Discuss the philosophy life of Rousseau, aims education according to Rousseau
ভূমিকা:- প্রীতিবাদী দার্শনিক রুশো অষ্টাদশ শতক থেকে শিক্ষা ক্ষেত্রে তার আবির্ভাব বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি প্রকৃতি বাদী ও ভাববাদী ছিলেন। তাকে আধুনিক শিশু কেন্দ্রিক শিক্ষার জনকও বলা হয়। বিভিন্ন দার্শনিক ও শিক্ষাবিদগনের মধ্যে যার নাম আমরা সবার প্রথমে স্মরণ করি তা জ্যা জ্যাকস রুশো। তিনি শিক্ষায় বিশেষভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করেন।
রুশোর জীবনদর্শন :- প্রকৃতিবাদী দার্শনিক রুশো ১৭১২ খ্রিস্টাব্দে জেনেভা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। খুব কম বয়সের তার মা মারা যায়। তারপর সে স্নে ও ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হন। তার পিতা ছিলেন একজন দরিদ্র ঘড়ি প্রস্তুতকারক। এইজন্য তিনি বিদ্যালয় ধারাবাহিকভাবে পড়ার সুযোগ পাননি। মাত্র ১২ বছর বয়সে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন। তার জীবন দর্শন তত্ত্বে ' social contract ' বইয়ের প্রথম কয়েকটি ছাত্র সুন্দর ভাবে প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে তিনি বলেন শিশুরা স্বাভাবিকভাবে সৎ হয়ে জন্মায়, কিন্তু সমাজ এবং পরিবেশের সংস্পর্শে এসে তারা অসৎ হয়। তিনি প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থায় বিরুদ্ধে সারাজীবন ধরে প্রতিবাদ করে গেছেন। তার এই প্রতিবাদের মধ্যেই তার জীবন দর্শন ফুটে উঠেছে।
শিক্ষাদর্শন :- ' এমিল ' গ্রন্থের মধ্য দিয়ে রুশো তার শিক্ষা দর্শনকে গড়ে তুলেছেন। রুশোর শিক্ষা মূলক মতবাদ প্রকৃতিবাদ নামে পরিচিত। তার মতে শিশুর শিক্ষা হবে প্রকৃতি অনুযায়ী। তার কারণ প্রকৃতির হাত থেকে যা কিছু আছে তা সবই ভালো, কিন্তু সবকিছুই মানুষের হাতে এসে নষ্ট হয়ে যায় ( everything is God as it comes from the hands of the author of nature but everything degenerate in the hands of men) রুশো মনে করতেন প্রকৃতি অনুযায়ী শিক্ষা হলো আদর্শ শিক্ষা।
শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:- প্রকৃতিবাদী দার্শনিক যেসব লোক্য ও উদ্দেশ্য গুলির কথা বলেছেন সেগুলিকে নিয়ে আলোচনা করা হলো--
১. স্বাভাবিক বিকাশ:- শিক্ষার প্রধানতম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হল ব্যক্তির পরিপূর্ণ স্বাভাবিক বিকাশ, জেস বিকাশের মাধ্যমে সে সামঞ্জস্যপূর্ণ স্বাভাবিক জীবন যাপনের অধিকারী হবে।
২. সক্রিয়তা বোধ গড়ে তোলা:- প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সক্রিয়ভাবে গড়ে তোলা তার শিক্ষার একটি অন্যতম লক্ষ।
৩. কর্ম ইন্দ্রিয় অর্জনে সাহায্য:- শিশুকে কর্মইন্দ্রিয় গুলির পরিচালক ক্ষমতা অর্জনে বিশেষভাবে সহায়তা করে। শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য। ওরে শিক্ষার্থী নিজের ক্ষমতা অর্জন করতে পারে।
৪. জ্ঞানেন্দ্রিয় গুলিকে কার্যকরী করা:- শিশুর জ্ঞানেন্দ্রিয় কার্যকরী করতে বিশেষভাবে সহায়তা করে এই শিক্ষা।
৫. মানসিক ক্ষমতা গুলিকে যথাযুক্ত ভাবে ব্যবহার :- প্রত্যেক শিশুকে তার মানসিক ক্ষমতা গুলিকে যথাযথ যুক্ত ভাবে ব্যবহার করতে বিশেষভাবে সহায়তা করে রুশোর শিক্ষা। এবং এটি তার একটি শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য।
** শিক্ষার পাঠ্যক্রম** রুশো কোন নির্দিষ্টভাবে শিক্ষার পাঠ্যক্রমের কথা বলেননি। তিনি শুধুমাত্র এমিলের জন্য ' রবিনসন ক্রুশো ' পাঠের ব্যবস্থা করেছিলেন। তবে তিনি শিশুর জীবন বিকাশের বিভিন্ন স্তরে তার প্রকৃতি অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকার পাঠ্যক্রমের কথা বলেছেন ।
১. শৈশবে পাঠক্রম:- জীবন বিকাশের প্রথম স্তর শৈশব। যার স্থিতি কাল এক থেকে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত । এই পর্যায়ে শারীরিক সক্ষমতা বিকাশের ওপর জোর দেওয়া হয়। কারণ গাছপালা ডালের মত শিশু অঙ্গ, প্রতঙ্গ ইন্দ্রিয়গুলি যাতে পুষ্ট ও সবল হয়।
২. বাল্যকাল:- এই কালের সময় 5 থেকে 12 বছর বয়স পর্যন্ত। এই সময় তার ইন্দ্রিয় বিকাশের উপর জোর দিতে হবে। শিশুকে ভাষা, ইতিহাস, ভূগোল, ধর্ম শিক্ষা, দেবার কোন প্রয়োজন নেই। পরিবর্তে সে, পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা দ্বারা প্রকৃতি থেকে যাতে জ্ঞান আহরণ করতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. কৈশোর কাল :- এই স্তর তৃতীয় স্তর হিসেবে চিহ্নিত য়ার সময় ১২ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত। এই ইফতারের উৎস বিশেষ কোনো বই পড়া নির্দেশ দেননি। বইয়ের প্রতি তার তীব্র ঘৃণা প্রকাশ হতে দেখা যায়। " I hate books that curse to children" অর্থাৎ - " আমি বই ঘৃনা করি কারণ, এগুলি শিশুর কাছে অভিশাপ স্বরূপ" আবার তিনিই বলেছেন যে বই যদি পড়তেই হয় তাহলে ' রবিনসন ক্রুসো ' পড়ানো যেতে পারে।
৪. যৌবন কাল:- এই স্তরে সময়কাল ১৫ থেকে ২০ বছর। এই স্তরে থেকে শিশুকে সহযোগিতা, সহানুভূতি, শ্রদ্ধা,ভালোবাসা , সামাজিক মূল্যবোধ ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষা দিতে হবে। এই স্তরের পাঠ্যক্রম সাহিত্য, গুণিত, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান, অঙ্কন, শিল্প সংগীত , ভ্রমণ প্রভূতি বিষয়ে স্থান পাবে।
রুশোর শিক্ষণ পদ্ধতি:- রুশোর শিক্ষানীতির প্রত্যক্ষ পরিণাম হিসেবে তার শিখন পদ্ধতি গড়ে উঠেছে।
১. ইতিবাচক শিক্ষা বা ( Posaotive Education) :- যে শিক্ষায় শিশুর মনকে অপরিপক অবস্থায় জ্ঞানের বোঝায় ভারাক্রান্ত করা হয়, যে শিক্ষায় শিশুকে বয়স্কদের মতো দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে বাধ্য করা হয়, তাকি বলা হয় ইতিবাচক শিক্ষা।
২. নেতিবাচক শিক্ষা:- তার নেতিবাচক শিক্ষার বৈশিষ্ট্য হল ইন্ডিয়ার পরিমার্জন এবং যুক্তি শক্তির স্বাভাবিক বিকাশ করে শিক্ষা দান। যে শিক্ষা সরাসরি জ্ঞানদানের পূর্বে, জ্ঞান আহরণের উপকরণ গুলিকে বা জ্ঞানেন্দ্রিয়গুলিকে পরিমার্জন করে জ্ঞান গ্রহণের উপযোগী করে তুলতে সহায়তা করে তাই হল নেতিবাচক শিক্ষা।
৩. প্রকৃতির ফলাফলের তত্ত্ব:- তিনি বলেছেন " the only habits he should form it to form no habit at all" স্বাভাবিকভাবে প্রাকৃতিক প্রভাবে শিশুর মানসিক, শারীরিক ও নৈতিক শিক্ষা হবে। এই শিখন পদ্ধতিতে মানুষের বদলে প্রকৃতি হবে শিক্ষক। শিশু তার ভালো মন্দ কাজের জন্য পুরস্কার বা শাস্তি প্রকৃতিক কাছ থেকেই পাবে। এইভাবে নিজস্ব অভিজ্ঞতার দ্বারা তার যে শিক্ষা হবে সেটি হবে তার প্রকৃত শিক্ষা। যেমন -- আগুনে হাত দিলে হাত একবার পুড়বে। কিন্তু তারপরে সে আর কোনদিন আগুনে হাত দেবে না। এর জন্য শিশুকে বাধা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। জলে ভিজলে অসুখ করবে, ঘরে বন্দি থাকতে হবে কুখ্যাদ্য খেলে পেটের অসুখ করবে। এই সব অভিজ্ঞতা বই পড়ে জানবে না। নিজের অভিজ্ঞতার দ্বারা অর্জন করবে। ভালোমন্দের বিচার সে নিজেই করবে। একে রুশো বলেছেন প্রকৃতি ফলাফলের তত্ত্ব বা Theory of Nature Consequences ।
রুশোর শিক্ষা নীতি principle of education of Rousseau:- অন্যান্য শিক্ষাবিদ বা প্রকৃতি বাদীর মতো শিক্ষানীতির কথা বলেছেন। সেই সব শিক্ষানীতি গুলি হল--
১. মানসিক প্রকৃতি:- শিশুর প্রক্ষভ, প্রবৃত্তি ইচ্ছা, চাহিদা, ইত্যাদি গুলো তার মানসিক প্রকৃতি।
২. জৈবিক প্রকৃতি :- যেসব প্রকৃতি মানুষের ব্যক্তিগতভাবে সঙ্গে নিয়ে জন্মায় তাদের বলে জৈবিক প্রকৃতি।
৩. জাগতিক প্রাকৃতিক:- পাহাড়, নদী ,গাছপালা, ইত্যাদি হল জাগতিক প্রকৃতি। এই তিন প্রকার প্রকৃতি থেকে শিশু যে জ্ঞান লাভ করে তার ফলের সহজেই সেই প্রকৃতির সঙ্গে অভিযোজন করতে সক্ষম হয়।
নেতিবাচক শিক্ষার বৈশিষ্ট্য:- প্রকৃতিবাদী দার্শনিক রুশো অষ্টাদশ শতাব্দীর আগে প্রচলিত যে যে অমনোবৈজ্ঞানিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল তাকে ইতিবাচক বা পজেটিভ শিক্ষা বলে আখ্যায়িত করেছেন। এবং তৎকালীন সময়ে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার সমালোচনা করে তিনি নেতিবাচক শিক্ষার কথা বলেছেন। নেতিবাচক শিক্ষা বলতে তিনি সেই শিক্ষাকেই বুঝিয়েছেন যে শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের কে সরাসরি ভাবে জ্ঞান প্রদানের পূর্বে শিক্ষার্থীদের ইন্দ্রিয়গুলিকে প্রশিক্ষিত করে জ্ঞান গ্রহণের উপযোগী করে তোলা হয় তাকেই তিনি নেতিবাচক শিক্ষা বলে আখ্যায়িত করেছেন।
নেতিবাচক শিক্ষার বৈশিষ্ট্য: নেতিবাচক শিক্ষার বৈশিষ্ট্য গুলি হল
১. মনোবিজ্ঞান সম্মত: নেতিবাচক শিক্ষা ছিল মনোবিজ্ঞান সম্মত এক শিক্ষা পদ্ধতি যেখানে সেন্স ট্রেনিং এর বিষয়টিকে অত্যাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।।
২.ব্যক্তি পার্থক্যের নীতি: নেতিবাচক শিক্ষায় ব্যক্তি পার্থক্যের নীতির ওপর যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়েছে কেননা প্রত্যেক শিক্ষার্থী একে অপরের থেকে আলাদা।
৩. যুক্তিশক্তির বিকাশ:- নেতিবাচক শিক্ষার বৈশিষ্ট্য শিক্ষার্থীর যুক্তিগত বিকাশ ঘটিয়ে থাকে।
৪. স্বাভাবিক বিকাশ:- নেতিবাচক শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর স্বাভাবিক বিকাশ ঘটে থাকে।
৫.জ্ঞান গ্রহণে উপযোগী করে তোলা:- এই শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে জ্ঞান গ্রহণের উপযোগী করে তুলতে হবে। যাতে করে তারা জ্ঞান গ্রহণের আগ্রহী হয়।
৬. ইন্দ্রিয় প্রশিক্ষণ কে গুরুত্ব প্রদান :- নেতিবাচক শিক্ষার একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো ইন্দ্রিয় প্রশিক্ষণ কে গুরুত্বপূর্ণ প্রদান।
* এছাড়াও আরো কতগুলো বৈশিষ্ট্য রয়েছে সে গুলি হল-৭. ইন্দ্রিয় পরিমার্জন করা, ৮.কর্মের মাধ্যমে শিক্ষা ৯.সক্রিয়তার মাধ্যমে শিক্ষা
১০. চাহিদা ভিত্তিক শিক্ষা
ইতিবাচক শিক্ষার বৈশিষ্ট্য:- ইতিবাচক শিক্ষার বৈশিষ্ট্য গুলী হল --
১.অমনোবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি:- ইতিবাচক শিক্ষা পদ্ধতি হলো একটি অমনোবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি।
২. শিক্ষক কেন্দ্রিক :- ইতিবাচক শিক্ষার একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল শিক্ষক কেন্দ্রীক।
৩.ব্যক্তি পার্থক্যের নীতি কে অবহেলা :- এই শিক্ষার মাধ্যমে ব্যক্তি পার্থক্যের নীতি কে অবহেলা করা হয়।
৪. শিক্ষার্থীর চাহিদাকে গুরুত্ব না দেওয়া :- এই শিক্ষার


0 মন্তব্যসমূহ
Thank you