Differences between Standardised and Non-standardised Test
আদর্শায়িত ও অ-আদর্শান্বিত অভীক্ষার তুলনামূলক আলোচনা করো?
![]() |
ভূমিকা:- নিজ নিজ উদ্দেশ্য পূরণ করার জন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষক, মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, রোগ নির্ণায়ক সংস্থার রোগনির্ণয়কারী, মনোবিজ্ঞানী সমাজবিজ্ঞানী প্রভৃতি ব্যক্তিসকল মানসিক অভীক্ষা ও শিক্ষাগত অভীক্ষা রচনা করার আবশ্যকতা প্রায়ই অনুভব করে থাকেন। অভীক্ষা রচনার পর যদি সেই অভীক্ষার যথার্থতা, নির্ভরযোগ্যতা, নৈর্বক্তিকতা, প্রয়োগযোগ্যতা, নর্ম বা আদর্শমান নির্ণয় করা হয় এবং অভীক্ষাটির যদি এই সকল মানসমূহ উচ্চ তাহলে তাকে আদর্শকৃত অভীক্ষা (Standardised test) বলে।
অপরদিকে যে অভীক্ষায় উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলি পরিমাপ করা হয় না সেই অভীক্ষাকে Non-standardised test বলে। যেমন—বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী শিক্ষণীয় বিষয়বস্তু সম্পর্কে কতখানি জ্ঞান লাভ করেছে তা জানার জন্য। বিদ্যালয়-শিক্ষক নিজে কিছু অভীক্ষা তৈরি করেন বা গবেষক তাঁর গবেষণা কাজের জন্য অভীক্ষা নির্ণয় করে থাকেন। এই অভীক্ষা আদর্শায়িত নয়, তাই এই অভীক্ষা হল Non-standardised!
১.আদর্শায়িত অভীক্ষা বা Standardised test অনেক শিক্ষার্থী বা ব্যক্তির উপর প্রয়োগ করে, পরিসংখ্যানের সাহায্য নিয়ে তৈরি করা হয়। এই অভীক্ষা সর্বত্রই প্রয়োগ করা যায়।
অপরপক্ষে, Non-standardised test গুলি প্রয়োগের সীমা এত ব্যাপক হয় না। যেমন শিক্ষককৃত অভীক্ষা কেবল একটি বিদ্যালয়ে বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে কয়েকটি বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণির শিক্ষার্থীর উপর প্রয়োগ করা হয়।
২.আদর্শায়িত অভীক্ষার উদ্দেশ্য ও পরিধি ব্যাপক। অপরপক্ষে, Non-standardised test-এর উদ্দেশ্য ও পরিধির ব্যাপকতা অনেক কম। • ৩.Standardised test-এর মাধ্যমে ব্যক্তির নানাবিধ বৈশিষ্ট্যের পরিমাপ করা যায়, যথা—বুদ্ধি, ব্যক্তিত্ব, আগ্রহ, মনোভাব, শিক্ষাগত নানা ফল ইত্যাদি।
Non-standardised test (যা Teacher made test)-এর মাধ্যমে কেবল বিশেষ শ্রেণির শিক্ষার্থীর শিক্ষাগত কৃতিত্ব নির্ণয় করা সম্ভব হয়। একে অন্যান্য স্কুলের একই শ্রেণিতে ব্যবহার করলে সঠিক ফল পাওয়া নাও যেতে পারে।
৪. Standardised test-এর নির্দিষ্ট নির্দেশলিপি থাকে সেই নির্দেশলিপি অনুসারে উত্তরপরে নম্বর দেওয়া হয়। যে-কোনো অঞ্চলে এই অভীক্ষা প্রয়োগ করা হোক না কেন, এই নির্দেশলিপি অতি অবশ্যই প্রয়োজন। এর মাধ্যমে বিভিন্ন অঞ্চলের অভীক্ষার্থীদের প্রদত্ত স্কোরের তুলনা করা যেতে পারে। এই তুলনা অভীক্ষার্থীদের Standard সম্বন্ধে সঠিক ধারণা নিতে পারে।
কিন্ত Non-standardised test-এ নির্দিষ্ট কোনো নির্দেশলিপি থাকে না। এই Test দ্বারা অন্যান্য অঞ্চলের প্রদত্ত স্কোরের তুলনা করা হলেও এই লা অভীক্ষার্থীদের Standard সম্বন্ধে সঠিক ধারণা সবসময় দিতে পারে না।
৫. • অভিজ্ঞ অধ্যাপক, শিক্ষক, লেখক, মনোবিজ্ঞানী প্রমুখ আদর্শারিতঅভীক্ষা (Standardised test) প্রস্তুত করেন।
Non-standardised test তৈরির ক্ষেত্রে সবসময় অভিজ্ঞ ব্যক্তির প্রয়োজন নেই, তবে অভিজ্ঞ ব্যক্তি হলে ভালো হয়। যেমন শিক্ষককৃত অভীক্ষা (Teacher made test) শ্রেণি-শিক্ষক বা বিষয়- শিক্ষক প্রস্তুত করতে পারেন।
৬.• Standardised test প্রস্তুত করতে অনেক শ্রম, অর্থ ও সময়ের প্রয়োজন হয়।
Non-standardised test-এর ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত কম শ্রম, অর্থ ও সময় প্রয়োজন হয়।
৭.• Standardised test তৈরি করার সময় অভীক্ষা পদ রচনার পর তাদের যাচাই করা, পরিবর্তন করা প্রভৃতি কয়েকটি ধাপের প্রয়োজন। অপরপক্ষে Non- standardised test-এর ক্ষেত্রে অভীক্ষাপদ রচনাই প্রধান।
৮.• আদর্শায়িত অভীক্ষার নর্ম থাকে, অ-আদর্শায়িত অভীক্ষার নর্ম থাকে না।
৯.আদর্শায়িত অভীক্ষার ম্যানুয়াল থাকে, অ-আদর্শায়িত অভীক্ষার থাকে না।
মন্তব্য:- Standardised ও Non-standardised উভয় Test-এর দ্বারা অভীক্ষার্থীর বিভিন্ন মানসিক বৈশিষ্ট্য পরিমাপ করা সম্ভব। যদিও Standardised Test অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য—কিন্তু সময়, অর্থ, শ্রম ইত্যাদির কথা বিবেচনা করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে Noo standardised test বেশি পরিমাণে আমরা ব্যবহার করে থাকি।


0 মন্তব্যসমূহ
Thank you