কার্যকারী ধারণা ও গৃহীত প্রকল্পের ভিত্তিতে অভীক্ষাপদ নির্বাচন করে অভীক্ষাপত্র রচনা করা হবে।

4. অভীক্ষা প্রয়োগ : বিবেচনাধীন শিক্ষার্থীদের বা ব্যক্তিদের একটি প্রতিনিধিমূলক নমুনা দলের ওপর অভীক্ষাটি প্রয়োগ করতে হবে এবং তাদের প্রাপ্ত স্কোরের বন্টনটি নির্ণয় করতে হবে।

5. অভীক্ষার ফলাফলের বিশ্লেষণ :- :গৃহীত প্রকল্পগুলির ভিত্তিতে বিবেচ্য অভীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করা হবে। যদি অভীক্ষার ফলাফল গৃহীত প্রকল্পগুলির সঙ্গে সামজ্জস্যপূর্ণ হয় তাহলে অভীক্ষাটি যথার্থ (Valid) হবে।

9. How do we determine Construct validity of a test ? Advantages and Disadvantage?

কোনো অভীক্ষার উপর বর্ণিত যথার্থতা সম্পর্কে বিশদ বিশ্লেষণের পূর্বে অভীক্ষার যথার্থতা সম্পর্কে ধারণাকে আপাত যথার্থতা বলা হয়। অভীক্ষাকে দেখে যথার্থ বলে বোধ হচ্ছে কিনা তাকেই বলে আপাত যথার্থতা। |

আপাত যথার্থতা নির্ণয় পদ্ধতি :

কোনো বিশেষ শিক্ষাগত বা মানসিক বৈশিষ্ট্য পরিমাপের জন্য গঠিত অভীক্ষাপত্রটি এই বিষয়ের কয়েকজন বিশেষজ্ঞের কাছে উপস্থাপন করা হয়। বিশেষজ্ঞরা অভীক্ষা পদগুলি পড়ে দেখেন এবং সেগুলি অভীক্ষার সঙ্গে কতটা যুক্তিসম্মতভাবে সম্পর্কযুক্ত সে সম্পর্কে ব্যক্তিগত মতামত দেন। তাঁদের মতামতের মধ্যে মিল থাকলে বলা হবে অভীক্ষাটি আপাতভাবে যথার্থ। যদি কোনো কোনো ক্ষেত্রে মতের মিল না থাকে সেক্ষেত্রে অভীক্ষাপদটি পরিবর্তন করা হবে এবং পুনরায় তার যৌক্তিকতা বিচার করা হবে। সাধারণত শিক্ষাগত পরিমাপ অভীক্ষার ক্ষেত্রে এই ধরনের যথার্থতা নির্ণয় করা হয়।

• সুবিধা (Advantages) :

(i) যখন কোনো অভীক্ষা খুব দ্রুততার সঙ্গে গঠন করার প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে এই পদ্ধতিতে যথার্থতা নির্ণয় খুবই সুবিধাজনক।

(ii) যখন অন্য কোনো পদ্ধতি অবলম্বনে যথার্থতা নির্ণয় করার সময় বা সুযোগ থাকে না তখন একমাত্র উপায় হিসেবে এই পদ্ধতি খুবই উপযোগী।

• অসুবিধা (Disadvantage) :

এই পদ্ধতিতে ওপর-ওপর বা ভাসা-ভাসাভাবে অভীক্ষার যথার্থতা নির্ণয় করা গেলেও প্রকৃত যথার্থতা নির্ণয়ের সুযোগ থাকে না।

10.উপাদানমূলক যথার্থতা (Factorial Validity) :

শিক্ষামনোবিদগণের মতে “Factorial Validity is the extent of correlation of the different factors with the whole test.” অর্থাৎ, কোনো অভীক্ষার বিভিন্ন উপাদানগুলি নিজেদের মধ্যে ও সমগ্র অভীক্ষার সঙ্গে কতটা সম্পর্কযুক্ততার মাত্রাই হল উপাদানমূলক যথার্থতা।

• উপাদানমূলক যথার্থতা নির্ণয় পদ্ধতি

কোনো অভীক্ষার উপাদানমূলক যথার্থতা নির্ণয় করা হয় “উপাদান বিশ্লেষণ (factor analysis) নামক জটিল রাশিবৈজ্ঞানিক কৌশল অবলম্বন করে। এই পদ্ধতিতে অভ্যন্তরীণ সহসম্পর্ক নির্ণয়ের মাধ্যমে কোনো অভীক্ষার উপাদানগুলিকে চিহ্নিত করা হয়। তারপর অভীক্ষা সম্পাদনে প্রতিটি উপাদানের আপেক্ষিক গুরুত্ব নির্ণয়ের মাধ্যমে অভীক্ষার সঙ্গে উপাদানগুলির সহসম্পর্ক নির্ণয় করা হয়। এই সহ-সম্পর্কই যথার্থতার সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়।

11.সম্রার্থ্যতামূলক যথার্থতা ও সহ-অবস্থানমূলক যথার্থতার তুলনা (Comparison between Predictive Validity and Concurrent Validity) :

সম্ভাব্যতামূলক যথার্থতা (Predictive Validity) সহ অবস্থানমূলক বা সমসাময়িক যথার্থতা ( Concurrient Validity)

সাদৃশ্য

(i) এই যথার্থতা গাণিতিক পদ্ধতিতে নির্ণয় করা যায় ও সংখ্যা দ্বারা প্রকাশ করা যায়।

(ii) এই যথার্থতা নির্ণয়ে একটি নির্ণায়ক (Criterion) এর সাহায্য নেওয়া হয়।

(iii) শিক্ষাগত ও মনোবৈজ্ঞানিক উভয় ধরনের পরিমাপের ক্ষেত্রে এই যথার্থতা নির্ণয় করা প্রয়োজন।

(iv) কোনো বিবেচ্য অভীক্ষার ফলাফল ও অনুরূপ জ্ঞাত অভীক্ষার ফলাফলের সহগতির সহগাঙ্ক এই যথার্থতার সূচক। (i) এই যথার্থতাও গাণিতিক পদ্ধতিতে নির্ণয় করা যায় ও সংখ্যা দ্বারা প্রকাশ করা যায়।

(ii) এই যথার্থতা নির্ণয়েও একটি নির্ণায়ক এর সহায়তা নেওয়া হয়।

(iii) শিক্ষাগত ও মনোবৈজ্ঞানিক উভয় ধরনের পরিমাপের ক্ষেত্রে এই যথার্থতাও নির্ণয় করা প্রয়োজন।

(iv) এক্ষেত্রেও কোনো বিবেচ্য অভীক্ষার ফলাফল অনুরূপ জ্ঞাত অভীক্ষার ফলাফলের সহগতির সহগাঙ্ক এই যথার্থতার সূচক হিসেবে বিবেচিত।

সম্ভাব্যতামূলক যথার্থতা (Predictive Validity) সহ অবস্থানমূলক বা সমসাময়িক যথার্থতা ( Concurrient Validity) সহ অবস্থানমূলক বা সমসাময়িক যথার্থতা ( Concurrient Validity)

বৈসাদৃশ্য

(i) এই যথার্থতা নির্ণয়ের সময় বিবেচ্য অভীক্ষাটি ও নির্ণায়ক অভীক্ষাটি একটি নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে কোনো বিশেষ নমুনা দলের ওপর প্রয়োগ করা হয়।

(ii) এই যথার্থতার মাধ্যমে কোন্ অভীক্ষা কতটা সার্থকভাবে শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ সফলতার সম্ভাব্যতা পরিমাপে সক্ষম তা সূচিত হয়।

(iii ) যে সমস্ত অভীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া সম্ভব সেই সমস্ত অভীক্ষার ক্ষেত্রে সম্ভাব্যতামূলক যথার্থতা নির্ণয়ের প্রয়োজন হয় ৷ যেমন—বিদ্যালয়ে গৃহীত নির্বাচনী অভীক্ষা এবং বিভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা। (i) এই যথার্থতা নির্ণয়ের সময় বিবেচ্য অভীক্ষাটি ও নির্ণায়ক অভীক্ষাটি সময়ের ব্যবধান না রেখে একই সঙ্গে পরপর কোনো বিশেষ নমুনা দলের ওপর প্রয়োগ করা হয়।

(ii) এই যথার্থতার মাধ্যমে অভীক্ষার পরিমাপ, প্রচলিত অন্য কোনো অভীক্ষার পরিমাপের সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ তা সূচিত হয়।

(iii) যে সমস্ত অভীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর কর্মসম্পাদন দক্ষতা পরিমাপ করার চেষ্টা করা হয় সেই সমস্ত অভীক্ষার ক্ষেত্রে সহ-অবস্থানমূলক যথার্থতা নির্ণয়ের প্রয়োজন হয় ।

যেমন-বুদ্ধির অভীক্ষা।

12. Discuss the Essay type Test ?

ভূমিকা:- লিখিত পরীক্ষার আদিরূপ এবং বর্তমানেও যা ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে তা হল রচনাত্মক পরীক্ষা। পরীক্ষার নামকরণের মধ্যেই এর অর্থ নিহিত আছে। এই ধরনের পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তরে এক একটি প্রবন্ধ রচনা করে। এখানে নির্দিষ্ট বিষয়ের পাঠ্যসূচি থেকে কয়েকটি প্রশ্ন করা হয়।

Essay type Test:- অভীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর যুক্তিসম্মত চিন্তনক্ষমতা, ভাষাজ্ঞান, সুসংহত বক্তব্য-উপস্থাপনক্ষমতা ও রচনাশৈলীর পরিমাপ করা হয়। প্রশ্নের উত্তর দীর্ঘ এবং কখনও বা নিয়ন্ত্রিত হয়। শিক্ষার্থীর উত্তর দানের স্বাধীনতা আছে।

■ রচনাধর্মী অভীক্ষা দুই প্রকার :-

(i) বিস্তৃত উত্তরধর্মী (Extended answer type) :- উপযুক্ত ভাষা ও শব্দপ্রয়োগ করে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ঘটনার বিবরণ, চিহ্নিত চিত্র-সহযোগে পরীক্ষাপদ্ধতি বর্ণনা কারণ ব্যাখ্যা,উল্লেখ করতে হয়।

(ii) নিয়ন্ত্রিত উত্তরধর্মী (Restricted answer type ) :- এখানে উপযুক্ত নির্দেশের দ্বারা প্রশ্নের উত্তরকে অপেক্ষাকৃত ছোটো করে লিখতে বলা হয়।

রচনাধর্মী অভীক্ষার সুবিধা :- রচনাধর্মীর অভিক্ষার যেসব সুবিধাগুলি রয়েছে সেগুলি নিম্নরূপ

১. অভিক্ষার্থীর দক্ষতার বিবিধ দিকের মূল্যায়ন:- রচনাধর্মী ও ভিক্ষার সাহায্যে শিক্ষার্থীর চুক্তি সম্মত চিন্তন ক্ষমতা ও বিচার বিশ্লেষণের জ্ঞানের ক্ষমতার মূল্যায়ন করা যায়।

২. অভিক্ষার্থীদের বক্তব্য প্রকাশের স্বাধীনতা:- স্বাধীনতা ভাবে বক্তব্য প্রকাশের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভাষার দক্ষতা ও যুক্তি দিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করার ক্ষমতার উন্নতি সাধন সম্ভব হয়।

৩. অভীক্ষা গঠনের সুবিধা :- শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও রচনাধর্মী প্রশ্নের সংখ্যা কম হলেও ব্ল্যাকবোর্ডে লিখেও অভীক্ষা নেওয়া সম্ভব।

৪. অভীক্ষা পত্র প্রস্তুতিতে সময় ও অর্থের ব্যয় কম:- রচনাধর্মী ও বিখ্যাত অপেক্ষাকৃত কম সময় ও কম অর্থ ব্যয় প্রস্তুত করা সম্ভব।

৫. উন্নত পাঠভ্যস গঠন :- শিক্ষার্থীদের মধ্যে উন্নত পাঠভাস গঠিত হয়। যেমন -- কোন বক্তব্যের ভাব সম্প্রসারণ , বিষয়বস্তুর সারসংক্ষেপ , কোন ঘটনা সম্পর্কে সুনিশ্চিত সুচিন্তিত যুক্তি মতামত গঠনের অভ্যাস তৈরি করা হয়।

৬. শিখন পদ্ধতির বিচার করন:- রচনাধর্মী, অভিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষণ--শিখন প্রক্রিয়ার গুণগত মান বিচার করা যায়।

৭. নম্বর দান:- এই অভীক্ষার উত্তরে আংশিক নম্বর দানের ব্যবস্থা থাকায় একেবারে শূন্য হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না।

রচনাধর্মীর অভীক্ষার অসুবিধা:- রচনাধর্মী অভিক্ষার যেসব অসুবিধা গুলি রয়েছে সেগুলি হল নিম্নরপ

১. বিষয়বস্তুর যথার্থতা কম : কোনো নির্দিষ্ট অধ্যায়ের সমস্ত অংশ জুড়ে প্রশ্ন করার সুযোগ থাকে না। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই খুঁটিয়ে পড়ার প্রবণতা কম দেখা যায়।

(2) পরীক্ষকের ব্যক্তিগত প্রভাব :- পরীক্ষক সাধারণত নম্বর দানের সময় শিক্ষার্থীর পরিচিতির দ্বারা প্রভাবিত হন। তিনি যে সমস্ত শিক্ষার্থীকে ভালো চোখে দেখেন তাদের অপেক্ষাকৃত বেশি নম্বর দেন) (Halo effect)।

(3) পূর্বনির্ধারিত স্কোরিং-নির্দেশনার অভাব : রচনাধর্মী প্রশ্নের উত্তরে কোন অংশে কতটা নম্বর দিতে হবে সে সম্পর্কে পূর্বনির্ধারিত নির্দেশনা না থাকায় বিভিন্ন পরীক্ষকের নম্বরদান বিভিন্ন হয়। (4) উত্তরদান ও মূল্যায়ন সময়সাপেক্ষ :এই ধরনের অভীক্ষায় উত্তরদানে প্রচুর সময় লাগে এবং প্রচুর লিখতে হয় বলে পরীক্ষার্থীরা বিরক্তি বোধ করে। অভীক্ষাপত্রের যথাযথ মূল্যায়নে অনেক সময় লাগে বলে এই ধরনের অভীক্ষাগ্রহণে পরীক্ষকদের আগ্রহ কম দেখা যায়।

৫.) উত্তরদানে দ্রুততার প্রভাব :- অনেকক্ষেত্রে দেখা যায়, পরীক্ষার্থীর লেখার গতি পরীক্ষার ফলকে প্রভাবিত করে। উত্তর জানা সত্ত্বেও সীমিত সময়ের মধ্যে উত্তর লিখে শেষ করতে না পারায় প্রাপ্ত স্কোর কম হয়।

13. Discuss the advantage and disadvantage of objective type test?

নৈর্বক্তিক অভীক্ষার সুবিধা (Advangages of Objective type Test) : Percival Symonds নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষার কতকগুলি সুবিধার কথা উল্লেখ করেছেন। সেগুলি নিম্নে আলোচনা করা হল—

(1) বিষয়বস্তুগত যথার্থতা বেশি:- অভীক্ষার অন্তর্গত বিষয়বস্তুর প্রায় সময় অংশ জুড়ে প্রশ্ন করার সুযোগ পাওয়া যায়। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠ্যসূচির সমগ্র অংশ খুঁটিয়ে পড়ার অভ্যাস তৈরি করা সম্ভব হয়।

(2) পরীক্ষকের ব্যক্তিগত প্রভাব :- এই ধরনের অভীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে পরীক্ষকের যাবতীয় প্রভাব যেমন- প্রশ্ন থেকে প্রশ্ন বহন প্রভাব’, ‘হ্যালো প্রভাব’, ‘পরীক্ষার্থী To examinee effect’ ইত্যাদি থাকে না।

3.শিক্ষার্থীর কাছে গ্রহণযোগ্যতা বেশি :এই ধরনের অভীক্ষায় খুব কম সময়ে অনেক প্রশ্নের উত্তর লিখে ভালো স্কোর করার সুযোগ থাকায় শিক্ষার্থীরা এই ধরনের অভীক্ষার উত্তর দিতে বেশি আগ্রহী হয়।

4.মূল্যায়ন কম সময় সাপেক্ষ : রচনাধর্মী অভীক্ষার মূল্যায়নে যে সময় লাগে তার চেয়ে অনেক কম সময়ে এই অভীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা যায়। তাই শিক্ষকেরা এই ধরনের অভীক্ষাগ্রহণে বেশি আগ্রহী হন।

5.সংশোধনমূলক শিখনে সহায়ক:- শিক্ষকের নির্দেশনায় শিক্ষার্থীরা তাদের বন্ধুদের সঙ্গে উত্তরপত্র বিনিময় করে নিজেরা মূল্যায়ন করলে নিজেদের ত্রুটিগুলি ও বিষয়গত দুর্বলতার স্থানগুলি নিজেরাই চিহ্নিত করতে পারে এবং কোন কোন বিষয় আরও ভালোভাবে পড়া উচিত তা বুঝতে পারে।

6.মুখস্থবিদ্যার পরিপন্থী : এই ধরনের অভীক্ষা শিক্ষার্থীদের মধ্যে না বুঝে মুখস্থবিদ্যা দ্বারা পাঠ্য বিষয়বস্তু অধিগত করার উৎসাহ দেয় না বরং পুঙ্খানুপুদ্ধভাবে পরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ ও চিন্তনের দ্বারা সিদ্ধান্ত গ্রহণে অনুপ্রেরণা দেয়।

(7) নির্ভরযোগ্য :- একই পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র বিভিন্ন পরীক্ষকের দ্বারা মূল্যায়ন করালে একই ফল পাওয়া যাবে। অর্থাৎ এই ধরনের অভীক্ষা গ্রহণ করে নির্ভরযোগ্যতার সঙ্গে শিক্ষার্থীর মূল্যায়ন ও ব্যক্তিগত পার্থক্য নির্ণয় করা যায়।

(8) অদ্রশায়িত করা সম্ভব : সমবয়সি একদল শিক্ষার্থীর ওপর প্রয়োগ করে এই

অভীক্ষাকে আদর্শায়িত করা সম্ভব। এই অভীক্ষার ফলের ভিত্তিতে এলাকাভিত্তিক

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতি ও মান তুলনা করা সম্ভব

নৈর্বাত্বিক অভীক্ষার অসুবিধা (Disadvantages of Objective type Test) : Percival Symonds নৈর্বান্তিক অভীক্ষার কতকগুলি অসুবিধার কথা উল্লেখ করেছেন। সেগুলি নিম্নে আলোচনা করা হল—

(1) জটিল শিখন প্রক্রিয়ার পরিপন্থী : এই ধরনের অভীক্ষা জ্ঞানের সামান্যীকরণ, ভাবপ্রকাশের ক্ষমতা, সুসংহত বক্তব্য উপস্থাপন, ব্যাখ্যাকরণ, সংক্ষিপ্তকরণ ইত্যাদি দক্ষতা পরিমাপে সহায়ক নয়।

(2) ) অনুমানের প্রভাবযুক্ত :- অনেকক্ষেত্রে দেখা যায়, অভীক্ষার্থী সঠিক উত্তর না জানা সত্ত্বেও অনুমানের ভিত্তিতে উত্তরদান করে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা ঠ হয়ে যায়। ফলে শিক্ষার্থীর দুর্বলতার স্থান নির্ণয় করা সম্ভব হয় না।

(3) ব্যয়বহুল ও পরিশ্রমসাধ্য :- এই ধরনের অভীক্ষাপত্র প্রস্তুত খুবই শ্রমসাধ্য এতে অপেক্ষাকৃত বেশি অর্থ ও সময়ের ব্যয় হয়।

(4) অসদুপায় অবলম্বনের সুযোগ :- নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষার উত্তর খুবই সংক্ষিপ্ত হওয়ার অভীক্ষার্থীরা অসদুপায় অবলম্বনের সুযোগ পায়।

14. Discuss the Process to determine reliability of a test?

ভূমিকা:- নির্ভরযোগ্যতা হল স্থিরতা। কোনো পরিমাপক যন্ত্রের নির্ভরযোগ্যতা বলতে বোঝায়, ওই

যন্ত্র দ্বারা যদি কোনো বস্তুকে সদৃশ পরিস্থিতিতে দু-বার পরিমাপ করা যায় তাহলে ফল সমান হবে। এই অর্থে কোনো অভীক্ষা নির্ভরযোগ্য হবে যদি উক্ত অভীক্ষা দ্বারা কোনো ব্যক্তিকে সমপরিস্থিতিতে পরিমাপ করা হয়, তাহলে ফল একই হবে। যথার্থতার মতো নির্ভরযোগ্যতাও অভীক্ষার নয়, নির্ভরযোগ্যতা পরিমাপের।

নির্ভরযোগ্যতা:- Reliability:- যদি কোন শিক্ষাগত ও মনোবৈজ্ঞান িক অভীক্ষা দ্বারা একই শিক্ষার্থীর একই বৈশিষ্ট্য প্রায় একই পরিস্থিতিতে একাধিকবার পরিমাপ করলে একই ফল সবসময় পাওয়া যায়। মাখিক পরী তাহলে অভীক্ষাটিকে এবং প্রাপ্ত পরিমাপটিকে নির্ভরযোগ্য (Reliability) বলা যায়। পরিমাপের এই সামঞ্জস্যপূর্ণ স্থিরতা বা অপরিবর্তনীয়তার মাত্রাকেই পরিমাপটির নির্ভরযোগ্যতা (Reliability) বলা হয়।

অভীক্ষার নির্ভরযোগ্যতা নির্ণয় করার পদ্ধতি:-

নির্ভরযোগ্যতা নির্ণয় করার পদ্ধতি বিশ্লেষণ করার পূর্বে নির্ভরযোগ্যতা সম্পর্কিত কিছু তথ্য উল্লেখ করা প্রয়োজন। এগুলি হল—

1. নির্ভরযোগ্যতা হল অভীক্ষার প্রাপ্ত ফলের স্থিরতা অভীক্ষার স্থিরতা নয়। সেজন্য অভীক্ষার নির্ভরযোগ্যতার পরিবর্তে অভীক্ষার স্কোরের নির্ভরযোগ্যতা বলা উচিত।

2. অভীক্ষার স্কোরের স্থিরতা সাধারণ বৈশিষ্ট্য নয়। স্থিরতার প্রেক্ষিতে উল্লেখ করা। প্রয়োজন। যেমন সময়ের প্রেক্ষিতে স্থিরতা, প্রশ্নের বিভিন্ন Sample-এর উত্তরের স্থিরতা, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে নম্বর দানের স্থিরতা ইত্যাদি।

3. নির্ভরযোগ্যতা যথার্থতার একটি শর্ত। কিন্তু একমাত্র শর্ত নয়। নিম্নমাত্রার নির্ভরযোগ্যতা নিম্নমাত্রার যথার্থতার কারণ, কিন্তু উচ্চমাত্রার নির্ভরযোগ্যতা উচ্চমাত্রার যথার্থতাকে নিশ্চিত করে না।

 4. নির্ভরযোগ্যতা প্রধানত পরিসংখ্যানগত। একে হয় নির্ভরযোগ্যতা সহগ দ্বারা ব্যক্ত করা হয়, না হয় Standard Error of Measurement দ্বারা ব্যস্ত হয়।

Type of Reliability Test:-

১.পুনঃঅভীক্ষা পদ্ধতি (Test Retest Method) :

কোনো অভীক্ষার নির্ভরযোগ্যতা নির্ণয়ের সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হল পুনঃঅভীক্ষা পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে বিবেচ্য অভীক্ষাটি (যার নির্ভরযোগ্যতা নির্ণয় করতে হাবে) একদল শিক্ষার্থীর ওপর প্রায় একই পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র সময়ের ব্যবধান পরপর দুবার প্রয়োগ করা হয়।

ত্রুটি :- পুনঃঅভীক্ষা পদ্ধতিতে নির্ভরযোগ্যতা নির্ণয়ে নিম্নলিখিত ত্রুটিগুলি লক্ষ করা যায়। যথা-

(i) অভীক্ষাটির দুবার প্রয়োগের মধ্যে যদি সময়ের ব্যবধান খুব কম হয় (1-2 দিন), তাহলে অভীক্ষার্থীর স্মৃতি, অনুশীলন, অভিজ্ঞতা সঞ্চালনের জন্য দ্বিতীয় প্রয়োগে প্রাপ্ত ফলাফলে উন্নতি লক্ষ করা যায়। ফলে নির্ভরযোগ্যতা সহগারে যে মান পাওয়া যায় তা অভীক্ষাটির নির্ভরযোগ্যতার সঠিক পরিমাপ নয়।

(ii) আবার সময়ের ব্যবধান খুব বেশি হলেও (6 মাস বা তার বেশি) শিক্ষার্থীর

অর্জিত নতুন অভিজ্ঞতাগুলি দ্বিতীয় প্রয়োগের ফলাফলকে প্রভাবিত করবে।ফলে নির্ভরযোগ্যতা সহগাঙ্কের মান হ্রাস পাবে।

(iii) অভীক্ষা প্রয়োগের ক্ষেত্রে সমপরিস্থিতি বজায় রাখা অনেকক্ষেত্রে সম্ভব না

হওয়ার নির্ভরযোগ্যতার সঠিক মান পাওয়া যায় না।

অর্থাৎ উপরোক্ত ত্রুটিগুলির জন্য পুনঃঅভীক্ষা পদ্ধতিতে কোনো অভীক্ষার নির্ভরযোগ্যতার সঠিক মান নির্ধারণ করা যায় না।

২. বিকল্প পদ্ধতি বা সমান্তরাল পদ্ধতি বা সমতুল্য অভীক্ষা পদ্ধতি (Alternate Form or Parallel Form or Equivalent Test Method): এই পদ্ধতিতে কোনো অভীক্ষার নির্ভরযোগ্যতা নির্ণয়ের জন্য একই সঙ্গে দুটি ভিন্ন (different) কিন্তু সদৃশ (equivalent) অভীক্ষা গঠন করা হয়। অভীক্ষা দুটির বিষয়বস্তু, উদ্দেশ্য, কাঠিন্যমাত্রা নির্দেশাবলির প্রকৃতি, অভীক্ষাপদের পার্থক্য নির্ণায়ক মান, সময়সীমা ইত্যাদির মধ্যে পরিপূর্ণ সাদৃশ্য থাকে। তাই অভীপ্স দুটিকে “সমান্তরাল অভীক্ষা” বলা হয়।

সমান্তরাল অভীক্ষার বৈশিষ্ট্য : অভীক্ষা দুটির মধ্যে নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি থাকলে তাদের সমান্তরাল অভীক্ষা বলা হবে। যথা-

 (i) উভয়ক্ষেত্রে অভীক্ষাপদের সংখ্যা একই হবে।

(ii) অভীক্ষাপদের প্রকৃতি, কাঠিন্যমাত্রা ও বিন্যাসে সাদৃশ্য থাকবে।

(iii) উভয় অভীক্ষার সময়সীমা একই হতে হবে।

(iv) বিষয়বস্তুগত ও উদ্দেশ্যগত সাদৃশ্য থাকবে।

(v) ) (v) উভয় অভীক্ষার উত্তরদানের জন্য একইরকম নির্দেশাবলি থাকবে। (vi) অভীক্ষা পরিচালনা ও নম্বরদানের ক্ষেত্রে একই নিয়ম ও নির্দেশ অনুসরণ করা হবে।

। ত্রুটি : এই পদ্ধতিতে নিম্নলিখিত ত্রুটিগুলি লক্ষ করা যায়-

i) অভীক্ষা দুটি সদৃশ হওয়ায় প্রথম অভীক্ষাগ্রহণের অভিজ্ঞতা বিকল্প অভীক্ষার ফলাফলকে প্রভাবিত করে।

(ii) সমান্তরাল অভীক্ষা গঠনে ব্যক্তিগত প্রভাব পড়ে। কারণ, দুটি অভীক্ষাপদ ভিন্ন বাস্তির কাছে সমকাঠিন্যমান সম্পন্ন মনে নাও হতে পারে।

(iii) দুটি অভীক্ষাগ্রহণের মধ্যে সময়ের ব্যবধান কম হলে নির্ভরযোগ্যতার মান বেশিহবে। আবার সময়ের ব্যবধান বেশি হলে নির্ভরযোগ্যতার মান কম হয়।

(iv) দুটি যথাযথ সমান্তরাল অভীক্ষা গঠন সময়সাপেক্ষ ও পরিশ্রমসাধ্য ।

উপরোন্ত ত্রুটিগুলি থাকা সত্ত্বেও সমান্তরাল অভীক্ষা পদ্ধতি হল নির্ভরযোগ্যতা নির্ধারণের অধিকতর সন্তোষজনক কৌশল। অভীক্ষা দুটি প্রয়োগের মধ্যে কমপক্ষে 2-4 সপ্তাহ সময়ের ব্যবধান রাখা হলে অভীক্ষার্থীর পূর্ব অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি হওয়ার সুযোগ হ্রাস পায়।

.৩ অর্ধ-দ্বিখণ্ডিত পদ্ধতি (Split-half Method or Intra Split half method)

পুনঃ অতীক্ষা পদ্ধতি ও সমান্তরাল অভীক্ষা পদ্ধতিতে দুবার অভীক্ষা প্রয়োগের মধ্যে।সময়ের ব্যবধান থাকায় অভীক্ষার্থীর স্মৃতি ও অভিজ্ঞতা সঞ্চালন নির্ভরযোগ্যতা নির্ণয়ে প্রভাব ফেলে। এর ফলে নির্ভরযোগ্যতার স্থায়ী মান নির্ণয় করা যায় না। অর্ধ-দ্বিখণ্ডি পদ্ধতিতে এই অসুবিধা দূর করার চেষ্টা করা হয়েছে।

অর্ধক দ্বিখন্ডিত পদ্ধতির নির্ণয় করার

এই পদ্ধতিতে কোনো অভীক্ষার নির্ভরযোগ্যতার সহগাঙ্ক নির্ণয় করতে হলে নিম্নলিখিত পর্যায়গুলি অনুসরণ করতে হয়।

প্রথম ধাপ:- প্রথমে অভীক্ষাটি একদল নির্বাচিত অভীক্ষাথীর ওপর প্রয়োগ করা হবে। দ্বিতীয় ধাপ :- প্রয়োগের পর অভীক্ষাপদগুলিকে দুটি অংশে ভাগ করে নেওয়া হবে। তৃতীয় ধাপ:- অভীক্ষার অন্তর্গত যুগ্ম ক্রমিক সংখ্যাসম্পন্ন অভীক্ষাপদগুলিতে প্রাপ্ত স্কোর এবং অযুগ্ম ক্রমিক সংখ্যা সম্পন্ন অভীক্ষাপদগুলিতে প্রাপ্ত স্কোর-এর পৃথক দুটি বণ্টন নির্ণয় করা হবে।

চতুর্থ ধাপ :- দুটি পৃথক স্কোর বণ্টনের সহগতির সহগাঙ্ক নির্ণয় করা হবে। যা অভীক্ষার দুটি অর্থের নির্ভরযোগ্যতার সহগাঙ্ক (Reliability Co-efficient of Half-tests)।

পঞ্চম ধাপ:- • খণ্ডিত অংশের নির্ভরযোগ্যতার মান থেকে পূর্ণ অভীক্ষার নির্ভরযোগ্যতা

নির্ণয়ের জন্য স্পিয়ারম্যান ও ব্রাউনের (Spearman Brown Formula) সূত্র প্রয়োগ করা হবে।

পদ্ধতির সুবিধা :

পুনঃঅভীক্ষা পদ্ধতি ও সমান্তরাল অভীক্ষা পদ্ধতির চেয়ে এই পদ্ধতি অধিক সুবিধাজনক।

কারণ— (i) বিবেচ্য অভীক্ষাটিকে একবারই প্রয়োগ করতে হয়। তাই নির্ভরযোগ্যতার মান নির্ণয়ে অভীক্ষার্থীর স্মৃতি ও অভিজ্ঞতা সঞ্চালনের কোনো প্রভাব পড়ে না।

(ii) দুটি পৃথক (বিকল্প) অভীক্ষা গঠন করার প্রয়োজন না থাকায় সময়ও কম লাগে আবার পরিশ্রমও লাঘব হয়।

পদ্ধতির ত্রুটি :

এই পদ্ধতিতে কোনো অভীক্ষার নির্ভরযোগ্যতার যে মান নির্ণয় করা হয় তা সম্পূর্ণভাবে ত্রুটিমুক্ত বলা যায় না। কারণ—

১)অভীক্ষাটিকে যে দুটি খন্ডে বিভক্ত করা হয়েছে তাদের মধ্যেকার সাদৃশ্য সম্পূর্ণভাবেই অনুমানভিত্তিক। তাই নির্ভরযোগ্যতার যে মান পাওয়া যায় তা অনুমানের ওপর নির্ভরশীল।

২) অভীক্ষার অন্তর্গত অভীক্ষাপদগুলির ভিন্ন ভিন্ন বিন্যাসের খুন অভীক্ষার খন্ডিতাংশ দুটির মধ্যে পৃথক পৃথক সংগতির সহগাঙ্কের মান পাওয়া যাবে। ফলে নির্ভরযোগ্যতার স্থায়ী মান পাওয়া যাবে না।

 অন্তপদীয় সামগ্ধস্য পদ্ধতি (Inter-item Consistency Method) : এই পদ্ধতিতে কোনো অভীক্ষার নির্ভরযোগ্যতার মান নির্ধারণ করতে হলে অভীক্ষাটিকে দ্বিখণ্ডিত করার প্রয়োজন হয় না। অর্ধ-দ্বিখণ্ডিত পদ্ধতির মতো এই পদ্ধতিতেও অভীক্ষার অন্তর্গত অভীক্ষাপদগুলির অভ্যন্তরীণ সাম্যস্যতা নির্ণয় (Measure of internal consis- tency) করা হয়।

15.How do we determine content validity of a test?

কোন অভিক্ষার বিষয়বস্তু নির্ভর যথার্থতা বলতে বোঝায়, সেই অভিক্ষাটি কতটা ব্যাপকহারে বিষয়বস্তুর বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাঙ্খিত আচরণগত উদ্দেশ্যগুলিকে পরিমাপের জন্য অন্তর্ভুক্ত করতে পেরেছে।

অভীক্ষার বিষয়বস্তুনির্ভর যথার্থতা নির্ণয়ের পদ্ধতি (Process of determination of Content Validity of a test):শিক্ষাগত পারদর্শিতার অভীক্ষার ক্ষেত্রে এই বিষয়বস্তুনির্ভর যথার্থতা নির্ণয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিম্নলিখিত পর্যায়গুলি অনুসরণ করে এই যথার্থতা নির্ণয় করা হয়। যথা-

 1 পাঠ্যসূচি বিশ্লেষণ :যে শ্রেণির শিক্ষার্থীদের যে পাঠ্য বিষয়ের পারদর্শিতা পরিমাপ করার জন্য অভীক্ষাটি রচনা করা হবে সেই শ্রেণির সেই বিষয়ের সময় পাঠ্যসূচি (Syllabus) বিশ্লেষণ করে। মূল পাঠ্য এককগুলির একটি তালিকা প্রস্তুত করা হবে।

2. শিক্ষণ উদ্দেশ্য নির্ধারণ:- যে বিষয়ে পারদর্শিতা পরিমাপ করার জন্য অভিবিকাটি গঠন করা হচ্ছে সেই বিষয়টি শিখন উদ্দেশ্যগুলির একটি তালিকা প্রস্তুত করা হবে।

3. একক ভিত্তিক মূল্যামান নির্ধারণ :- পাঠদান কালে শিক্ষনীয় বিষয় একক গুলির ওপর শিক্ষক যে অনুপাতে গুরুত্ব আরোপ করে করেছেন সেই আপেক্ষিক গুরুত্ব অনুসারে অভিক্ষার মোট মূল্যামান 100-কে একক গুলির মধ্যে বন্টন করা হবে।

4. উদ্দেশ্য ভিত্তিক মূল্যমান নির্ধারণ:- এই পর্যায়ে প্রতি এককের নির্ধারিত মূল্যমান কে জ্ঞান, বোধ, প্রয়োগ ও দক্ষতা এই উদ্দেশ্যগুলির মধ্যে যথাযথভাবে বন্টন করা হবে।

5. নির্দেশক কালিকা প্রস্তুতি:- এই পর্যায়ে একক ভিত্তিক ও উদ্দেশ্যভিত্তিক মূল্যমান বণ্টনের একটি সমন্বয়ী তালিকা Blue Print of (Specification Table) প্রস্তুত করা হবে যা থেকে বোঝা যাবে, অভীক্ষাপত্র রচনায় শিক্ষক পাঠ্যবিষয়ের বিভিন্ন একক ও শিক্ষণ উদ্দেশ্যগুলির ওপর কীরুপ গুরুত্ব আরোপ করবেন। এই সমন্বয়ী তালিকাকে নির্দেশক তালিকা বালে।

6. অভীক্ষাপত্র রচনা :- এই পর্যায়ে নির্দেশক তালিকা অনুসারে অভীক্ষাপত্র রচনা করা হয়। এই তালিকায় প্রকৃতি অনুসারে প্রশ্নের সংখ্যা অর্থাৎ, রচনাধর্মী, সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী, স উত্তরধর্মী ও নৈর্ব্যক্তিক উত্তরধর্মী প্রশ্নের সংখ্যা ও মূল্যামানও উল্লেখ করা হয়। এইভাবে যুক্তিনির্ভর পদ্ধতি অনুসরণ করে কোনো অভীক্ষার বিষয়বস্তুগত যথার্থতা সংরক্ষণ করা হয়।

What is the Formative evaluation?

কোনো কাজ চলাকালে কাজের নীতি, উৎকর্ষতা, প্রত্যাশা অনুযায়ী অগ্রগতি হচ্ছে কিনা ইত্যাদি বিচারে যে মূল্যায়ন করা হয় তাকে Formative মূল্যায়ন বলে।

What is the Summative Evaluation?

 একটা নির্দিষ্ট সময়ের শেষে শিক্ষণ উদ্দেশ্যগুলি কী পরিমাণে অর্জিত হয়েছে সে সম্পর্কিত তথ্যসংগ্রহকে কার্যসমাপ্তি ( Summative) মূল্যায়ন বলে।

What do meant by Sociometric test?

সমাজমিতি (Sociometry) : সমাজের চোখে ব্যক্তির অবস্থান পরিমাপ করার কৌশলকে সমাজমিতি বলে। যে অভীক্ষা দ্বারা এটি কার্যকারী রূপ পায় তাকে সমাজমিতি অভীক্ষা (Sociometric test) বলে। সমাজমিতি অভীক্ষা দলের অন্তর্ভূক্ত সদস্যদের মধ্যে আত্তাসম্পর্ক চিত্রের আকারে প্রকাশ করে। G. L. Moreno সমাজবিজ্ঞানী এই পদ্ধতির উদ্ভাবক।

Mention Two Characteristics of A.R.C?

১.এখানে ঘটনার বিবরণ এবং ব্যক্তির ভূমিকার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ থাকবে তবে কোনো মন্তব্য থাকবে না।

২.নির্দিষ্ট ঘটনার ধারাবাহিকতাকে বজায় রেখে সম্পূর্ণ চিত্রটি তুলে ধরা হয়। এমনকী কী কথাবার্তা হয়েছে তার উল্লেখ থাকবে।

৩.ব্যক্তির তাৎপর্যপূর্ণ আচরণ গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসংগ্রহ করাই এর অন্যতম উদ্দেশ্য। (4) ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসংগ্রহ করাও এর উদ্দেশ্য।

Write Two Adventage of A.R.C ?

১.কোনো ব্যক্তির একাধিক A.R.C. থেকে ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে একটা

সম্পূর্ণ ধারণা গঠন করা সম্ভব।

২.বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ব্যক্তির আচরণ প্রত্যক্ষ করে ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে

আলোচনা করা হয় বলে এর নৈর্ব্যাক্তিকতা যথেষ্ট বেশি।

৩.এর সাহায্যে ব্যক্তি সম্পর্কে এমন অনেক তথ্য জানা সম্ভব যা অন্য কোনো

পদ্ধতি থেকে সম্ভব নয়।

অসুবিধা (Disadvantages) : A.R.C-র অসুবিধা হল, কোনো একটি Annecdote থেকে ব্যক্তি সম্পর্কে সঠিক ধারণা করা উচিত নয়। একাধিক Annecdore এর সাহায্য নেওয়া উচিত। Annecdote রেকর্ড করার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।

প্রশ্ন: নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষার দুটি অসুবিধা লিখুন। (Write two disadvantages of objective type test.)

উত্তর: নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষার দুটি অসুবিধা হল—

১..জটিল শিখন প্রক্রিয়ার পরিপন্থী : এই ধরনের অভীক্ষা জ্ঞানের সামান্যীকরণ, ভাবপ্রকাশের ক্ষমতা, সুসংহত বক্তব্য উপস্থাপন, ব্যাখ্যাকরণ, সংক্ষিপ্তকরণ ইত্যাদি দক্ষতা পরিমাপে সহায়ক হয়।

২. অনুমানের প্রভাবমুক্ত : অনেকক্ষেত্রে দেখা যায়, অভীক্ষার্থী সঠিক উত্তর না জানা সত্ত্বেও অনুমানের ভিত্তিতে উত্তরদান করে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা ঠিক হয়ে যায়। ফলে শিক্ষার্থীর দুর্বলতার স্থান নির্ণয় করা সম্ভব হয় না।

প্রশ্ন : রচনাধর্মী অভীক্ষার দুটি সুবিধা লিখুন। (Write two advantages: উত্তর : রচনাধর্মী অভীক্ষার দুটি সুবিধা হল নিম্নরূপ—

১.রচনাধর্মী অভীক্ষার সাহায্যে শিক্ষার্থীর যুক্তিসম্মত চিস্তনক্ষমতা ও বিচার বিশেষ ক্ষমতার মূল্যায়ন করা যায়।

২.রচনাধর্মী অভীক্ষাপত্র প্রস্তুত করা ও শিক্ষার্থীদের ওপর প্রয়োগ করা অপেক্ষাকৃত সহজ।

 রচনাধর্মী অভীক্ষার দুটি অসুবিধা লিখুন। (Write two disadvantages of objective

উত্তর : নানী অভীক্ষার দুটি অসুবিধা হল নিম্ন-

(i) রচনাধর্মী প্রশ্নের উত্তরে কোন্ অংশে কতটা নম্বর দিতে হবে সে সম্পর্কে পূর্বনির্ধারিত নির্দেশনা না থাকায় বিভিন্ন পরীক্ষকের নম্বরদান বিভিন্ন হয়। (ii) এই ধরনের অভীক্ষায় উত্তরদানে প্রচুর সময় লাগে এবং প্রচুর লিখতে হয় বলে পরীক্ষার্থীরা বিরক্তি বোধ করে।

 মনোবৈজ্ঞানিক অভীক্ষা কাকে বলে? (What is meant by psychological test ? ) উত্তর: কোনো শিক্ষার্থী তথা ব্যক্তির মানসিক বৈশিষ্ট্যাবলি যেমন আগ্রহ, প্রবণতা, বুদ্ধি ব্যক্তিত্ব ইত্যাদি পরিমাপ করার জন্য যে সকল অভীক্ষা প্রস্তুত করা হয়েছে তাদের মনোবৈজ্ঞানিক অভীক্ষা বলে।

Define Achievement Test: পারদর্শিতার অভীক্ষার সংজ্ঞা দিন।

উত্তর: মনোবিদ JC Munnely বলেছেন The Purpose of achievement test is to measure prossess in school of acheivent test is to measure progress in school upto a particular point in time.” অর্থাৎ শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ের জীবনের কোনো বিশেষ সময়কাল পর্যন্ত তার শিক্ষাগত অগ্রগতির পরিমাপের কৌশলই হল পারদর্শিতার অভীক্ষা।

প্রশ্ন: মূল্যায়নের দুটি বৈশিষ্ট্য লিখুন। (Write two characteristics of মূল্যায়ন?)

উত্তর: মূল্যায়নের দুটি বৈশিষ্ট্য হল-

১.মূল্যায়ন একটি নিরবচ্ছিন্ন জটিল প্রক্রিয়া।

২.মূল্যায়নে শিক্ষার্থীর কৃতিত্ব ছাড়াও শিক্ষাব্যবস্থাকে সামগ্রিকভাবে বিশ্লেষণ করা হয়।

প্রশ্ন: মূল্যায়নের দুটি উদ্দেশ্য লিখুন। (Write two objectives of Evaluation.) উত্তর: শিক্ষার ফলে শিক্ষার্থীর জীবনে যে ধারাবাহিক পরিবর্তন সাধিত হয় তার সঠিক বিচারের জন্য মূল্যায়নের বিশেষ প্রয়োজন। কারণ—

(১) শ্রেণিকরণ : মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর বৌদ্ধিক জ্ঞান ও দক্ষতার যে পরিচয় পাওয়া যায় তার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকরণ করা সম্ভব।

(২) প্রতিকারমূলক শিক্ষণ পরিকল্পনা : মূল্যায়ন ব্যবস্থায় প্রাপ্ত ফলাফলকে বিশ্লেষণ করে শিক্ষার্থীদের অসুবিধা ও দুর্বলতার স্থানগুলি চিহ্নিত করা সহজ হয় এবং প্রয়োজনভিত্তিক প্রতিকারমূলক বা সংশোধনমূলক শিক্ষণ পরিকল্পনা রচনা করা যায়।

অভীক্ষার নির্ভরযোগ্যতা বলতে কী বোঝেন? (What do you mean by realability of a test?)

উত্তর : যদি কোনো শিক্ষাগত বা মনোবৈজ্ঞানিক অভীক্ষা দ্বারা একই শিক্ষার্থীর একই বৈশি প্রায় একই পরিস্থিতিতে একাধিকবার পরিমাপ করলে যদি একই ফল সবসময় পাঙ্গা যায় তাহলে অভীক্ষাটিকে এবং প্রাপ্ত পরিমাপটিকে নির্ভরযোগ্য (Reliability) যায়। পরিমাপের এই সামস্যপূর্ণ স্থিরতা বা অপরিবর্তনীয়তার মাত্রাকে পরিমাপটির • নির্ভরযোগ্যতা (Reliability) বলা হয়।

অভীক্ষার যথার্থতা বলতে কী বোঝেন? (What do you mean by validIty of a test ?)

উত্তর : কোনো অভীক্ষা ব্যক্তির যে মানসিক বা শিক্ষাগত বৈশিষ্ট্যকে পরিমাপের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে, অভীক্ষাটি কতটা নিখুঁত ও সার্থকভাবে তা পরিমাপে সক্ষম হচ্ছে তার মাত্রাই হল অভীক্ষাটির যথার্থতা (Validity)।

অর্থাৎ ভৌতবিজ্ঞানের একটি পারদর্শিতার অভীক্ষা যে মাত্রায় বা যতটা নির্ভুলভাবে শিক্ষার্থীর ভৌতবিজ্ঞানের জ্ঞান পরিমাপে সক্ষম, তাকেই বলা হবে অভীক্ষাটির যথার্থতা এবং যে সূচক দ্বারা এই মাত্রা প্রকাশ করা হয় তাকে যথার্থতার সূচক (Index of Validity) বলে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ