প্রশ্ন : অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা এবং সমন্বয়সাধন বলতে কী বোঝায় ? অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষায় বিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা লিখুন ।: What is meant by inclusive education and integration? Write the role of school administration in inclusive education.
ভূমিকা:‘সমন্বয়ন’ ও ‘অন্তর্ভুক্তিকরণ’ –এই দুটি শব্দের অর্থ নিয়ে যথেষ্ট মতভেদ রয়েছে। অবশ্য এই দুই শব্দের দ্বারাই প্রতিবন্ধী শিশুদের সাধারণ বিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্তি করার কথা বোঝানো হয়। যদিও মতাদর্শগত এবং দার্শনিক ভিত্তির দিক থেকে এদের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান ।
অর্ন্তভুক্তিমূলক শিক্ষা :- বিনায়ক দামোদর বলেছেন, অর্ন্তভুক্তিমূলক শিক্ষা হল এমন একটি ধারণা যা অবহেলিত এবং শিক্ষার মূলস্রোতের বাইরে অবস্থিত সকল শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সুনিশ্চিত করে।।
Inclusive education is a concept which secures education of all those students who are ignored, out of main stream education.
অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষায় বিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা :অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষায় বিদ্যাল প্রশাসনের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। মূলত এই ধরনের শিক্ষার বাস্তবায়নের উপযুক্ত পেির রচনা করে বিদ্যালয় প্রশাসন। সাধারণ বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতি শিক্ষার্থীদের একত্রে শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে সকল বাধা অতিক্রম দ্বায়িত্ব বিদ্যালয় প্ৰশাস প্রশাসনের উল্লেখযোগ্য ভূমিকাগুলি হল—
১.আর্থিকঅনুদান:-অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাব্যবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক অনুদান সরকার বা স্থানীয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জোগাড় করা।
২. দক্ষশিক্ষকনিয়োগ:- প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ করা ।
৩. শিক্ষকদের প্রশিক্ষণবাব্যস্থা:- বিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকদের স্বল্পকালীন বিশেষ শিক্ষার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
৪. সচেতনতাবৃদ্ধি:- বিদ্যালয়ের শিক্ষক – শিক্ষিকাদের নিয়ে এই শিক্ষা বিষয়ে পর্যালোচনা করা এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করা ও গুরুত্ব তুলে ধরা।
৫. পরিকাঠামো বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব:-বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের ভিতরে ও বাইরে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোগত উন্নতির বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া ৷
৬. শিক্ষা উপকরণের ব্যাবহার:- শিক্ষকদের শিক্ষাদানের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণের জোগান দেওয়া ।
৭. প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রম :-প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনাকরে পাঠ্যক্রমের প্রয়োজনীয় সংযোজন ওবিয়োজন করা ।
৮. প্রতিবন্ধিশিক্ষার্থীদের মাত্রানির্ধারণ:-বিদ্যালয়ের সমস্ত প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের প্রতিবন্ধিতার ধরন ও মাত্রা নির্ধারণের জন্য উপযুক্ত চেক্ – আপ ক্যাম্পের আয়োজন করা।
৯.সবারআয়োজন:-শিক্ষক – শিক্ষিকা, অভিভাবক ও অভিভাবিকাদের নিয়ে মাঝে মাঝে সাধারণ সভার অয়োজন করা ।
১০.আর্থিক সহায়তা:- প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ও তাদের অভিভাবকদের শিক্ষা বিষয়ে আগ্রহ সৃষ্টির জন্য বিশেষ আর্থিক সাহায্য প্রদানের ব্যবস্থা করা।
2.অন্তভুক্তমূলক শিক্ষায় পিতা মাতার ভূমিকা আলোচনা কর?
অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষায় পিতা – মাতার ভূমিকা :অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার সঠিক রূপায়ণে প্ৰতিবন্ধী শিশুদের অভিভাবকদের একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা থাকে। এগুলি হল
১. সঠিকতথ্যেরউল্লেখ:- শিশুকে বিদ্যালয়ে ভরতির সময় প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কে সঠিক তথ্যের উল্লেখ করা।
২. শিক্ষার্থীরচাহিদা:- সন্তানের বিশেষ চাহিদা সম্পর্কে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অবহিত করা।
৩. চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগঠন:-সন্তানের প্রতিবন্ধিতার ধরন ও মাত্রা এবং তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে শিক্ষকদের অবহিত করা।
৪. নিয়মিতযোগাযোগ:-নিয়মিতভাবে শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা।
৫. কাজকর্ম:-বিদ্যালয় ছুটির পর অথবা বিদ্যালয় আরম্ভ হওয়ার আগে বাড়িতে সন্তানের কাজকর্ম সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেওয়া ।
৬.তথ্যসরবরাহ:- সন্তানের অগ্রগতি বা দুর্বলতার দিকগুলি সম্পর্কে শিক্ষকদের সঠিক তথ্য সরবরাহ করা।
৭.শিক্ষারপরিবেশ তৈরি:- শুধুমাত্র বিদ্যালয় বা শিক্ষকের উপর নির্ভরশীল না থেকে বাড়িতেও শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করা।
৮.সহানুভূতি জাগরণ:-নিজের সন্তানের পাশাপাশি অন্যান্য প্রতিবন্ধী ও স্বাভাবিক সহপাঠীদের প্রতিও সহানুভূতির মনোভাব পোষণ করা।
৯. শিক্ষকের সাথে সহায়তা করা:- বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সর্বতোভাবে সহায়তা করা।
১০. অংশগ্রহণ:- বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করা।
১১.উৎসাহিত করা:-পড়াশোনার পাশাপাশি সন্তানকে সহপাঠ্যক্রমিক কার্যাবলিতে উৎসাহিত করা।
১২.চিকিৎসকের কাছেপরামর্শনেওয়া:- প্রয়োজনের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি চিকিৎসকের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করা এবং চিকিৎসকের বিশেষ পরামর্শ সম্পর্কে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা ।
উপসংহার:-অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষায় অভিভাবকের অংশগ্রহণ একটি অমূল্য বিষয় । অভিভাবক ও শিক্ষকের জ্ঞান , অভিজ্ঞতা, সময়, শ্রম প্রভৃতি বিনিময়ের মাধ্যমে একটি প্রতিবন্ধী শিশু সঠিক দিক নির্দেশ পেতে পারে।
3. অন্তভক্তিমূলক শিক্ষায় সমাজের ভূমিকা আলোচনা কর?
ভূমিকা:- প্রতিবন্ধীদের প্রতি সমাজের দায়বদ্ধতা অনেক বেশি । পরিবার তথা সমাজই পারে একজন প্রতিবন্ধীকে আত্মপ্রত্যয়ী ও আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলতে । সমাজের কয়েকটি ভূমিকা হল
অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষায় সমাজের ভূমিকা :
1.প্রত্যক্ষ ভাবে সহযোগিতা:- সমাজেরপ্রতিটিসুনাগরিককেপ্রতিবন্ধীদেরপাশেদাঁড়াতেহবে।অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষায় এদেরকে অন্তর্ভুক্তকরণে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করতে হবে।
2.বিদ্যালয় কর্তপক্ষএর পরামর্শ:- বিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে এবং বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে মত বিনিময় করতে হবে। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় সুপরামর্শ দিতে হবে।
3.আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলা:-বিভিন্ন সামাজিক ক্রিয়াকর্মে প্রতিবন্ধীদের নিয়োজিত করে তাদের আত্মবিশ্বাস বারাতে হবে।
4.বন্ধুদের সহযোগিতা করা:-বিদ্যালয়ে সহপাঠী প্রতিবন্ধী বন্ধুদের প্রতি যাতে সহযোগিতা ও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় এবিষয়ে নিজেদের স্বাভাবিক সন্তানদের সুপরামর্শ দেবেন ।
5.পিতা মাতাকে সহযোগিতা করা:-বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর পিতা – মাতার পাশে দাঁড়াতে হবে. 6.সবার জন্য শিক্ষা:- সমাজের যে সমস্ত প্রতিবন্ধী শিশু এখনও বিদ্যালয়ে যায়নি অথবা পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছে, তাদেরকে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষায় ভরতি করতে হবে।
7. শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও উৎসাহিত করা:-সমাজেধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়াবিভিন্নপ্রতিযোগিতামূলকঅনুষ্ঠানেরআয়োজনকরেপ্রতিবন্ধীশিক্ষার্থীদেরপুরস্কৃতকরেতাদেরকে উৎসাহিত ও আগ্রহী করে গড়ে তুলতে হবে।
4.অন্তর্ভুক্তমূলক শিক্ষা কাকে বলে? অন্তর্ভুক্তমূলক শিক্ষার উদ্দেশ্য গুলি লেখ? অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষায় শিক্ষকের ভূমিকা আলোচনা করো?What is inclusive education? Write the objectives of inclusive education? Discuss the role of teacher in inclusive education?
ভূমিকা:-'অন্তর্ভূক্তি' কথাটি শিক্ষার ক্ষেত্রে যে ধারণা দেয় তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা দেওয়া কঠিন । Norwich (1999) অন্তভুক্তি (Inclusive) কথাটির ব্যাখ্যা করেছেন—যদি কোনোভাবে শিশুদের মধ্যে কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকে, অথচ অন্যান্য দিক থেকে তারা সব স্বাভাবিক শিক্ষার্থীদের মতোই, তাদের সামাজিক স্বীকৃতি দেওয়া ও তাদের ব্যক্তিগত চাহিদা অনুসারে শিখনের সুযোগ দেওয়াই হল 'অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা' ।
উদ্দেশ্য : শিক্ষাক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী শিশুদের অন্তর্ভুক্তিকরণের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। প্রতিবন্ধী শিশুদের বিশেষ কতকগুলি চাহিদা অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার মাধ্যমে পূরণ হয়ে থাকে। তাই শিক্ষাক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্তিকরণে অবশ্যই কিছু উদ্দেশ্য রয়েছে। এই উদ্দেশ্যগুলি হল—
১. নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে শিক্ষা:- - ন্যূনতমনিয়ন্ত্রিতপরিবেশেরমধ্যেরেখেমৃদুমাত্রার প্রতিবন্ধী শিশুদের অধিক যত্নযুক্ত শিক্ষার ব্যবস্থা করা।
২. শিক্ষার্থীর চাহিদার উপর গুরুত্ব:-শ্রেণিমান অপেক্ষা শিশুর সুনির্দিষ্ট শিক্ষাগতচাহিদা পুরণের উপর গুরুত্ব দেওয়া ।
৩.সহযোগী মনোভাব গঠন:-সহপাঠীপ্রতিবন্ধীশিশুরপ্রতিসাধারণক্লাসেরস্বাভাবিকশিক্ষার্থীদেরমানসিকতাউন্নতকরারএবংসহযোগীমনোভাবগঠনেরউপায়নির্ধারণকরা।
৪.শিক্ষাদান পদ্ধতি কে উন্নতি করা:-এইশিশুদেরশিক্ষাদানেরপদ্ধতি, শিখনপ্রক্রিয়াপ্রভৃতিউন্নতকরতেবিভিন্নশিক্ষাবিদ, বিশেষজ্ঞদেরনিয়োজিতকরা।
৫.সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি:-বিভিন্নসুযোগসুবিধাসমবণ্টনেরমাধ্যমেওপারস্পরিকবোঝাপড়ারভিত্তিতেক্রমেসামাজিকদূরত্বকমিয়েআনা।
৬.হীনম্মন্যতাবোধ:- প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের হতাশা, দূর করা ।
৭সামাজিক গুণাবলী:- .এই শিশুদের মধ্যে বিভিন্ন সামাজিক গুণাবলির বিকাশ ঘটানো।
৮.বৃত্তিগত শিক্ষা:-প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি হাতের কাজেপ্রশিক্ষণ দেওয়া ও স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা ।
শিক্ষকের ভূমিকা : অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা হল এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা যেখানে প্রতিবন্ধী শিশুদের সাধারণ বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক শিশুদের পাশাপাশি শিক্ষাদানের সুযোগ সৃষ্টির কথা বলা হয় । বলা বাহুল্য, এই ব্যবস্থার কার্যকারিতা ও সাফল্য বহুলাংশে নির্ভর করে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর । এক্ষেত্রে শিক্ষকদের যে বিশেষ দায়িত্বগুলি পালন করতে হয়, . সেগুলি হল
পাঠ্যক্রমপরিমার্জন: বাস্তবপ্রয়োজনেরদিকেলক্ষরেখেকখনোকখনোশিক্ষককেতারনির্দিষ্ট–পাঠ্যক্রমেরমধ্যেকিছুকিছুসংযোজন–বিয়োজনকরতেহয়।এক্ষত্রেশিক্ষকেরনমনীয়তা, বিচার – বিবেচনাবোধ, বাস্তববোধপ্রভৃতিবিশেষপ্রয়োজন ।
অভিভাবকদেরসঙ্গেসংযোগ: একথাসত্যিযে, শুধুমাত্রবিদ্যালয়েরশিক্ষকশিক্ষিকাদেরপ্রচেষ্টারদ্বারাইপ্রতিবন্ধীশিশুদেরশিক্ষাদানেরপ্রক্রিয়াসম্পূর্ণতালাভকরতেপারেনা।তাইঅভিভাবকদেরসচেতনতাওপ্রচেষ্টাএক্ষেত্রেবিশেষভাবেকাম্য।বিদ্যালয়েশিক্ষার্থীদের শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রবর্তিতা বা পশ্চাদপদতা অথবা শিক্ষাক্ষেত্রে অনুসৃত বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে অভিভাবকদের ধারণা দেওয়া শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ।
বিদ্যালয়প্রশাসনেরসঙ্গেসংযোগ :বিদ্যালয়েশিক্ষার্থীদেরঅগ্রগতিঅথবাবিশেষকোনোসমস্যা এবং প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষাদানের জন্য প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত কোনো উপাদান বা ব্যবস্থাদির প্রয়োজন হলে শিক্ষকের দায়িত্ব হল বিদ্যালয়ের প্রশাসনের দৃষ্টিগোচরে নিয়ে আসা ।
উপযুক্তপরিবেশসৃষ্টি :প্রতিবন্ধীশিক্ষার্থীরাযাতেশ্রেণিকক্ষেপ্রয়োজনীয়বিশেষ সুযোগসুবিধা পায়, স্বাভাবিক শিশুরা যাতে তাদের প্রতি ব্যঙ্গবিদ্রুপ না করে এবং সর্বোপরি শ্রেণিকক্ষে যাতে শিখন সহায়ক পরিবেশ বজায় থাকে সেদিকেও শিক্ষকের নজর রাখা উচিত।
পেশাগতদক্ষতাবৃদ্ধি :সদর্থকমনোভাবনিয়েশিক্ষককেঅন্তর্ভুক্তিমূলকশিক্ষারবাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকতে হয় । এ ছাড়া কর্মরত অবস্থায় তাঁকে মাঝে মাঝে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য স্বল্পকালীন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে।
5.: অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার ধারণা দিন। ভারতবর্ষে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার ঐতিহাসিক পটভূমি লিখুন ।
উত্তর : অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার ধারণা : ‘অন্তর্ভূক্তি’ কথাটি শিক্ষার ক্ষেত্রে যে ধারণা দেয় তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা দেওয়া কঠিন। Norwich (1999) অন্তর্ভুক্তি (Inclusive) কথাটির ব্যাখ্যা করেছেন—যদি কোনোভাবে শিশুদের মধ্যে কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকে, অথচ অন্যান্য দিক থেকে তারা সব স্বাভাবিক মতোই, তাদের সামাজিক স্বীকৃতি দেওয়া ও তাদের ব্যক্তিগত চাহিদা অনুসারে শিখনের সুযোগ দেওয়াই হল — অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ‘। খুব সহজ ভাষায় বলা যায় — অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা — হল এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে একটি গোষ্ঠীর (Community) সব শিশু একত্রে স্থানীয় স্কুলে পড়ার সুযোগ পায়, এমনকী সেই শিশুদের কেউ কেউ যদি মানসিক বা শারীরিক বা অন্য কারণে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন হয় ৷
ঐতিহাসিক পটভূমি : অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা একটি আধুনিক ধারণা। তবে যে দৃষ্টিভঙ্গি থেকে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার সূচনা হয়েছে অর্থাৎ প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা তা ভারতবর্ষে নতুন নয়। ভারতীয় সংবিধানের 845 নং ধারায় 6-14 বছরের সমস্ত শিশুর জন্য অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে সমন্বিত শিক্ষার ধারণাটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। 1960 খ্রিস্টাব্দে কেন্দ্রীয় সরকারের সমাজসেবা মন্ত্রক (Ministry of Social Welfare) সমাজের দুর্বল অংশের উন্নয়নের দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং যেসব স্বেচ্ছাসেবক এবং বেসরকারি সংস্থা সমাজের এই দুর্বল অংশের উন্নয়নে আগ্রহী তাদের সাহায্য এবং অনুপ্রাণিত করেছিল। 1971 খ্রিস্টাব্দে পরিকল্পনা কমিশন সমন্বিত শিক্ষা কর্মসূচিকে প্রোজেক্ট হিসেবে গ্রহণ করে। এরপর 1974 খ্রিস্টাব্দে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য Integrated Child Development Scheme (ICDS) নামে সমন্বিত শিক্ষার যে কর্মসূচি গৃহীত হয় তা বর্তমানেও চালু আছে ।
ভারতে প্রতিবন্ধী শিশুদের মূল স্রোতের শিক্ষার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি বিশেষ । প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য বিশেষ বিদ্যালয় স্থাপন করে। 1983 খ্রিস্টাব্দে Bombay-তে প্রথম বধিরদের জন্য বিদ্যালয় স্থাপিত হয় ।
1986 খ্রিস্টাব্দের জাতীয় শিক্ষানীতিতে সুপারিশ করা হয় যে, শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধীদের সাধারণ জনসাধারণের সঙ্গে সমানভাবে সমন্বয়িতকরণ, তাদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশে সাহায্য করা, সাহস ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নিজেদের জীবন উপভোগ করার সুযোগ করে দিতে হবে। এই সুপারিশটি অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার ইঙ্গিত বহন করে।
1992 খ্রিস্টাব্দের POA-তে বলা হয়েছে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের মূল স্রোতে নিয়ে আসার জন্য বিশেষ সুযোগসুবিধা, অধিকার দান এবং প্রয়োজনীয় শিক্ষক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করতে হবে। 1992 খ্রিস্টাব্দেই RCI আইন (Rehabilitation Council of India Act) সংসদে গৃহীত হয়।
2005 খ্রিস্টাব্দে প্রতিবন্ধী শিশু ও যুবকদের অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার জন্য IECXD (Inclusion of children and youth with disability) প্রকল্প গ্রহণ করা হয় । 2006 খ্রিস্টাব্দে সর্বশিক্ষা অভিযানে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাকে যুক্ত করা হয় ।
সবশেষ 2009 খ্রিস্টাব্দের RTE (Right to Education) Act এ অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার কথা উল্লেখ করা হয় ।
6.অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা কাকে বলে ? অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার বৈশিষ্ট্য লিখুন ।
ভুমিকা:- ‘ অন্তর্ভূক্তি ‘ কথাটি শিক্ষার ক্ষেত্রে যে ধারণা দেয় তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা দেওয় কঠিন। Norwich ( 1999 ) অন্তর্ভুক্তি (Inclusive) কথাটির ব্যাখ্যা করেছেন কোনোভাবে শিশুদের মধ্যে কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকে, অথচ অন্যান্য দিক থেকে তারা সং স্বাভাবিক শিক্ষার্থীদের মতোই, তাদের সামাজিক স্বীকৃতি দেওয়া ও তাদের ব্যক্তিগত চাহিল অনুসারে শিখনের সুযোগ দেওয়াই হল — অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ‘। ‘
অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা’:- এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে একটি গোষ্ঠীর (Community) সব শিশু একত্রে স্থানীয় স্কুলে পড়ার সুযোগ পায়, এমনকি সেই শিশুদের কেউ কেউ যদি মানসিক বা শারীরিক বা অন্য কারণে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন হয় ।
অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার বৈশিষ্ট্য :
কার্যকরী শিক্ষালাভ :- শিক্ষাবিদ্যালয়গুলিরউন্নয়নেরকথাবলেযাতেশিশুরাকার্যকরীভাবেশিক্ষালাভকরেওঅকৃতকার্যশিশুরসংখ্যাকমেযায়।
নমনীয়তা:-এখানেবিদ্যালয়ওশিক্ষকগণমেনেনেনযে, প্রতিটিশিশুরব্যক্তিসত্তাপৃথককাজেইস্কুলকেসবারচাহিদাপূরণেরজন্যনমনীয়হতেহবে।
সমস্যা সমাধান:-শিক্ষকদেরশিখতেহয়প্রতিটিশিশুরসমস্যারকীভাবেসমাধানকরতেএগিয়েআসতেহবে।
সুযোগ বৃদ্ধি:-প্রতিবন্ধীশিশুরাবিদ্যালয়েতাদেরপ্রতিবেশীবন্ধুদের সঙ্গে পড়ার সুযোগ পায়
( 5 )বিদ্যালয়েসুযোগ সুবিধা:- অভিভাবকগণ তাদের প্রতিবন্ধী শিশুদের পঠন – পাঠনের জন্য বিদ্যালয়ের সহযোগিতা লাভ করেন I
( 6 ) প্রথাগত শিক্ষার ব্যাবস্থা:-দেরক্ষাব্যবস্থা প্রতিটি শিশুর শিক্ষার অধিকারকে নিশ্চিত করেছে। প্রথাগত বিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাব্যবস্থার সাফল্যলাভের জন্য প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাগুলি হল
সাধারণশিক্ষাব্যবস্থায়শিক্ষণদক্ষতাবৃদ্ধি :
অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার সার্থক রূপায়ণের জন্য সাধারণ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজন হয় বিশেষ অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাসম্পন্ন শিক্ষকগণ একাজে সাধারণ শিক্ষকদের সাহায্য করবেন। যেসব শিক্ষক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নয় তাদের জন্য বছরে 5-10 দিনের শিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
চাহিদাভিত্তিকনির্দেশনামূলককৌশলঅবলম্বন :
সব শিশুর চাহিদা এক রকম তাদের প্রতিবন্ধকতাও এক ধরনের নয়। এদের অনেকে সর্বদা সাহায্য প্রত্যাশী আবার অনেকে সামান্য সাহায্য পেলেই এগিয়ে যেতে পারে। এইজন্য প্রয়োজনভিত্তিক সাহায্য ও শিক্ষাদান কৌশল অবলম্বন করতে হয়। প্রকৃত প্রয়োজন বুঝে শিক্ষাদান ও সাহায্য করা এই শিক্ষাব্যবস্থার সাফল্যের উপায় ।
বিভিন্নসংস্থারমধ্যে সমন্বয়ের আদানপ্রদানঃ
জেলা পুনর্বাসন কেন্দ্র, সমন্বিত শিশুবিকাশ প্রকল্পের কর্মী, স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র, বিশেষ স্কুল, ব্রেইল সংক্রান্ত সংস্থাগুলি প্রত্যেককে এই শিক্ষাব্যবস্থার সাফল্যের জন্য পারস্পরিক সহযোগিতা ও যোগাযোগের মাধ্যমে অগ্রসর হতে হবে।
( 4 ) অভিভাবক ও সমাজের অন্যান্যদেরঅংশগ্রহণ:
এই শিক্ষা কার্যক্রমে অভিভাবকদের অংশগ্রহণ একান্ত প্রয়োজন । এর ফলে অন্তর্ভুক্তির সংখ্যাও বৃদ্ধি পায় ও প্রতিবন্ধীদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিরও পরিবর্তন ঘটে।
5.বিশেষচাহিদাসম্পন্নওসাধারণশিশুরমধ্যেসুসম্পর্কস্থাপনওসহযোগিতামূলকশিখন : -
সাধারণ শিশুরাও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের শিক্ষালাভের ব্যাপারে পরস্পরকে সাহায্য করতে পারে।
6.নমনীয়পাঠক্রমএবংসহপাঠক্রমেরব্যবস্থা :
যদিও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হল সকলের জন্য যতদূর সম্ভব একই ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা করা। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিশেষ পাঠক্রম ও সহপাঠক্রমের প্রয়োজন হয়। যেমন – ভাষা শিক্ষার জন্য শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের বিশেষ পাঠক্রম প্রয়োজন হতে পারে। আবার ভূগোলে মানচিত্র অঙ্কন বা রেখাচিত্র অঙ্কনের জন্য দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা রাখতে হবে।
7.Peer Tutoring- এর ব্যবস্থা করা : -
এক্ষেত্রে দুজন, তিনজন বা চারজন শিক্ষার্থী এক সঙ্গে কাজ করে। Peer Tutoring- এর ভিত্তি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক সাহায্য ও মত আদানপ্রদানের মাধ্যমে শিক্ষা।
7.অর্ন্তভুক্তিমূলক শিক্ষার বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Inclusive Education):অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার গুৰুত্ব (Importance of Inclusive Education):
ভূমিকা:-অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ব্যতীত জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গা, সামর্থ্য, অসামর্থ্য নির্বিশেষে সমস্ত শিশুর শিক্ষার মৌলিক চাহিদা এবং অধিকারকে বাস্তবায়িত করা সম্ভব নয় ফলে প্রতিটি শিশু তার জনগোষ্ঠীর মধ্যে অবস্থিত সাধারণ বিদ্যালয়ে সাধারণ শ্রেণিকক্ষে তার সমব্যাসী সমস্ত শিশুদের সঙ্গে একই গুণগতমানের বয়সোপযোগী পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে, কোনো কারণেই কোনো শিশুই সমবয়সিদের সঙ্গে বয়সোপযোগী পাঠ্যক্রম অনুসরণ করার সুযোগ থেকে বঞ্ছিত হবে না।
অর্ন্তভুক্তিমূলক শিক্ষা :- বিনায়ক দামোদর বলেছেন, অর্ন্তভুক্তিমূলক শিক্ষা হল এমন একটি ধারণা যা অবহেলিত এবং শিক্ষার মূলস্রোতের বাইরে অবস্থিত সকল শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সুনিশ্চিত করে।।
Inclusive education is a concept which secures education of all those students who are ignored, out of main stream education.
১. কার্যকরী শিক্ষালাভ:-এই শিক্ষা বিদ্যালয়ের উন্নয়নের কথা বলে যাতে শিশুরা কার্যকরীভাবে শিক্ষালাভ করতে পারে।
২. শিক্ষার্থীর চাহিদারপূরণ:-বিদ্যালয় ও শিক্ষকগণ মেনে নেন যে যেহেতু প্রতিটি শিক্ষার্থী অন্য শিক্ষার্থী থেকে পৃথক তাই বিদ্যালয়কে নমনীয় হতে হবে প্রতিটি শিক্ষার্থীর শিক্ষামূলক চাহিদা পুরণের জন্য।
৩. অধিকার সুনিশ্চত করা:- এই শিক্ষা প্রতিটি শিশুর শিক্ষার অধিকারকে সুনিশ্চিত করেছে।
৪. একত্রে শিক্ষার সুযোগ:- অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষায় প্রতিটি শিশু একইসঙ্গে বিনা বাধায় শিক্ষালাভের সুযোগ পায়।
৫. নমনীয়তা:- এই শিক্ষা শিক্ষার্থীর প্রয়োজন, চাহিদা, পরিস্থিতি অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়, ফলে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা নমনীয় হয়ে থাকে।
৬. আর্থিক সহায়তা:- এই শিক্ষা সমস্ত রকম মানসিক, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক বাধার অপসারণে সহায়তা করে থাকে।
৭:- আত্মনির্ভশীলতা:-এই শিক্ষা সামাজিক বৈষম্যের বিলোপসাধনে সহায়তা করে। অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা অনুকম্পা, সহায়তা, বিশেষ সুবিধা ইত্যাদির পরিবর্তে শিক্ষার্থীর নিজস্বসামর্থ্য ও আত্মনির্ভরতার উপর নির্ভাশীল।
অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার গুৰুত্ব (Importance of Inclusive Education):
একজন অক্ষমতাযুক্ত শিশু, আর্থ-সামাজিকভাবে বঞ্চিত পরিবারের শিশু, শারীরিক অথবা মানসিকভাবে ব্যাহত ক্ষমতা সম্পন্ন শিশু বিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পরেও নানারকম সংকোচ, বাধা, মানসিক ও সামাজিক অন্তরায় তাকে বিদ্যালয়ের সক্রিয় শিক্ষার্থী হয়ে ওঠতে বাধা দেয় কিন্তু অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা সেই সমস্ত বাঁধা দূর করে শিক্ষার্থীকে সহায়তা করে শিক্ষাকে মূলত গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গীতে প্রস্তুত করার তৈরি করে। অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ইহা হল এমন শিক্ষা যার দ্বারা একই শ্রেণিকক্ষে সকল শিশুর শিক্ষা সুনিশ্চিত করাযায়।
অন্তর্ভূক্তিমূলক শিক্ষার গুরুত্ব নিম্নে আলোচনা করা হল :
১. সবার জন্য শিক্ষা:- সকল শিক্ষার্থীদের একসাথে শিক্ষা গ্রহণের অধিকার আছে এই বোধকে বিকশিত করে।
২. বইসম্ম্যতাদূরীকরণ:-বৈষম্যের মাঝে ও প্রতিটি শিক্ষার্থীর মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তুলতে সহায়তা করে।
৩. সম্পদের সহায়তা:- শিক্ষা সম্পদের ব্যবহার অধিক কার্যকর করতে সহায়তা করে।
৪. বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি করা:- প্রতিটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয় কমিয়ে বন্ধুত্ব তৈরিতে সহায়তা করে।
৫.পারস্পরিক সম্পর্ক:- প্রতিটি শিক্ষার্থীর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা বোঝাপড়া ও ভালোবাসা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে যা সমাজের মূলস্রোতে যাওয়ার জন্য উপযোগী।
৬. আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলা:-প্রতিটি শিক্ষার্থীদের মাঝে বৈষম্যের মধ্যেও আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তুলতে সহায়তা করে।
উপসংহার:-Education For All বা সবার জন্য শিক্ষা— এই ধারণাকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা একটি জরুরি পদক্ষেপ এবং শিক্ষার মৌলিক অধিকারকে পূর্ণ মর্যাদা প্রদান করে। তবে একথা অনস্বীকার্য যে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা-এর সাফল্য কোনটাই শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণের উপর নির্ভর করবে না বরং রাষ্ট্র, প্রশাসন, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষার্থীর পরিবার, সমাজ ইত্যাদি সবার সমান দায়িত্ব বর্তায় অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাকে কার্যকরী করে তোলার ক্ষেত্রে।
8. Difference between a special education integrated education and inclusive education.
ভূমিকা:-অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা সকলের জন্য কার্যকরী। আমাদের সমাজে স্বাভাবিক এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের আলাদা দৃষ্টিভঙ্গিতে বিচার করে। অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ব্যবস্থা এই ব্যবধান কমাতে সক্ষম। অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা প্রতিটি শিশুকেই সমাজে সমাধিকার দিতে এবং নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী বাঁচার পথ দেখাতে অঙ্গীকারবদ্ধ। বিশেষ শিক্ষা, সংগতি মূলক শিক্ষা, এবং সর্বসম্মাবিষ্ট শিক্ষার যেসব পার্থক্যগুলি রয়েছে তা নিম্নে আলোচনা করা হলো।–
বিশেষ শিক্ষা ও সংহতি মূলক শিক্ষার পার্থক্য:-
১. বিদ্যালয় :- বিশেষ শিক্ষা বিশেষ বিদ্যালয়। প্রত্যেক প্রকার প্রতিবন্ধকতার জন্য আলাদা। কিন্তু সংহতি মূলক শিক্ষা মূল স্রোতের বিদ্যালয়।
২. শিক্ষার্থী:- বিশেষ শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট ধরনের প্রতিবন্ধীরা আলাদা বিদ্যালয়। কিন্তুসংহতিমূলকশিক্ষা সমস্ত ধরনের শিক্ষার্থীরা যারা বিশেষ বিদ্যালয়ে পড়ে ও সাধন শিক্ষার্থী।
৩. শিক্ষক:- বিশেষ শিক্ষার বিশেষজ্ঞ শিক্ষক।
কিন্তু সংহতিশিক্ষা সাধারণ শিক্ষক এবং প্রয়োজন মত পরামর্শ দাতা বিশেষজ্ঞ।
৪. উদ্দেশ্য:-বিশেষ শিক্ষা সামর্থ্যনুগ বিকাশ , কার্যকরী দক্ষতার শিক্ষা,একটি মূলক শিক্ষা পুনর্বাসন ঘটে।
কিন্তু সংহতি শিক্ষা সামর্থ্য নুগ বিকাশ সামাজিক সংহতি। আমার তো নগ বিদ্যালয় শিক্ষা স্বনির্ভরতা।
৫. উপকৃত গোষ্ঠী:-মানসিক প্রতিবন্ধী, সংবেদন প্রতিবন্ধী দৃষ্টি অক্ষমতা বধীরতা। টম এবং মস্তিষ্কের পক্ষাঘাত। এদের পরিবার ও পিতা মাতা মাতা।
কিন্তু সাংহতি বিশেষ শিক্ষার মতোই একই গোষ্ঠী। তাছাড়া, শিখন অক্ষমতা মূলক যুক্ত শিশু। পরোক্ষভাবে সমাজ। অস্থি বিকল্প তা যুক্তদের জন্য কোন স্বতন্ত্র বিদ্যালয়ে নেই। তারা প্রথম থেকে সাধারণ বিদ্যালয় পড়ে না।
৬. দৃষ্টিভঙ্গি:- দৃষ্টিভঙ্গি দিক থেকে বিশেষ শিক্ষা পরখকার সাদা সহায়তা এবং দাক্ষিণ্য।
সংহতি সামাজিক বিভাজনের পরিবর্তে একত্রিত করন এবং সামাজিক সংহতি।
৭. শিখন পদ্ধতি:-বিশেষ শিক্ষা প্রত্যক্ষ বা প্রত্যেক প্রকার সমস্যার জন্য নির্দিষ্ট শিখন পদ্ধতি।ব্যক্তি মুখে শিখন, আচরণ পরিবর্তন, ও ক্রীড়া ও সংস্কৃতিক প্রশিক্ষণ।
সংহতি সর্বজনীন সাধারণ শিক্ষা,আংশিক ব্যাক্তি মুখ্য শিক্ষণ এবং প্রয়োজনমতো বিশেষজ্ঞ ও সম্পাদক কক্ষের শিখন। পার্টিদের সহায়তা দানের উৎসাহিত করা হয়।
৮. পাঠ্যক্রম:-বিশেষ শিক্ষা পরিবর্তিত কিংবা অপরিবর্তিত দুই হতে পারে। তরলীকিত বিশেষ পাঠ্যক্রম ব্যাক্তি মুখে এরকম নানা ধরনের হতে পারে। কিন্তু সাধারণ পাঠ্যক্রম যতদূর সম্ভব অনুসরণ করার পর ব্যক্তিমুখী সিদ্ধান্ত হতে পারে।
৯. উপকরণ:- বিশেষ শিক্ষার ব্যবহৃত উপকরণ যথা দৃষ্টিহীন শিশুদের ব্রেইল পুস্তক ইত্যাদি।
কিন্তু সংহতি শিক্ষা একই ধরনের উপকরণ বিশেষ।
**সংহতি মূলক শিক্ষা বা সর্বসমশিষ্ট শিক্ষার পার্থক্য:-
১. বিদ্যালয়:- সংহতিমূলকশিক্ষা ও সর্বসমাবিষ্ট শিক্ষার উভয় মূলস্রোতের বিদ্যালয়।
২. শিক্ষার্থী:-সংহতিমূলক শিক্ষা সমস্ত ধরনের শিক্ষার্থী যারা বিশেষ বিদ্যালয়ে পড়ে ও সাধারণ শিক্ষার্থী। সর্বসমাবষ্ট শিক্ষাই সমস্ত ধরনের শিক্ষার্থী এবং প্রতিবন্ধী।
৩. শিক্ষক:- সংহতি মূলক শিক্ষায় শিক্ষক সাধারণ এবং প্রয়োজনমতো পরামর্শদাতা বিশেষজ্ঞ। কিন্তু সর্বসময়িষ্ঠ শিক্ষা সাধারণ শিক্ষক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হলে ভালো হয়, প্রয়োজন মত শিক্ষক পরামর্শদাতা।
৪. উদ্দেশ্য:- সামর্থ্যনুগ বিকাশ সামাজিক সংহতি সামর্থ্যনুগ বিদ্যালয় শিক্ষা স্বনির্ভরতা।
কিন্তু সর্ব সময় বিশিষ্টশিক্ষা সার্বিক বিকাশ। বৈষম্য ও বাধাহীন সামাজিক জীবন যাপনের শিক্ষা। স্বনির্ভরতা।
৫. উপকৃত গোষ্ঠী:-সংগতিমূলক শিক্ষাবিশেষ শিক্ষার মতো একই গোষ্ঠী। তাছাড়াও শিখন অন্তর ভক্ষণ ক্ষমতা শিশু।পরোক্ষভাবে সমাজ।অস্থি বিশলঙ্গতা যুক্তদের জন্য কোন স্বতন্ত্র বিদ্যালয়ে নেই। তারা প্রথম থেকে সাধারণ বিদ্যালয় পড়ে, না হলে পড়ে না।
কিন্তূ অসামা বিশিষ্ট বিশেষ শিক্ষার মতো একই । তাছাড়া শিখন অক্ষমতা যুক্ত, অস্থি বিকলাঙ্গ তা বিশিষ্ট, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পাশ্চাত্য পরিবারের শিশুরা, দুর্বল সমাজের মেয়েরা অথবা অন্য যেকোনো বিদ্যালয়ের শিশু ও তাদের পরিবার।
৬. দৃষ্টিভঙ্গি:-সংহতি মূলক শিক্ষা সামাজিক বিভাজনের পরিবর্তে একত্রিকরণ এবং সামাজিক সংহতি হয়। কিন্তু সর্বসময় বিশিষ্ট শিক্ষা শিক্ষার অধিকার, মানবাধিকার, ক্ষমতায়ন এবং গণতন্ত্র।
৭. শিখন পদ্ধতি:-সংহতি মূলক শিক্ষার শিখন পদ্ধতি হল সর্বজনীন সাধারণ শিক্ষণ, আংশিক ব্যাক্তি মুখে শিক্ষণ এবং প্রয়োজনমতো বিশেষজ্ঞ ও সম্পাদকের সম্পাদক কক্ষের শিখন। সায়াতা দানের উৎসাহিত করা।কিন্তু সর্বসম্মাবিষ্ট শিক্ষার শিখন পদ্ধতি সর্বজনীন সাধারণ শিখন, প্রয়োজনমতো ব্যাক্তিমুখী ও প্রতিকার মূলক শিখন।সহপাঠীরা বন্ধু হিসেবে শত উসপুতভাবে সহায়তা দিতে এগিয়ে আসে।
৮. পাঠ্যক্রম:- সাংহতি মূলক শিক্ষার পাঠ্যক্রম সাধারণ পাঠ্যক্রম যতদূর সম্ভব অনুসরণ করার পর ব্যক্তিমুখী সিদ্ধান্ত হয়।কিন্তূ সর্ব সমবিশিষ্ট শিক্ষা সাধারণ পাঠ্যক্রম যতদূর সম্ভব অনুসরণ করা হয়। অভিযোজনমূলক পরিবর্তন দরকার হয়।
৯. উপকরণ:- সংহতি মূলক ও সর্বসমবিশিষ্টশিক্ষায় একই ধরনের উপকরণ বিশেষ শিক্ষার উপর।
9. সর্বসময় বিশিষ্ট বা অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা বলতে কি বুঝ? এর উদ্দেশ্য,প্রকৃতি,ও বৈশিষ্ট্য প্রকারভেদ , অসুবিধা , আলোচনা কর। এই শিক্ষাই বিদ্যালয় পিতা-মাতা সমাজ এর অবদান আলোচনা কর?
ভুমিকা:- এডুকেশন ফর অল এই কথাটির মধ্যে দিয়ে লুকিয়ে রয়েছে ইনক্লুসিভ এডুকেশন এর ধারণাটি। এই শিক্ষা মানুষের জন্মগত অধিকার এই অধিকার থেকে কেউ কাউকে বঞ্চিত করতে পারেনা। প্রত্যেক শিশু তার আগ্রহ, ক্ষমতা ও দক্ষতা অনুযায়ী শিক্ষা গ্রহণ করবে। সেখানে কোন বাধা থাকবে না এ আদর্শই কে এই সামনে রেখে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার আয়োজন করা হয়েছে।
অন্তর্ভুক্তিমূল ক শিক্ষা:- অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা বলতে সেই শিক্ষাকে বোঝায় যে শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোন ধরনের দৈহিক, মানসিক,মাজিক বা লিঙ্গগত ভেদাভেদ কে গুরুত্ব না দিয়ে সবাইকে একই ছাদের তলায় এনে শিক্ষা দেওয়া হয়। প্রসঙ্গেই বলা হয় যে, inclusive education is set of malles principle and practice that seek more effective and meaningful education for all student, regardless of weather they have experienced.
উদ্দেশ্য:- ভক্তিমূলক শিক্ষার উদ্দেশ্য গুলি হল নিম্নরূপ-
১. সবারজন্য শিক্ষা:- অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো শারীরিক সমস্যা জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে একত্রে সবার জন্য শিক্ষার আয়োজন করা।
২. হীনমন্যতা দূরীকরণ:-শারীরিক বা মানসিক দিক থেকে প্রতিবন্ধী কিংবা সমাজের বাণী শিক্ষাগত দিক থেকে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা যারা হীনমন্যতায় ভুগছে তাদের হীনমন্যতা দূর করে সবাইকে শিক্ষার আলোকিত করা এই শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য।
৩. চাহিদা পূরণ:- education for all এই নীতিটিকে গুরুত্ব দিয়ে সমস্ত ধরনের শিক্ষা চাহিদা পূরণ করা এই শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য।
৪. সামাজিক বিকাশ:- অন্তর্ভুক্তমূলক শিক্ষার যেহেতু সবার জন্য একত্রিশ শিক্ষার আয়োজন করা হয় তাই অন্তর্ভুক্তি মূলক শিক্ষার সামাজিক বিকাশে সহায়তা করে।
৫. সাবলম্বীর শিক্ষা:- প্রত্যেক শিক্ষার্থী যাতে নিজেদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করতে পারে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া এই শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য।
৬. সামাজিক ন্যায় ও বিচার প্রতিষ্ঠা:- সমাজের মধ্যে বসবাস কারী প্রত্যেকটা মানুষের নামাজের প্রতি সম্মান অধিকার রয়েছে। কারো দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কাউকে কারো অধিকার থেকে বঞ্চিত করা এটি সামাজিক অবিচার অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর শিক্ষার অধিকার কে সুনিশ্চিত ভাবে করে সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৭. সর্বাঙ্গীন বিকাশ. :- প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মধ্যে অন্তর্নিহিত কিছু সুপ্ত সম্ভাবনা রয়েছে। এই সুপ্ত সম্ভাবনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সর্বাঙ্গীন বিকাশ ঘটানো অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য।
৮. আত্মশ্রদ্ধা ও আত্মবিশ্বাস গঠন:- সমস্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্ম শ্রদ্ধা ও আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলা এই শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য।
প্রকৃতি:-অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার প্রকৃতি গুলি হল নিম্নরূপ
১অংশগ্রহণ:- অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষায় যে কোনো ধরনের বৈশিষ্ট্যের শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ করতে পারে।
২. বিপরীত ধারণা:- অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার পৃথিবী চরণের নীতির সম্পূর্ণ বিপরীতে একটি ধারণা। সবাইকে একত্রে শিক্ষার কথা বলা হয়।
৩. মনোবিজ্ঞান সম্মত:- এই শিক্ষায় মনোবিজ্ঞান সম্মত একটি শিক্ষা পদ্ধতি কেননা এই শিক্ষার শিক্ষার্থীরা শিক্ষার্থীদের আগ্রহ, ও প্রবণতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
৪. নমমনীয়তা:- প্রত্যেক শিক্ষার্থী যাতে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে তার জন্য নমনীয়তার নীতিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
৫. সমান সুযোগ:- এই শিক্ষায় সকল শিক্ষার্থীর শিক্ষা গ্রহণের সমান সুযোগ প্রদান করে।
৬. সাম্যতা:- অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা সামাজিক সম্মদার নীতির উপর প্রভাব আরোপ করে।
৭. কাজ ক্রম কার্যক্রম:- অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা কোন একটি প্রক্রিয়া নয় এটি একটি কার্যক্রম।
প্রকারভেদ:- ভক্তিমূলক শিক্ষাকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা যায়১. আংশিক অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ২. সম্পূর্ণ অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা বা সম্পূর্ণ সর্বসামা বিষ্টকরনশিক্ষা।
১. আংশিক সর্বসমাব্লিষ্টকরণ শিক্ষা:-যখন শারীরিক কিংবা মানসিক সাম্যতা গ্রস্থ শিক্ষার্থীকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একই শ্রেণীকক্ষে শিক্ষাদানের পাশাপাশি মানসিক সমস্যা গ্রন্থ শিক্ষার্থীদের কে বিশেষ শিক্ষা শিক্ষক দ্বারা বিশেষ ক্লাসের আয়োজন করা হয়, তখন তাকে বলা হয় আংশিক সর্বসমষ্ট করন শিক্ষা।
২. সম্পূর্ণ সর্বসামও বিশিষ্ট শিক্ষা:- যখন কোন অবস্থাতে শারীরিক কিংবা মানসিক সাম্যতা গ্রন্থ শিক্ষার্থীদের জন্য প্রকৃত ক্লাসের ব্যবস্থা না করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একই ক্লাস রুম এ শিক্ষাদান করা হয়, তখন তাকে সম্পূর্ণ সর্বসম্মবিষ্টকরণ শিক্ষা বলা হয়।
অসুবিধা:-সর্বসম্মাবিষ্টকরণ শিক্ষার অসুবিধা গুলি নিম্ন আলোচনা করা হলো
১. শিক্ষকের অভাব:- অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার জন্য যে ধরনের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকের প্রয়োজন হয় তা পাওয়া খুব কঠিন।
২. ছাত্র সংখ্যা:- বিদ্যালয় গুলিতে পরিমাণ যে পরিমাণ শিক্ষার্থী রয়েছে তার তুলনায় শিক্ষকের অনুপাত খুবই কম তাই এত বেশি শিক্ষার্থী নেই অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার পরিচালনা করা খুবই কঠিন।
৩. হীনমন্যতা:- শারীরিক কিংবা মানসিক দিক থেকে যারা প্রতিবন্ধী তারাহীনমন্যতায় ভুগে।এই হীনমন্যতা গত অনেক শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চাই না।
৪. বিদ্যালয়ের অভাব:- শিক্ষার্থীদের অনুপাতে বিদ্যালয়ের সংখ্যা কম আছে অপরদিকে বিদ্যালয় গুলিতে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ নেই।
৫. উদাসীনতা:- অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষায় কর্মসূচিকে সব ভুল করে তুলতে সব রকম কে যে ধরনের সচেতন হওয়া দরকার তা না হওয়ায় ফলে এর কর্মসূচিতে সফল করে তোলা হচ্ছে না।
৬. ভালো শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা:- যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় ভালো তারা অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার অংশগ্রহণ করতে দ্বিধা প্রকাশ করে।
এই শিক্ষায় পিতা-মাতা ভূমিকা :- অন্তত র ভক্তিমূলক শিক্ষা কখনো একার দ্বারা সম্ভব না।
এই আদর্শকে বাস্তবায়িত করতে গেলে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, সরকার, মাঝপথে শিক্ষক সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে এবং প্রত্যেকের যে দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে তা যথাযথভাবে পালন করতে হবে নিম্নে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষায় পিতা-মাতার ভূমিকা আলোচনা করা হলো-
১. অবজ্ঞা না করা:- শারীরিক মানসিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের আচরণ চোখে না দেখে তাদের যেটুকু সামর্থ্য আছে সে সামর্থ্যকে গুরুত্ব দিতে হবে। অর্থাৎ পিতা মাতা অক্ষম শিক্ষার্থীদের অবজ্ঞার চোখে দেখবেন না।
২. আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলা:- প্রত্যেক শিক্ষার্থীর পিতা-মাতা আর সন্তান সন্তানিদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করবেন।
৩. সঠিক পরামর্শ প্রদান :- প্রত্যেক অভিভাবকের উচিত বাস্তব জীবনে চলার পথে তাদের চেয়ে মেয়েদের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে সচেতন করার পাশা পাশি সঠিক পরামর্শ দান করা।
৪. অনুশীলনের সুযোগ:- শিক্ষাগত কিংবা মানসিক দিক থেকে দুর্বল শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় অনুশীলনের পাশাপাশি বাড়িতে ও পড়াশোনার সুযোগ প্রত্যেক পিতা মাতাদের করতে হবে।
৫. চাহিদা পূরণ:-বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীর চাহিদা গুলি যথাযথ পূরণ করার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে।
মন্তব্য:-

